পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] “দেখিয়াছিলাম।” “প্রেমের আর একটা লক্ষণ দেখিয়াছিলে ?” “আবার কি ?” “তুমি কি অন্ধ নাকি ? কান্যকুঞ্জের দূত যখন আসিল তখন মহারাজ বস্ত্রাবাসের মধ্যে। তিনি বাহির হইয়৷ আসিলে প্রমথসিংহ ও ভীষ্মদেব যখন গুর্জরযুদ্ধের কথা জার্নাইলেন, তখন ধৰ্ম্মপালের মুখ দেখিয়াছিলে ?” te "ן וה* “তখন মিলনে বাধা দেখিয়৷ নবীন বিরহীর মুখ পাণ্ডুবৰ্ণ হইয়া গিয়াছিল।”

  • 畿 ক্রমশঃ

শ্রেীরাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। গীতাপাঠের উপসংহার গীতার শাস্ত্রকার মহর্ষিদেব সুমধুর কবিতার ভাষায় তত্ত্বজ্ঞানের সার সত্য, অধ্যাত্মযোগের সহজ পদ্ধতি, এবং ভগবৎপ্রেমের অমৃত উপদেশ সুখারোহ সোপান-পরম্পরাক্রমে অল্প পরিসরের মধ্যে একত্র সন্নিবেশিত করিয়া ভারতবর্ষীয় ধৰ্ম্মসম্প্রদায়গণের কী-ষে উপকার করিয়াছেন তাহা বলিবার নহে। ভগবদগীতার ভাযা দেবভাষা ! তাহার কোনো স্থানে কোনোপ্রকার জটিলতার পাকচক্র নাই—কোনোপ্রকার কৃত্রিমতার নামগন্ধ নাই ; সকলই উদার—সকলই সরল—সকলই সুধাময় ! কল্যাণের যেন প্রমুক্ত স্বৰ্গগঙ্গ—এমনি স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার যে, তাহার কোনো একটি স্থানে দর্শকের চক্ষু পড়িলে তাহার সুগভীর অন্তস্তল পৰ্য্যন্ত দৃষ্টিগোচরে ভাসমান হইয় ওঠে ! গীতার ক্ষুদ্রায়তন পুথিখানির মূলের শ্লোকগুলি যখনই আদ্যোপান্ত মনোযোগের সহিত পাঠ করা যায়, তখন, শ্রীকৃষ্ণ শুধুই যে কেবল পুরাণের শ্রীকৃষ্ণ নহেন—অর্জুন শুধুই যে কেবল ইতিহাসের অর্জুন নহেন—যজ্ঞানুষ্ঠান শুধুই যে কেবল অগ্নিতে আহুতি-প্রদান নহে—তাহা বেস বুঝিতে পারা যায়। বেশ বুঝিতে পারা যায় যে, শ্রীকৃষ্ণ শব্দের ভিতরের অর্থ জীবাত্মার প্রিয়তম পরমাত্মা, অর্জুন-শব্দের ভিতরের অর্থ পরমাত্মার প্রিয়তম জীবাত্ম ; যজ্ঞানুষ্ঠান গীতাiাঠের উপসংহার SAMSAASAASAASAASAASAAMMAAASAAAAASA SAASAASSAAAAAAS AAAAA AAAA AAAA SAAAAA AM MA SAeiS S S S S S S S S SAAAAAeAAA AAAA AAAA AAAA AAAA MMAAA AAAA SAAAAA S &やが* S S A S A S A S A SASAAASJSJASASJSAeSAeSJSee শব্দের ভিতরের অর্থ লোকহিতকর কার্য্যের অনুষ্ঠান। শ্ৰীকৃষ্ণকে যদি মূৰ্ত্ত শ্ৰীকৃষ্ণ বলিয়া মনে ভরা যায়, আর সেই সঙ্গে অর্জুনকে যদি মূৰ্ত্ত অর্জুন বলিয়া ভাবা যায়, তবে আমরা বলিতে পারি শুধু এই পৰ্য্যস্ত যে ভগবদূগীত। মহাভারতের অন্তর্গত একটি মনোহর খণ্ড-মহাকাব্য। পক্ষান্তরে, শ্ৰীকৃষ্ণকে যদি জীবাত্মার পরম সহায় এবং পরম সুহৃৎ পরমাত্মার আর এক নাম বলিয়া গ্রহণ করা যায়, আর সেই সঙ্গে যদি অৰ্জুনকে পরমাত্মার পরম ভক্ত জীবাত্মার আীর এক নাম বলিয়। গ্রহণ করা যায়, তবে আমরা মুক্তকণ্ঠে বলিতে পারি যে, ভগবদুগীতা ভারতবর্ষের সনাতন ধৰ্ম্মশাস্ত্রের, অথবা, যাহা একই কথা-বেদান্ত উপনিষদের, মথিত সারাংশ। প্রশ্ন ॥ ত৷ তো বুঝিলাম ! কিন্তু তাহ পদার্থটা কি ? “ভারতবর্ষীয় ধৰ্ম্মশাস্ত্রের মথিত সারাংশ” বলিতেছ তুমি কাহাকে ? উত্তর ॥ ভোজনের সময় তিক্ত রস দিয়া অষ্ঠিতব্য কাৰ্য্যের গোড়াপত্তন করা আমার বিবেচনায় কাজটা খুব ভাল, আর সেইজন্য বেদান্ত সাংখ্য পাতঞ্জল প্রভৃতি দর্শনশাস্ত্রের পুথির পাতী কচলাইয়া তিক্তরসের পরিবেশন যতদূর করিবার তুহো আমি পুৰ্ব্ব পুৰ্ব্ব অধিবেশনে সাধ্যমতে করিয়া চুকিয়fছ—এতএব আজ আর না। দর্শনশাস্ত্র ছড়া আরো শাস্ত্র আছে—আস্বাদনশাস্ত্রও শাস্ত্র । শেষোক্ত শাস্ত্রের “মধুরেণ সমাপয়েৎ" বচনটির সম্মানরক্ষা আমাকর্তৃক যতদুর সস্তবে তাহার কোনো প্রকার ক্রটি না হয় সেই চিন্তা এক্ষণে আমার মনোমধ্যে বলবতী ; তাই গীতাদি প্রাচীন শাস্ত্রের সাশালে এবং রসালো প্রদেশগুলি আদ্যোপান্ত মনোযোগের সহিত পর্য্যবেক্ষণ করিয়া দেখিয়া আমি যাহা সার বুঝিঃাছি তাহাই আজ আশ্রমবাসী সুধীজনের সেবায়ু সপিয় দিয়া গীতাপীঠের উপসংহার-কাৰ্য্যটি মধুরেণ সমাপন করিব মনে করিয়াছি ; আর তাহাতে যদি আমি কৃতকাৰ্য্য হই, তবে তোমার প্রশ্নের মীমাংস আমার বিদ্যাবুদ্ধির উপরে যতদুর নির্ভর করে তাহা আপন হইতেই সহজে নিম্পন্ন হইয়া যাইবে, তা বই—তাহার জন্য আমাকে উপরন্তু কোনো প্রকার প্রয়াস পাইতে হইবে না। অতএব প্রণিধান কর ঃ