পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e وك وl\ কান্তকুজরাজের পুত্রকে অভয় দিয়া গৌড়ে আনিয়াছেন । ধৰ্ম্মপাল ভাঙ্গকে পিতৃলি হাসনে প্রতিষ্ঠিত কয়িবেন প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন । এই সংবাদ জানিয়া কান্তকুজরাঞ্জ গুর্জর রাজের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিয়া দূত পাঠাইলেন । পথে সন্ন্যাসী দূতকে ঠকাষ্টয়া তাহার প.এ পড়িয়া লইলেন । গুর্জররাজ সঙ্গ্যাসীকে বৌদ্ধ মনে করিয়া সমস্ত বৌদ্ধ দিগের উপর অত্যাচার আয়ত্ত করিবার উপক্রম করিলেন। এদিকে সন্ন্যাসী বিশ্বানন্দের কৌশলে ধৰ্ম্মপাল সমস্ত বৌদ্ধকে প্রাণপাত করিয়া রক্ষা করিবেন প্রতিজ্ঞা করিলেন । সম্রাট ধৰ্ম্মপাল माबखूद्राख“श्रt* সঙ্গে লইয়। কান্তকুঞ্জ রাজা জয় করিতে যাত্রা করিলেন ধৰ্ম্মপাল বারাণসী জয় করিয়াছেন শুনিয়া কান্তকুঞ্জ ছাড়িয়া ইন্দ্রায়ুধ গুর্জরে পলায়ন করিলেন এবং গুর্জররাজকে ধৰ্ম্মপালের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাহায্য করিবার জন্য অমুরোধ করিতে লাগিলেন । ] সপ্তম পরিচ্ছেদ গুজ্জর-রণনীতি বারাণসী অধিকৃত হইবার দুইদিন পরে চরণাদ্রি হইতে সংবাদ আসিল যে, জয়বদ্ধন পঞ্চশতসেনা লইয়। দুর্গ অধিকার করিয়াছেন। তাহার সহিত পঞ্চশতের অধিক "অশ্বারোহী ছিল না, তিনি দুৰ্গরক্ষার জষ্ঠ সম্রাটের নিকট সেনা ভিক্ষা করিয়াছেন এবং দুগরক্ষার ব্যবস্থ৷ হইলে প্রতিষ্ঠান আক্রমণ করিবার অনুমতি চাহিয়াছেন। বারণসীর যুদ্ধের ফল দেখিয়া চরণাদ্রি দুর্গের পতনে ভীষ্মদেব বা প্রমথসিংহ বিস্মিত হন নাই । তাহার। দূতমুখে জয়বৰ্দ্ধনকে বলিয়া পাঠাইলেন যে, পদাতিক সেনু ভিন্ন দুৰ্গরক্ষা সুকর নহে, অতএব পদাতিকগণের আগমনপ্রস্ট্রক্ষায় সপ্তাহকাল অপেক্ষা করাই সুব্যবস্থা। পদাতিক সেনা যখন বারাণসীতে আসিয়া পৌছিল তখন কান্যকুব্জ-যুদ্ধ প্রায় শেষ হইয়া গিয়াছে। চরণাদ্রি শক্ৰহস্তগত হইয়াছে শুনিয়া সম্রাট-উপাধিধারী কুলাঙ্গার ইন্দ্রায়ুধ প্রতিষ্ঠান রক্ষার ব্যবস্থা না করিয়াই রাজধানী পরিত্যাগ করিয়া পলায়ন করিয়াছিলেন ; তিনি যে অবস্থায় গুর্জর রাজধানীতে উপস্থিত হইয়াছিলেন তাহা পূৰ্ব্বে বর্ণিত হইয়াছে। সম্রাট রাজ্যত্যাগ করিয়া পলায়ন করিয়াছেন শুনিয়া কান্যকুজের সামন্তরাজগণ অস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া চক্রায়ুধর্কে রাজধানীতে আহবান করিলেন। বিনাযুদ্ধে প্রতিষ্ঠান ও কান্যকুব্জ গৌড়ীয় সেনা কর্তৃক অধিকৃত হইল। ধৰ্ম্মপাল ও চক্রায়ুধ বারাণসী, চরণাদ্রি প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড ও প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য সামান্য সেন রাখিয়া অবশিষ্ট সৈন্য সঙ্গে লইয়। কানাকুন্ড যাত্রা করিলেন । ইন্দ্রায়ুধ গুর্জররাজ নাগভট্টের অতিথিরূপে ভিল্লমালনগবে বাস করিতে লাগিলেন ও প্রতিদিন গুর্জর রাজকে গৌড়েশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করিবার জন্য অনুরোধ করিতে লাগিলেন । এইরূপে একমাস অতিবাহিত হইল কিন্তু গুর্জররাজ্যে যুদ্ধাভিধানের কোনই উদ্যোগ দেখা গেল না। নাগভট্ট ও বাহুকধবল শীঘ্রই যাত্রা করিব পলিয়া কানাকুলম্বরাজকে আ শ্বাস দিতেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তখন গৌড়েশ্বরের সহিত বিবাদ করিবার ইচ্ছ। তাহদিগের ছিল না। নিৰ্ব্বিবাদে যমুনাতীর পর্য্যন্ত গৌড়েশ্বর কর্তৃক অধিকৃত হইল, যমুনার পশ্চিমতীরে গুর্জররাজ্যের প্রান্তরক্ষকগণ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইয়াছিলেন, কিন্তু তাহার রাজধানী হইতে নদী পার হইবার আদেশ না পাইয়া নিশ্চেষ্ট হইয়া বসিয়া রহিলেন । কান্যকুজরাজ্যের সামন্তগণ বজায়ুধের পুত্রকে যথাবিধি অভিষিক্ত করিবার জন্য ব্যস্থ হইয়া উঠিলেন কিন্তু সন্ন্যাসী বিশ্বানন্দ ও ভীষ্মদেবের পরামর্শে ধৰ্ম্মপাল ও চক্রায়ুধ তাহাতে সন্মত হইলেন না । বজায়ুধের মৃত্যুর পরে গুজ্জর রাজের সাহায্যে ইন্দ্রায়ুধ কন্যকুজসিংহাসন অধিকার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । নাগভট্টের পিতা বৎসবুজ দিগ্বিজয়-যাত্রায় নির্গত হইয়া যখন সমস্ত উত্তরাপথ অধিকার করিয়াছিলেন তখন বজায়ুদ্ধ তাহার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন। বৎসরাজ কর্তৃক পরাজিত হইয়াও তিনি র্তাহার অধীনতা স্বীকার করেন নাই । বহুকাল পরে দাক্ষিণাত্যরাজ রাষ্ট্রকুটবংশীয় ধ্রুব যখন বৎসরাজকে পরাজিত করিয়া মরুভূমিতে পলায়ন করিতে বাধ্য করিয়াছিলেন তখন বজ্রায়ুধ স্বীয় অধিকারে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন । বজায়ুধের সহিত যুদ্ধে তাহার কনিষ্ঠভ্রাতা ইন্দ্রায়ুধ গোপনে বহুবার গুর্জররাজকে সাহায্য করিয়াছিলেন । এই সাহায্যের পুরস্কারস্বরূপ ইন্দ্রায়ুধ বজাযুধের মৃত্যুর পরে কান্যকুঞ্জের সিংহাসন লাভ করিয়াছিলেন । কান্যকুব্জবাসীগণ বলিত যে, গুজ্জর রাজের সাহাষ্যে ইন্দ্রায়ুধ ভ্ৰাতৃহত্যা করিয়াছিলেন। কান্যকুজের সামন্তগণ বজায়ুধের অতিশয়