পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] 3) এখানে দুইবৎসর গত হইবার পয় চৈত্রমাসের এক সন্ধ্যায় ভীষণু ঝড়বৃষ্টির মধ্যে ভিজিতে ভিজিতে আসিয়া চারু বালায় প্রবেশ করিবে,—দেখিল দরজায় একখানি পত্র আটুকান রহিয়াছে। অপ্রত্যাশিত হস্তলিখিত শিরোনামা বহুকাল পরে দেখিয়া সে একটু আশ্চৰ্য্য হইরা গেল । বাসায় প্রবেশ করিয়াই থাগে সে পত্ৰখানি খুলিগ এবং পড়িয়া আনন্দে অধীর হইয়া উঠিল এবং পরে একটু বিমৰ্ষও হইল । বহুকাল পরে মন্ত্র তাহাকে পত্র লিখিরাছে— 尊 কলিকাত৷ ৩• মার্চ, সোমবার fপ্রর চারু মেডিক্যাল কলেজ হইতে বিশেষ বৃত্তি প্রাপ্ত হইয়া এবং পিতামাতাল ইচ্ছা ও আদেশ অকুযায়ী আমি লণ্ডন মেডিক্যাল কলেজে পড়িবার জন্ত বিলাত যাইতেছি । আগামী বুধবার রাত্রের গাড়ীতে হাওড়া হইতে বম্বে মেলে রওনা হইব। আশা করি তুমি অন্ততপক্ষে ট্রেনের সময়ও ষ্টেশনে আমার সঙ্গে দেখা করিবে । বহুদুর বিদেশে যাত্রা, কবে আর দেথা হইবে জানি না, এইজন্য ইচ্ছা—দেশ ছাড়িবার সময় অন্তান্ত আত্মীয়দের মধ্যে তোমাকেও একবার দেখি । ইতি তোমারই মন্ত । মাতা এবং স্ত্রী তখন চারুর কাছে রূপসীতেই থাকিতেন। চারু যখন নিবিষ্টচিত্তে পত্ৰখানি পাঠ করিয়া চিন্তিত হইরা পড়িল তখন মাতা আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন “বাবা চারু ! ও কার চিঠি বাবা ” হাসিয়া চারু উত্তর করিল “ম, এ মসুর চিঠি !” এবং পত্র-বিবরণ মাতাকে জানাইয়। বলিল “মা, খুবই আনন্দের বিষয়, কিন্তু আমার প্রাণ বড়ই ব্যাকুল হল— অনেক দূরদেশে যাচ্ছে সে।” মাতাপুঞ্জে নানা কথাবাৰ্ত্তার পর, আগামী কল্য মঙ্গুর সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাওয়াই যে অবশ্যকৰ্ত্তব্য মাতা চারুকে তাহ জানাইলেন। চারু বহুপূৰ্ব্বেই মনে মনে তাহ স্থির করিয়া রাখিয়াছিল। • বন্ধু-ঋণ SAAAAAA AAAAJJASAJJJASAJAJAM eMMAMMMMMASAMMSMMMJMMMAMA MMeS মাতা জানিতেন না সংসারপীড়নে বাধ্য হইয়া কি আঁপিসে তাহার মেহের চারু চাকরা করে। মাতা বা পত্নীর নিকট সে কখনও প্রকাশ করে নাই-কত কষ্ট ও লাঞ্ছনা ভোগ করিয়৷ তাকে সাংসারিক অভাব পূরণের জন্তঃচাকরা করিতে হয়। যাহা হউক মাতাকে

  • cস বলিয়া ব্রাথিল কাল বারটার গাড়াতে সে নিশ্চয়ই

রওনা হইয়। যাইবে । o সমস্ত রাত্রিই সে ভাবিয়া কাটাহল । যে বড় ভালবাসে ! ফন্তুনদার মত সে ভালবাসা অন্তঃ প্রবাহিনী । তাহার আস্তর ভিন্ন জগতে আর কেহই জানিত না কা সে ভালবাসা—ময় তাহার প্রাণের অপেক্ষাও প্রিয়। সে ধাইবেই ! যদিও ছুটি পাইবার কোন সম্ভাবনাই নাই, কারণ বুধবার—বড় কাজের ভাড়, সেদিন বিলাতাডাকের দিন ; তবু সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইল, যাইবেই সে—যাইবেই ! আবগুক হইলে চাকরীও ত্যাগ করতে প্রস্তুত হইয়৷ রহিল । 奪 豪 豪 মইকে সে o শ্ৰাদুগ নাম স্মরণ করিয়া, মাতৃচরণে বিদায় লইয়। দশটার সময় চারু বাস৷ হইতে রওনা হইল। মাতাকে বলিয়। আসিল, আপিস হইতে বরাবর সে-আঞ্জ বারটার গাড়াতে যাইবে এবং কালই প্রাতে ফিরিয়৷ আসিবে। গিয়া একবার সাক্ষাৎ কর। বই ত নয় । আঁপিসে আসিয়াই বড় বাবুকে তাহার বিশেষ আবস্তক ও জানাইয়া, মাত্র সেই দিনটার ছুটি প্রার্থন৷ করিল । রুক্ষ্মভাবে তিনি তাহ। প্রত্যাথ্যান করিলেন,— করিবেনই ত, সে দিন যে মেল ডে', কাজ বড় বেশী । চারুর আগ্রহ দেথিয়৷ বিরক্ত হইয়া বড়বাবু বলিলেন— যদি জরুরী কাজ থাকে তবে চাকরাতে ইস্তফা দিয়ে যাও ; আজকে ছুটি কিছুতেই পাবে না । চারু বিনীতভাবে বলিল—তবে আমার ইস্তফাই নিন, আমার আজ কলকাতা না গেলেই নয়। আপিল পরিত্যাগ করিয়া রাত্রি প্রায় ৮ টার সময় চারু শিয়ালদহে পেীfছল। বম্বে মেলেরও সময় সন্নিকট, কাজেই একটু বিশ্রামেরও সে সময় পাইল না। যখন হাওড়া ষ্টেশনে গিয়া পৌছিল তখন নয়ট বাঞ্জিতে বার মিনিট