পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ما هوان ৰাস্তবিক তাহাই ঘটে । পাতা ফুল ফল গাছের মধ্যে কোথায় যেন লুকাইয়া ছিল। বসন্তের দূত দখিন হাওয়া বহিবার উপক্ৰমেই, তাহারা ঋতুরাজের সাড়া পাইয়া বাহির হইয়া আসে, এবং পশুপক্ষীর সহিত মিলিয়৷ উৎসব করিতে থাকে । মাকুয অনেক বৎসর বঁাচে, এবং তাহার জীবনে অনেকবার লসন্তে প্রকৃতির এই নব জাগরণ, এই উৎসব লক্ষিত হয় । সেইজন্য শীতের পর পৃথিবীর নবীন মূৰ্ত্তি দেখিতে পাইবে পলিয়া দুরদশী অদুরদর্শী সকলেই আশা করে। আশা পূর্ণও হয়। জাতির জীবন মাহুষের জীবনের মত অল্পকালস্থায়ী নয়। জাতীয় জীবনের শীতও দুই-তিন-মাস-ব্যাপী, কিম্বা দুই-তিন-বৎসর-ব্যাপী নহে। উহা বহুশতাবীব্যাপী হইতে পারে । সুতরাং কোন জাতির জীবনে শীত ও শীতের পর বসত্তের জীবনদায়িনী শক্তি প্রত্যক্ষ করা অল্প লোকেরই ভাগ্যে ঘটে । এইজন্য ঐতিহাসিকের চক্ষু দিয়া নানা জাতির জীবনে ভিন্ন ভিন্ন ঋতুর তিরোভাব ও আবির্ভাব দেখিতে হয় । তাহা দেখিলে আর এরূপ কোন সন্দেহ থাকে না যে শীতই জাতিবিশেষের জীবনের শেষ ঋতু ; তখন দৃঢ় বিশ্বাস হয়.ষে শীতের পর বসন্ত আসিবে । উহার উৎসব করিতে আমরা বঁচিয়া থাকিতে না পারি, কিন্তু মানসনেত্রে আমাদের, উহ দেখিবাৰু শক্তি জন্মে । আমরা এমন এক যুগে জন্মিয়ছি ও বাচিয়া আছি যখন আমাদের দেশে না হউক, আর কোন কোন দেশে শীতের পর বসন্তের সজীবতা আসিয়াছে। তাই শুধু অতীত ইতিহাসের মধ্যে নয়, সমসাময়িক ইতিহাসে ও বসন্তের হাওয়ার শব্দ যেন শুনিতে পাইতেছি, উহার ম্পর্শ যেন আমাদিগকে পুলকিত করিতেছে। যে ঝড়ে পাতা ঝরিয়া পড়ে, দু-একটা ৬লি ভাঙ্গিয়া ষায়, গাছও উন্মুলিত হয়, হয় তৃ বা তাহাঙ্গ বসত্তের নকীব । কিম্বা আমাদের দেশেও হয় ত দখিনা বাতাস বহিতেছে ; আমরা বহুকাল শীতে আড়ষ্ট ও অসাড় থাকায় কিম্বা এখনও ভয়ে লেপ কঁাথ জড়াইয়া থাকায় উহা অনুভব করিতে পারিতেছি না । প্রবাসী—চৈত্র, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড S A S A S A S A S S S AAAAAS S S S S ンいヘヘヘヘ一・ベ・ヘヘヘヘ・ヘヘヘヘヘ/p 。 এই অকুমান সত্য হউক বা না হউক, আমাদের জাতীয় জীবনে বসন্ত যে আসিবে, অffসতেছে, তাহা সুনিশ্চিত । জাতীয় জীবনে শীতের পর বসন্তের আগমন সম্বন্ধে ইতিহাসের সাক্ষ্যই চূড়ান্ত সাক্ষ্য নয়। যদি ইতিহাস বলিত যে এরূপ অতীত কালে কখন ঘটে নাই, তাহ। হইলেও আমরা বলিতাম- “কাল নিরবধি ; অতীতে যাহা হয় নাই, ভবিষ্যতে তাহ হইতে পারে। অনন্তশক্তিশালী বিধাতা তাহার সমুদয় লীল। অতীতেই শেষ কয়িয়া চুকিয়াছেন, ইহা সত্য নহে। ভবিষ্যতেও তাহার বিধানের নূতন নুতন অভিব্যক্তি হইবে।” মানবহৃদয়ের আশা, মানবহৃদয়ের উন্মুখতা, ইতিহাস অপেক্ষাও বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষী । অতএব বসন্ত আসিবে । কেমন করিয়া, তাহ জানি না ; কিন্তু অtfসবে । দেশজননীব তরুণ পুত্ৰকণ্ঠাগণ, জ্ঞানভক্তিকৰ্ম্মের পত্রপুপফলে সুসজ্জিত হইয়া আপনারা বসন্তের উৎসব করিবার জন্য প্রস্তুত হউন । গোপাল কৃষ্ণ গোখলে গোপাল কৃষ্ণ গোখলের অকালমৃত্যুতে ভারতবাসী যেরূপ শোক করিতেছেন, এরূপ শোকের কারণ বহুকাল ঘটে নাই । রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মক্ষেত্রে তাহার স্থান অধিকার করিতে পারেন, এমন কাঙ্গকেও এখন দেখা যাইতেছে না । দেশের মধ্যে তিনিই যে একমাত্ৰ বুদ্ধিমান, বাগী, রাষ্ট্রীয় নানাবিধয়ের জ্ঞানসম্পন্ন প্যক্তি ছিলেন, তাহা নয় । এরূপ লোক আরও আছেন । কিন্তু তিনি দেশের রাষ্ট্রীয় উন্নতির জন্ত যেরূপ আর-সব কাজ, আর-সব সুখ, আরসব চিস্তা ত্যাগ করিয়াছিলেন, সেইরূপ ত্যাগী তাহার সমকক্ষ এমন লোক কোথায় ? কিন্তু আমরা নিরাশ হইতে পারি না । যিনি গোখলেকে গড়িয়াছিলেন, তিনি নিজের কাজ করাইবার জন্য আরও মাকুষ গড়িতেছেন । উনপঞ্চাশ বৎসর বয়সে এই দেশভক্ত মহাত্মার মৃত্যু হইয়াছে। পাশ্চাত্য অনেক দেশের লোকের জীবনে ইহা শক্তির জোয়ারের বয়স । আমাদের দেশে অধিকাংশের শক্তিতে এই সময় ভাট পড়ে, অনেকের মৃত্যু হয়।