পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&6b. অামি যে তাদের একদেশবাসী, তাদের দুঃখ তাদের যে হাসি আমারি তা দ্বারা, বাহিরে ব্যাপিয়া রয়েছে দিশি । মোর মুখপানে অনিমেব আঁখি রয়েছে তুলে । সন্ধায় দীপ জ্বালিয়া ধরিছে প্রাণের মূলে । 'স্বদেশ আমার প্রাণের পাতায় পড়িতে বলিছে গরব-গাথায় ; & গত অনাগত গৌরৰ তার না যাই ভুলে । তাই তৎআমার সকল বাক্য স ক ল গান চরণে তাহার ভক্তির ভরে করেছি দান । গৌরবে তার তার অপমানে উঠে আর নামে তরঙ্গ গানে, সোণার ধুলায় মালিক দুলায় চির-অম্লান । এই মহাকবি ভেয়ারহেয়রেল সম্প্রতি লণ্ডন ডেলি নিউস পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ লিথিয়াছেন । ষ্টtহার বক্তব্যের সারমর্থ এই বেলজিয়ামবাসীর দুর্দশ য৩ই ভয়ানক " শোচনীয় হোক না কেন, তাহার এখন কেবল হাহাকার করিলে, বিনাইয়া বিনাইয়া শোক করিলে, বা পরের নামে নালিশ করিয়া নিশ্চিস্ত থাকিলে চলিবে না ; তাহাদের প্রমাপ করিতে হইবে যে তাহারা প্রত্যেকেই বীরপুরুব, বীরনারী —ইহাই তাহাদের দেশের দুর্দিনে মহৎ ও প্রধান কর্তব্য । গৃহহারা, অনশনক্লিষ্ট, শোকার্ব নরনারীর দুঃথ অতান্ত তীব্র, প্রায় অসহ, সন্দেহ নাই ; কিন্তু শোক কর ঢের হইয়াছে, অtর নয় । যুদ্ধের পূর্বে বেলজিয়মকে মহত্তর বৃহত্ত্বর দেখিবার কল্পনা র্যাহাপের মনে উদয় হইভ তাহার মধ্যে পরের দেশ জয় করিবার বা জগতে উপনিবেশ বিস্তার করিবার দুরভিসন্ধির ছায়। ছিল না । সে কল্পনার মানে ছিল পুনজ স্ম, পুনজাগরণ—মনন ও প্রাণন-শক্তির উদ্বোধন । শিল্প বাণিজ্যের বিস্তারের আশার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করিয়া এই আশা ছিল যে আমাদের চিস্তা বুদ্ধি মার্জিত সজীব তাজা হইয়া উঠিয়া সকল কুসংস্কারের জাল হইতে মুক্ত হইয়। একেবারে নবীন প্রবহমান হইয়। উঠিবে-জগতের সকল চিন্তাধারার সহিত যোগ রাখিয়া অঞ্জ-সর হইতে পরিবে । আমাদের স্বদেশ সকল দেশকে চিত্তীয় ভাবে প্রভাবান্বিত করিবে ইহাই অtমর চাহিয়াছিলাম—পরকে অধীন করিতে চাহি নাই । এই দারুণ দুবিপাকে আমাদের প্রাণশক্তি মুহাম ন ন হইয়া বরং উদ্বুদ্ধ উগ্ৰ নৰীন হইয়া উঠিবে। আমরা বিলাপী ধনীর ম৬ে জীবন যাপন করিতেছিলাম ; অভাব কাহtকে বলে জানিতাম না ; মনে করিতাম যুদ্ধ করা সে আমাদের ব্যবসা নহে। তাই যুদ্ধ আমাদের ঘাড়ে চাপিয়া পিষিয়1 ফেলিতে চাহিতেছে । আমাদের না ছিল সৈন্ত বল, ন ছিল অস্ত্রশস্ত্র, ন ছিল নায়ক, না ছিল সাহস, ন ছিল কৌশল বুদ্ধি । কিন্তু কাজ পড়িল যেমনি অমনি কিছুরই অভাব রহিল না । এক মুহূর্তে আমরা সমস্ত জগৎবাসীর বিস্ময় প্রশংসা আদায় করিয়া ছাড়িলাম। বিপদে পড়িয়া আমাদের স্বদেশ to, 發 to. প্রবাসী—ফাল্গুন ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড സ് গৌরবমণ্ডিত হইয়া গেল ; দুঃখের রক্তটাকা পরিয়া মস্তক । করিয়া জগতে সে ধন্য বলিয়। স্বীকৃত হইল । আমাদের ক্ষুত্র দে মুষ্টিমেয় লোকে আত্মবলি দিয়া দুরন্ত আক্রোশের আক্রমণ হ অপর দুইটি বৃহৎ দেশের বহুকালের পুঞ্জীভূত সভ্যতার প্রাণ করিতে পারিয়াছে ইহাই আমাদের গৌরব । অতএব কাল্পীকাটি করা আর নয় । অশ্রু ফেলা—সে ত অীমা অপমান ও লজ্জা । ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে এত দেশ থাকিতে আমা দেশকেই তিনি এমন মহৎ দুঃখ সহিবার ভার দিয়াছেন । আষা দেশের প্রাণশক্তি উদ্বোধিত হইয়। আমাদের এতদিনের সত্ত ভবিষ্যতের কাছে স্নান করিয়া তুলিল । আমাদের দেশের ইতিহাসে অমর হইয়া রহিল । এই দারুণ অগ্নিপরীক্ষার পূৰ্ব্বে আ তুচ্ছ বিষয়ে মত্ত থাকিতীম ; আমরা কথায় মারপ্যাচ লইয়। বি করিতে ব্যস্ত হইয়াঁ তথ্যস্তে অগ্রাহ করিতাম ; আমরা পরস পরস্পরকে ওtলুন বা ফ্লেমিশ বা আর,কিছু বলিয়া জাত তুলিয়া । তাচ্ছিল্য নিনা। গtলাগালি করিতীম ; আমরা ওকালতী, ব্য আপিসের কেরানীগিরি লইয়। কাড়াকড়ি করিত মে, ব্যস্ত থাকিত বেলজিয়মের মহাকবি এমিল ভেয়ারহেয় রেণ । এক অখণ্ড রাজের স্বাধীন মুক্ত বাসিনা হইবার পক্ষে চেষ্টা তাহাতে গৰ্ব্ব বোধ করিতাম না । শান্তির জড়তা হইতে দুঃখ বি আমাদিগকে উদ্ধার করিয়া দিয়াছে । আমরা অামাদিগকে অrবিধ কfরতে পারিয়াছি । আজ দুর্দিনের সমতায়, দুঃখের দৃঢ় বন্ধ বিপদের মুথে, একতায় সমস্ত জাতি দ্রঢ়িঠ সংহত হইয়া উঠিয়াছে এ যেন তাহার পুনজস্ব ! এমন করিয়া সে আপনাকে আপনি আগে কখনো অনুভব করিতে পারে নাই । 肇 鞏 發 কামানের মুখে কাব্য রচনা । পারীর ফিগারে। নামক পত্রে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিখার মধ্যে র৷ি কতকগুলি কবিতা প্রকাশিত হইয়াছে । তাহার সবগুলিই প্রে:ে কবিতা—আক্রাস্ত স্বদেশের প্রতি প্রেম, উদ্বেজিত দেশবাসীর প্র গ্রেম, স্বদেশের স্মৃতিমণ্ডিত বস্তু বা বাস্তুর প্রতি প্রেম, স্বদেশে