পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ৫ম সংখ্যা ] সে মুঠা করিক্ষা আবির লইয়। আসে নাই ; আজ তাহার দুই চক্ষু জলে ভাসিয়া যাইতেছে । সে কাদিতে কঁাদিতে মনুকে বলিল “ভাই । আমার সৰ্ব্বনাশ উপস্থিত। মাতা ও স্ত্রী উভয়েই বিমুচিকা । রোগগ্ৰস্ত ; তুমি দয়া করিয়া একবার મૈત્ર હાભા” মন্থর মা সেখানে ছিলেন। আবার এতদিন পরে সেই ছোটলোকের ছেলেটা আসিয়া মকুর সঙ্গে সমানী হইয়া কথা কহিতেছে দেখিয় তাহার অত্যন্ত অসহ বোধ হইল। তিনি দরোয়ান ডাকিয়ু ছোটলোকের ছেলের স্পৰ্দ্ধার সমূচিত, শাস্তি দিতে পারিতেন, কিন্তু দয়া করিয়া কোমল স্বরেই, মকু চারুর কথার উত্তর দেবার পূর্বেই ফিরিয়া দাড়াইয়া, চারুকে পরামর্শ দিলেন, এ-সমস্ত ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাতেই উপকার পাওয়া যায় ; মনু নুতন কলেজ হইতে বাহির হইয়াছে আর এলোপ্যাথিকে বিশেষ কোন ফলই হইবে না, অতএব মনুর যাওয়া বৃথা। কালীডাক্তার এরোগে সুচিকিৎসক ও বহুদশী, তাহাকে লইয়া যাওয়াই সদুযুক্তি । আসল কথা তাহার ইচ্ছা নহে এ-সমস্ত ছোয়াচে রোগে মকু,চিকিৎসা করিতে যায়। চারু তাহার মনের ভাব বুঝিতে পারিল, এবং এক বার মাত্র মসুর দিকে চাহিয়াই ঘরের বাহির হইয়। পড়িল—কী বিপদব্যঞ্জক কাতরতামাথা তাহার সে सृष्टि ! মকু কৰ্ত্তব্যজ্ঞানহীন হইয়া নিৰ্ব্বাক বসিয়া রহিল । মনুর মাতা তাহাকে ওরূপ বিপজ্জনক স্থানে কদাচ যাইতে নিষেধ করিয়া বাড়ীব ভিতর চলিয়া গেলেন । s ه هT عام. দোঁড়িতে দৌড়িতে কাল ডাক্তারের বাড়ী পৌছিয়া চারু শুনিল ডাক্তারবাবু গৃহে নাই, নিকটেই একটি কলেরা-রোগী দেখিতে গিয়াছেন, শীঘ্রই ফিরিবেন । সে অনন্তোপায় হইয়৷ সেইখানেই দাড়াইয়া ছট্‌ফট করিতে লাগিল । প্রায় অৰ্দ্ধঘণ্টা পরে ডাক্তার বাবু ফিরিয়া আসিবামাত্র চারু তাহাকে নিজ বিপদ বাৰ্ত্ত জানাইল । ডাক্তার বাবু প্রবীণ লোক এবং খুবই দয়াবান ; তিনি চারুকে বলি 정) ΦΦΣ লেন, “তুমি একটু অপেক্ষা কর, আমি পাচমিনিটের মধ্যে বাড়ীর ভিতর হইতে আসিতেfছ।” . খুব অল্পসময়ের মধ্যেই ডাক্তার বাবু বাহিরে আসিলেন এবং তৎক্ষণাৎ চারুর সহিত তাহার গৃহাভিমুখে রওনা হইলেন । ● বাড়ীতে উপস্থিত হইবামাত্র চারুর १jंश्द्र भश्] হইতে কে ডাকির বলিল-“চারু। ডাক্তার বাবু কি আসিয়াছেন ? মা ত আর নাই,—এখন সকলে চেষ্ট৷ করিয়া দেখি, বৌট। যদি রক্ষা পায় ।” ডাক্তারকে সঙ্গে লইয়া চারু গৃহে প্রবেশ করিয়া দেখিল, মাতা তাহার চিরনিদ্রাগত ; স্ত্রীও মৃত্যুশয্যায় ; হিমাঙ্গ হইয়া গিয়াছে—আর, মনু খুব বড় একপাত্র আগুন লইয়৷ ক্ষিপ্রহস্তে তাহার হাতে ও পায়ে সেক দিতেছে। میر ۶۳۹ ها می ۹" به مه ۹ - ঐজীবনগোপাল বসু সৰ্ব্বাধিকারী। -.....--چیمےمی-سا-ہ পঞ্চশস্য • জাপানের উল্কি । কোনে, কোনো শ্রেণীর জাপানীর মধ্যে বহু প্রাচীন কাল হইতে উল্কি পরার প্রচলন ছিল । নিম্নশ্রেণীর জাপানীর পোশাকে ষে-সৰ চিত্র অঙ্কিত থাকে তাহা যে এককালে উহার দেহচর্থের সৌন্দর্য্য বাড়াইত এরূপ অনুমাণ করা অসঙ্গত নয় । জাপানে তিন প্রকার উস্কের প্রচলন ছিল –ইরেজুমি, ইন্নেবোকুরে, ও হেttল্পমোনে৷ ৷ প্ৰথমপ্রকার উল্কি শাস্তিস্বরূপেই অঙ্কিত করা হইত । একখানি প্রাচীন পুথিতে লিখিত আছে যে ৪•• খৃষ্টাব্দে সম্রাটু রিচুর রাজত্বসময়ে প্রাণদণ্ডজ্ঞাপ্রাপ্ত কতকগুলি অপরাধীকে ক্ষম করা হয় এবং ছাড়িয়া দিবার পূৰ্ব্বে তাহাদিগের গায়ে ইরেজুমি উল্কি অঙ্কিত করিয়া দেওয়া হয় । তাহারা যে অপরাধী সেই কথাই জানাইয়া সাধারণকে সতর্ক কfরয়৷ দেওয়াই এইরূপ উল্কি অঙ্কনের উদ্দেষ্ঠ ছিল। কর্তৃপক্ষ এইরূপে অপরাধীকে নজরে রাখিতেন । যাহার দুইবার অপরাধ করিত তাহাদিগের গায়ে কাছাকাছি দুইটি চিহ্ন অঙ্কিত থাকিত সাধারণত অপরাধীর বাম হাতে, কখনো কখনো কেবল ডান হাতে বা হাতের পশ্চাতে উল্কি চি{হত হইত। উল্কি নানা আকারের হইত, সাধারণত কতকগুলি পরস্পর-কষ্ঠিত সরলরেখা দ্বার। রচিত জ্যামিতির চিত্রই অঙ্কিত হইত । o হাতের উপর চিহ্নিত একটি নাম বা একটি চীনা হরপ অঙ্কিত হইলে তাহার নাম ইপ্লেবোকুরো উল্কি। এরূপ উল্কা পরাপ্র3য়ীদের