পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 AASAASAASAASA SAAAAS AAASASASS AA AeAS A SAS SSAS SSAS SSAS AeMSAAAAAAS AAAA S AJJSAASAASAA বাবুর কাছে গিয়া উপস্থিত হইয়। পাচ থানা একশত টাকার নোট নীরদবাবুর হাতে দিয়া চুপ করিয়া দাড়াইয়া রহিল। নীরদবাবু জিজ্ঞাসা করিলেন—“এ টাকা কার ?” সে বলিল “কণর তা আমি জানি না । জেঠমল চা বাগানের নীরদ বাবুকে দিতে বলিয়াছে।” “জেঠমল ? সে কে ?” “দার্জিলিংএর মহাজন।” নানী ইতিপূৰ্ব্বে জেঠমলকে দেখিয়াছে এবং সেও জানিত যে তাহার বাপ জেঠমলের কাছে কিছু টাকা জমা রাখিয়াছিল। সে ব্যাপারটা কতক বুঝিতে পারিয়া বলিল— “বাবু জেঠমূল আমার বাবার মহাজন। আমার বাবা জেঠমলের কাছে টাকা রাখে।" নীরদ বাবু শুনিয়া শুস্তিত হইলেন। “এ টাকা বাহাদুরের ? আমাকে বিপদ হইতে উদ্ধার করিবার জন্য তাহার এত মহত্ব, এত উদারতা ? পাহাড়িয়ার বুকে এত দয়া ?" নীরদ বাবু বাহাদুরের কথা ভাবিতে ভাবিতে তাহার চোখ দিয়া ছ ফেট। অশ্রু গণ্ডস্থল বহিয়া পড়িল । টাকাটা পাইয়া নীরদ বাবুর মনে হইল “এ পুণ্যাত্মার টাক পাপকার্য্যে ব্যয় কখনই করিব না। এক জনের জীবনের অর্জিত ধন অপব্যয় কথনই করিব না। আমার জেল হয় হউক।” অন্ততঃ নীরদ বাবু স্থির করিয়াছিলেন যে বাহাদুরের সঙ্গে পরামর্শ না করিয়া আগেই টাকা দেওয়৷ হইবে না । কাজেই তাহার সমস্ত মন বাহাদুরের আগমনের প্রতীক্ষায় ব্যগ্র হইয়া উঠিল। রাত্রির মধ্যে বাহাদুর আসিল না। বাহাদুরের বাড়ী লোক পাঠাইয়। খবর লইলেন-সেখানেও সে আসে নাই। খুব উদ্বিগ্ন হইয়। সকালবেলায় নীরদবাবু আফিস গেলেন, টাকা দিবার জন্য নহে, যেমন কাজে যান তেমনিই কাজে গেলেন। একদিন অনুপস্থিত ছিলেন, গুদামের কাজ কৰ্ম্ম খুব জমিয়াছে। অফিসে গিয়া দেখেন এক জায়গায় কতকগুলা কুলি সবে মাত্র কাজে আসিয়াই গল্প করিয়া সময় নষ্ট করিতেছে । নীরদ বাবু একটু বিরক্ত হইয়৷ বলিলেন “এই! তোরা কি করছিস । সকাল বেলায় গল্প এতে প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩২১ ダ へ ダ** *丁* SAA AAA AAASA SAASAASSAAAAA AAAA SAAAAAMM MAAA AAAASASASS * × * می - ه ۶ - هی - به ع - عور ها- بی اح کمری » - عرا » ---- করে সময় নষ্ট করছিল, আমি তোদের মজুরী কেটে নেবে৷ ” নীরদ বাবুর পাশেই একটা কুলীর সর্দার দাড়াইয়া ছিল, সে বলিল “বাবু! কাল, রাতে আমাদের পাহাড়ের নীচে একটা আদমী মরেছে ওরা সেই কথা বল্‌ছে।” নীরদ বাবু বলিলেন “কি হয়েছে ?” “বাবু ! পাহাড় থেকে, তাড়ি খেয়ে পড়ে মরেছে ।" “কে সে *" এক জন বলিল “বাৰু! সে বাহাদুর, আপনার নফর " নীরদ বাবু চীৎকার করিয়া উঠিলেন “কে বাহাদুর ?” আর কিছু না বলিয়া মূহূৰ্ত্ত-মধ্যে তাহদের এক জনকে সঙ্গে করিয়৷ সেই দিকে ছুটিলেন । প্রায় দুই মাইল দূরে একটা ঝরণা আছে। ঠিক সেই ঝরণার উপর প্রায় ৫০০ ফুট উচুতে যাতায়াতের রাস্তা। ঝরণার কিছু উপরে রাস্ত হইতে প্রায় ৪০০ ফুট নীচে দেখেন একটা কি পড়িয়া আছে । নীরদ বাবুর সঙ্গের লোকটা দেখাইয়া দিল—“ঐ বাবু মুরুদা গিরে অাছে।” শ্বাস প্রশ্বাস রুদ্ধ করিয়া নীরদ বাবু ছুটিয়া গিয়া দেখেন-হতভাগ্য বাহাদুর তাহার নানীর লাল কোর্ভাট। বুকে দুই হাতে চাপিয়া ধরিয়া মরিয়া রহিয়াছে । খানিক চুপ করিয়া থাকিয়া নীরদ বাবু পাগলের মত হইলেন। দুই হাতে নিজের মাথার চুল ছিড়িতে ছিড়িতে চীৎকার করিয়া বিকৃতস্বরে ডাকিলেন, “বাহাদুর । এই ও বাহাদুর ?” এতদিনে তাহার প্রভুভক্ত ভূত্য আর কথা শুনিল না। বাহাদুরের মৃতদেহটা নীরবে পড়িয়া রহিল । নীরদ বাবুর সঙ্গে যে লোকটা আসিয়াছিল সে র্তাহাকে জোর করিয়া ফিরাইয়া লইয়া গেল । এ দৃপ্ত দেখিয়া তাহারও দুই চক্ষু জলে ভাসিয়া গেল । অতি কষ্টে শোকসম্বরণ করিয়া নীরদ বাবুকে সে বাসায় পৌছাইয়া দিল। নীরদ বাবুর চোখে আর জল নাই। মনে হইল এখন হৃদয়ে বল দরকার। মৃত ব্যক্তিটার একটা অসহায়া কন্যা রহিয়াছে । তাহাকে দেয়া অবিশুক। এ সব মনে করিয়া নীরদ বাবু দৃঢ় মনে বাসায় আসিলেন ।