পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&b" প্রবাসী—কান্তিক, ১৩২১ শশিদেব কর্তৃক উৎকীর্ণ। বানগড় হইতে দক্ষিণে পোরসা নামে বর্তমানে মুসলমান জমীদারদের বাসস্থান এক বিখ্যাত গ্রাম আছে। তাছাই প্রাচীন পোসলী গ্রাম হইতে পারে। অবশু ইহা নামসাদৃশ্বে অকুমান মাত্র। ” * বর্তমান দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাংশ মালদহ জেলার পশ্চিমাংশ রাজসাহী জেলার উত্তরাংশ এবং রঙ্গপুর ও বগুড়া জেলার পশ্চিমাংশ হইয়া কোটিবর্ষ বিষয় গঠিত ছিল বলিয়া বোধ হইতেছে । এই কোটিবর্ষ বিষয়ের সহিত পাল রাজগণের বিশেষ সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল । পালরাজগণের শেষ তিনখানা তাম্রশাসন এই চতুঃসীমার মধ্যেই আবিষ্কৃত হইয়াছে। গুরব মিশ্রের গরুড়স্তস্তও এই সীমার মধ্যেই। ২য় মহীপালের রাজত্বকালে যে কৈবর্তগণ বিদ্রোহী হইয়া পালরাজ্য উণ্টাইয়া দিয়াছিল— সেই কৈবৰ্ত্তরাজা দিব্য ও ভীমের কীৰ্ত্তি ধীবর-দীঘি বা দিবর দীঘি এবং ভীমের জাঙ্গালও এই সীমারই মধ্যে । রামপাল বরেন্দ্রী পুনরুদ্ধার করিয়া যে জগদ্দল মহাবিহার ওঁ "রমাবতী নগরী প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন তাহার ধ্বংসাবশেষও এই চতুঃসীমার মধ্যেই অবস্থিত রহিয়াছে । ' জার রহিয়াছে এই সীমার মধ্যে মহীপালের স্মৃতিবিজড়িত দুই তিনটি প্রাচীনকালের সমৃদ্ধিসম্পন্ন স্থানের ভগ্নাবশেষ। দিনাজপুরের দক্ষিণাংশে বালুরঘাট মহকুমা সহরের তিন মাইল দক্ষিণে মহীসন্তোষ ও তাহার পাশ্বেই আত্ৰেয়ী নদীর তীরে মহীগঞ্জ এবং বালুরঘাট সহরের দুই মাইল উত্তরে আত্রেয়ীর তীরে মহানগর এখনও মহীপালের স্মৃতি জাগরূক রাখিতেছে। আত্রেয়ীর পূর্ব পারে মহীগঞ্জ, পশ্চিম পারে বহু প্রাচীন ভগ্নাবশেষসমাকীর্ণ ভাটশীল গ্রাম। বরেন্দ্র দেশের কেন্দ্রস্থিত এই গ্রামটিই বোধ হয় বরেন্দ্র ভট্টশালী গ্রামীন ব্রাহ্মণগণের আদি বাসগ্রাম ছিল । মহীগঞ্জে এবং মহীনগরে এখন দেখিবার বিশেষ কিছুই নাই, কিন্তু মহীসন্তোযে এখনও বিস্তীর্ণ ভগ্নাবশেষ ও প্রাচীন রাজধানীর চিহ্ন বর্তমান রহিয়াছে। স্থানীয় কিম্বদন্তী যে এস্থানে প্রাচীন রাজাদের মফঃস্বলের রাজধানী এবং বিলাসবাটিক ছিল । মহীপালের বানগড় শাসনে দেখা যার যে তাহ [ ১৪শ ভাগ,২য় খণ্ড বিলাসপুর সমাবাসিত জয়স্কন্ধাবার হইতে প্রদত্ত হইয়াছিল। বিলাসপুর এই মহীসন্তোষ হইবার খুব সম্ভাবন।। প্রাচীনকালে পুণ্যতোয় আত্ৰেয়ী নদীর বীকের উপর স্থাপিত এ স্থানটির অবস্থান অতি মনোরম ছিল । এই প্রাচীন সুরক্ষিত স্থানটির বিবরণ পূৰ্ব্বে কেহ দিয়াছেন বলিরা অবগত নহি । এই স্থানের বিস্তুত বিবরণ লিপিবদ্ধ হইবার যোগ্য । - বিস্তীর্ণ পরিখার মধ্যে উচ্চ প্রাকার গাথিয় মহীসন্তোপের দুর্গ প্রস্তুত হইয়াছিল। স্থানীয় লোকে বলে যে দুর্গের পরিখা ছাড়া সমস্ত সহরটি বেষ্টন করিয়া এক প্রকাণ্ড পরিখা ছিল। কিন্তু তাp:র চিহ্ন আজিকাল আর দেখিতে পাওয়া যায় না । দুর্গপরিখা কিন্তু এখনও অতি সুন্দর অবস্থায় আছে। উত্তর, পূৰ্ব্ব, ও দক্ষিণ দিকে এখনও গভীর জল থাকে। পশ্চিমদিকের পরিখা শুকাইয়া গিয়াছে। এতৎসহ প্রকাশিত মানচিত্রে দেখা যাইবে যে দুর্গের পশ্চিম উত্তর দিকে একটি প্রকাও জলময় স্থান আছে ; কেহ কেহ বলেন এখান দিয়া আত্ৰেয়ী নদী প্রবাহিত ছিল, পরে নদীর গতির পরিবর্তন হইয়। এখানে বিল হইয়াছে । কেহ কেহ বলেন ষে এইট একটা প্রকাও দীঘি ছিল । আত্ৰেয়ী হইতে জল আনিয়া পরিখা ভর হইয়াছিল। দুর্গের প্রাকার এখনও সম্পূর্ণ মুরক্ষিত অবস্থায় আছে। মানচিত্রে দেখা যাইবে ষে প্রাকারের কোণগুলি বর্তুলাকার, এবং পশ্চিম ও পুৰ্ব্ব পাশ্বধয়ের মধ্যদেশ তরঙ্গিত। এই আকারে প্রাকারট দেখিতে অতি সুন্দর । দুর্গমধ্যে প্রবেশ করিবার কোনও পথ নাই, কেবল দক্ষিণধারে পরিখার মধ্যে একটি উচু স্থান আছে। এইটি বোধ হয় পরিখাসেতুর ( Drawbridge ) অবতরণের স্থান ছিল । প্রাকারের উচ্চত দেখাইবার জন্য যে চিত্র দেওয়া গেল তাহ হইতে দেখা যাইবে যে প্রাকার এখনও প্রায় ১২-১৩ হাত উচু রহিয়াছে । দুর্গটির পরিমাণ অনুমানিক ৪০ • গঞ্জ × ৩•• গজ। প্রাকারের অভ্যন্তরে অনেকগুলি ভগ্ন স্তুপ আছে, তাদের উপর অসংখ্য শতমূলির লতা হইয়া রধিরাছে। ভগ্নস্তুপগুলির মধ্যে কেবল একটির নাম এখনও লোকে