পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শু৯৬ সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত হেমেন্দ্রনাথ দত্ত মহাশয় পল্লীবাসীদের বৰ্ত্তমান অবস্থাল একটি চিত্র প্রকাশিত : করিয়াছেন । আমরা ‘ঢাকা প্রকাশ’ হইতে উহার কতক অংশ উদ্ধত করিয়া সহরবাসীগণকে পল্পীজীবনের কিঞ্চিৎ পরিচয় দিতেছি । • “মসুধনসিংহ-জেলার অন্তর্গত দীঘিরপাড় গ্রামে বহুসংখ্যক মূীর বাস । দীঘিরপাড়ে অন্নকষ্টের সংবাদ পাইয়। অামাদের সমিতির প্রতিলিপি শ্ৰীযুক্ত শিশুরঞ্জন বিশ্বাস মহাশয়কে সেখানে পঠাইয়াছিলাম । তিনি যাহা জানাইয়াছেন, নিম্নে তাহ প্রদত্ত হইল। 辭 豪 磐 辭 ‘শুনিলাম এই মুচী-পল্লীতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মুগীর বাস । ইহাদের সকলেরই ব্যবসায় মৃত জস্তুর চামড়। সংগ্ৰহ করিয়া বিক্রয় করা । এই সাড়ে তিন হাজার লোকের মধ্যে মাত্র সাত অlট ঘর গৃহস্থের সীমান্য কিছু দুই তিন বিঘা ) চাষেয় জমি আছে। এতদ্ভিন্ন আর কাহারও বাসগৃহ-পরিমাণ জমি ছাড়া আর কোন জমি নাই। বর্তমান ইউরোপীয় যুদ্ধহেতু কাচ চামড়ার রপ্তানী বন্ধ হওয়ায় ইহু!দের সংগৃহীত চামড়া বিক্রয় না হওয়াতে ইহাদের মধ্যে ভীষণ অল্পব ষ্ট অfরস্ত হইয়াছে । গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ ভাগ হইতেই ইহাদের মধ্যে প্রবল অল্পকষ্ট দেখা গিয়াছে। এখানে আমাদের সমিতির প্রতিষ্ঠিত একটি অবৈতনিক প্রাইমারী পাঠশালা আছে । কিছুকাল পূৰ্ব্বে পাঠশালার ছাত্রসংখ্যা পঞ্চাশের উপর ছিল । অন্নাভাবে ছাত্রসংখ্যা একেবারে কমিয়া গিয়াছে । ইহাদের মধ্যে যে কিরূপ অন্ন কষ্ট উপস্থিত হইয়াছে তাৰা গত ২২শে অক্টোবর তারিখের স্কুল সবইন্‌পেক্টর মহাশয়ের পরিদর্শণ-মন্তব্য পাঠে সমকৃ হৃদয়ঙ্গম হইবে । তিনি लि१िभ्रां८ङ्न :- 曾 “অদ্য সাহাপুর ঋষিপাড়। স্কুল পরিদর্শন - করিলাম। বর্তমান সময়ে ৩৪টি বালক এই বিদ্যালয়ে শিক্ষা পাইতেছে, ইহাদের মধ্যে ২৩ জন ছাত্র উপস্থিত ছিল । অধিকাংশ বালক উপবাসী , ইহাদিগকে পরীক্ষা করা গেল না। o (স্বাক্ষর ) আবদুল হাকিম, স্কুল-সব-ইনৃস্পেক্টর, বাজিতপুর।” শুনিলাম সব-ইনূস্পেক্টর সাহেব ইহাদের অবস্থা দেখিয়া এতদূর বিচলিত হইয়tfছলেন যে, তখনই নিজ হইতে একটি টাকা দিয়t চাউল-দাউল খরিদ ও পাক করাইয়া তদ্বার। উপবাসী ছাত্রদিগকে छाङ्द्र कब्लो३शक्कैि छन ! বর্তমান সময়ে ইহীদের মধ্যে অধিকাংশ লোক উদ্ধৃবৃত্তি অবলম্বন করিয়! অর্থাৎ জমিয় ধান কাটিয়া নেওয়ার পর যে ধান জমিতে পড়িয়া থাকে তাহ সংগ্ৰহ করিয়া কোনরূপে জীবনরক্ষ{ করিতেছে । কয়েকটি লোক অপরের ক্ষেতের ধান কাটিয়া দিয়া কিছু কিছু উপার্জন করিতেছে। বলা বাহুল্য, অতি অল্প লোকেরই এই কৰ্ম্ম জুটিতেছে । যেসমস্ত পরিবারে অন্ন কষ্ট অত্যন্ত অধিক, সেইসকল পরিবারের সমস্ত স্ত্রীলোক ও বালক বালিকা ভোরবেলায় একখান। ডালাসহ বহির হইয়া সমস্ত দিন মাঠে মাঠে ঘুরিয়৷ যাঙ্গ পায় তাহ। লইয়া সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে গৃহে ফিরিয়া আসে । এই প্রকারে এক এক পরিবার রোজ /৩ সের হইতে /৮ সের পর্য্যস্ত ধান সংগ্ৰহ করিতে পারে । প্রবাসী—ফাল্গুন, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড এই উপায়ে এই লোকগুলি অার ও ১ ০৷১৫ দিন কোনরূপে জীবিকানিৰ্ব্বাহ করিয়া থাকিতে পরিবে ; ঐ সময়ের মধ্যে সমস্ত আমির ধানকাট। শেয হইয়া যাইবে । তারপর উহার সম্পূর্ণ নিরুপায়। আর ১৫২০ দিন পরে ইঃ দের মধ্যে সাহায্য-ভাওীর খুলিতে হইবে, নচেৎ অন্ন ভাবে ইহীদের মধ্যে অনেকের অবস্থা যাহt হইবে, তাহ ভাবিতে ও প্রাণ কঁপিয় উঠে । দেখিলাম, ইহাদের মধ্যে এখনই এমন স্ত্রীপুরুষ অনেক্ট আছে, যাহারা বহু-শেলাই-ও-গ্রন্থিযুক্ত ছিন্নবসন পরিয়া কোন প্রকারে লজ্জা নিবারণ করিতেছে । এই দারুণ শীতে ইহাদের যে কি অবস্থা হইতেছে ও হইবে তাহ ভাবিবার বিষয় --ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভবপর নহে। ইহাদিগকে কিছু পুরাতন বস্ত্র সংগ্ৰহ করিয়া দিতে পাপ্লিলে তাল হয় । আমার বিশ্বাস, ইহাদের এক-চতুর্থাংশ অর্থাৎ প্রায় নয়শত লোককে দীর্ঘকাল সূrহায্য করিতে হইবে। প্রত্যেককে দৈনিক একবেলায় আহারোপযোগী দেড়পোয় হিসাবে চাউল দিলে প্রত্যহ আট মণ চাউল ( ৪• ) টাকার দরকার।" হেমেন্দ্রবাবুর চিঠিতে রামকৃষ্ণ-সেবাশ্রমের রিপোর্ট হইতে যে অংশ সঙ্কলিত হইয়াছে তাহীও এস্থলে উল্লেখযোগ্য। সেবা এমের রিপোর্টার শ্রীযুক্ত অম্বিকাচরণ নাগ, বি এলু, মহাশয় লিখিয়াছেন— “আমাদের দীঘিরপাড় পৌছিবার পূৰ্ব্বে ২৭টি কলেরা রোগীর মধ্যে ২৩টি মৃত্যুমুখে পতিত হয় । আমরা যাইয়া ৩৪টিকে শয্যাগত পাই। আমাদের যাইবার পর ৫ই জানুয়ারী পর্যন্ত আরো ২২টি লোক রোগাক্রান্ত হয় ; তন্মধ্যে ৮টি মারা শিয়াছে, সুতরাং ৫ই জানুয়াল্পী পৰ্য্যন্ত ৩১টি মুঠি কলেরায় প্রাণত্যাগ করিয়াছে । এই সময়ের মধ্যে যে ৫৬টি রোগীর চিকিৎসা করিতে হইয়াছে তন্মধ্যে ১টি এখন পর্ষ১্যস্ত চিকিৎসাধীন, ৮টি মৃত এবং ৪৭টি আরোগ্য লাভ করিয়াছে । সুতরাং চিকিৎসা ও শুশ্ৰুষার ফল সন্তোষজনক । কিন্তু এখনও অনেক কৰ্ম্ম অবশিষ্ট আছে । মুচিদিগের কঠোর দরিদ্রত। দূর করিবার উপযুক্ত ব্যবস্থা না করিলে চিকিৎসা ও শুশ্ৰুষার ফল স্থায়ী হইবে না। আমার মতে দরিদ্রতাই মুচিপল্লীতে কলেরার আক্রমণের কারণ। যাহার নিয়মিতরূপে ক্ষুধানিবৃত্তি করিতে পারে নাই ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অtহার করিয়াছে, প্রধানত: তাহারাই এই ¢द्र{cशं ॐfक्वाँठ श्शे भूttएं । 家 豪 豪 李 প্রায় ৮শত বালক বালিকা ও স্ত্রীপুরুষের জীবিকানিৰ্ব্বাহের কোনই উপায় নাই ।” পল্লীবাসী মুচিদের দুর্দশার এই চিত্র উপস্থিত করিয়া হেমেন্দ্র বাবু উপসংহারে বলিয়াছেন— “কিন্তু শুধু ওলাউঠার হাত হইভে মুচিদিগকে রক্ষা করিলে कि श्ईtत ? अश्नां छाद घूम ना कब्रिtण शूट्र श्रश्च शृकाप्ब डाश1দিগকে আক্রমণ করিবে । আমরা প্রতিদিন কাহাকেও কিছু পয়সা, কাহাকে ও কিছু চাউল দিয়া কোনরূপে উপবাস হইতে রক্ষা করিবার চেষ্টা করিতেছি ; কিন্তু অন্ততঃ আটশত লোককে দৈনিক একবেল আহারোপযোগী দেড়পোয় হিসাযে চাউল দিলেও প্রতিদিন এজন্য ৪০ টাকার আবশ্বক । দারুণ কলেরার আক্রমণ হইতে মুক্তি লাভ করিবার পর রোগীর জঠরানল প্ৰথন তীব্রভাবে