পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి ty যে সে বিপদের মোহনবাশী গুণিলেই নিজের অনিষ্টেব আশঙ্কা ভুলিয়া গিয় তাহার দিকে ধাবিড় হয়। অথান্ত দেশের মত জামাদের দেশের লোকেও বিপদকে.অগ্রাহ কবিয়া সাহস দেখাইতে পৌরুষ দেখাইতে চায় । “দেখাইতে চায়” বলাটা ভুল হইতেছে। বিপদুকে অগ্রাহ করা, সাহসের কাজ করা, বtধাবিঘ্ন অতিক্রম করা, প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাস্ত করা, এই সব হচ্চে জীবনের পূর্ণতা লাভের ব্যক্তিত্বের পুর্ণবিকাশ সাধনের উপায়। সভ্য ও অসভ্য দেশসকলে, সৎপথে থাকিয়া, অাইনভঙ্গ না করিয়া, লোকে নন। কাজের ভিতর দিয়া এইরূপ উপায়ে জীবনের পূর্ণত লাভ করে। আমাদের দেশেও, বিপদৃকে অগ্রাহ্য না করিলে, প্রবল বাধাবিঘ্ন অতিক্রম না করিলে, শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাভূত না করিলে, দtহাদের পৌরুষ চবিতাৰ্থ হয় না, আইনসঙ্গত পথে তাহীদের সেই চরিতর্থিত লাভের উপায গবর্ণমেণ্টের এবং দেশের লোকদের করিয়া দেওয়৷ কৰ্ত্তব্য । শাসনকৰ্ত্তারা বিশ্বাস করুন, দেশের লোকেরা 'বিশ্বাস করুন, মধ্যযুগের রাজপুতদের মত বিপংকামী মরণপ্রেমিক লোক এখনও ভারতবর্ষে জন্মে ! ই চাদের প্রকৃতির অনুরূপ আইনসঙ্গত কাজ জ্বটাইয়া দিন । কাহারও কাহারও কেমন একটা ভুল ধারণ আছে, যে, বীর হইতে, মানুষ হইতে, বলিলেই তাহার। ভাবে যেন লোককে রক্তপাত করিতে উত্তেজিত করা" হইতেছে, লোকে যাহাই ভালুক, আমরা গুপ্ত বা প্ৰকাত নরহত্যকারীfদগকে বীর ত মনে করিই না, যাহার। যুদ্ধক্ষেত্রে নিজের সাহসিকতা প্রযুক্ত বা হাজার হাজার যোদ্ধার রণেন্মাদের সংক্রমিক তার বশে মহিষ মারিতে মারিতে নিজেদের প্রাণ তারায়, তাহাবাও নিশ্চয়ই একপ্রকারের শৌর্য্য দেখাইলেও, তাতাদের চেয়ে তাহাদিগকেই খুব বেশী বীর বলিয়া মনে করি যাহারা বিভীষিকাপূর্ণ সংক্রামক মহামারীর সময় রোগীর সেবা করে, নিজের ধৰ্ম্মবিশ্বাসের জন্ত উৎপীড়কদের দ্বারা কারারুদ্ধ, আহত, বা নিহত হয়, বা অধিকাংশ লোকের ভ্রান্ত বিশ্বাস, শক্তিশালী সম্প্রদায়ের স্বার্থ, বা 'দেশের কদাচারের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হুইয়া, দৈহিক স্বাধীনতা, এমন কি প্রবাসী—চৈত্র, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড প্রাণকে পৰ্য্যন্ত বিপন্ন করে। গুণ্ডামি ও বীরত্বের প্রদে ভাল করিয়া বুঝা সকলেরই, বিশেষ কপ্লিয়। যুবকদের কৰ্ত্তব্য। বীরত্বের প্রধান উপাদান সাহসের সদ্ব্যবহার। শুধু নিভীকত থাকিলে হইবে না, তাহার সদ্ব্যবহার চাই। প্রতিহিংস, নারীপ্রেমমূলক ঈর্ষা, বা অষ্টবিধ কারণে মানুষ খুন করিয়া হস্তা নিজে থানায় হাজির হইয়াছে, এরূপ দৃষ্টান্ত প্রত্যেক জেলায় পাওয়া যাইবে। তাহাদিগকে কেহ বীর মনে করে না। অতএব বোমা ছুড়িয়া বা গুলি মারিয়া পলায়ন করিলে বা ধরা দিলেই, তাহাকে বীর বলিতে হইবে, ইহ। মনে করা অতি অকল্যাণকর ভ্ৰম । ৯ অনেক সরকারী কৰ্ম্মচারী “মকুষ্যত্ব”, “পৌরুষ”, “বীর”, প্রভৃতি শব্দকে বিভীষিকাপূর্ণ মনে করেন। তাহাদের জন্য সম্রাট পঞ্চম জর্জের একটি উক্তি উদ্ধত করা আবশ্যক । ১৯১২ সালের ৬ই জানুয়ারী কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিনন্দনের উত্তরে তিনি বলিয়াছিলেন, “আমার ইচ্ছা বহুসংখ্যক স্কুলকলেজ জালের মত দেশ ছাষ্টয়া ফেলুক, এবং তাহা হইতে রাজভক্ত, পৌরুষপূর্ণ এবং কার্য্যক্ষম লোক সকল বাহির হউক ।” পৌরু, যের অমুকুল ব্যবস্থা গবর্ণমেণ্ট করুন। ক্ষুদ্র চিন্তা, ক্ষুদ্র স্বার্থ, তুচ্ছ দলাদলি ঝগড়া, এসব লইয়া থাকিলে জীবনের পূর্ণতা লাভ অসম্ভব। জনসমাজের হিতকর বড় বড় কাজ, দায়িত্বপূর্ণ বড় বড় কাজ, যাহাতে নেতৃত্বের, শক্তির প্রয়োজন, এরূপ কাজ করিতে পাইলে তবে জীবনের পুর্ণতা সাধিত হয় । সকলে বিশ্বাস করুন, ভারতবাসীরাও এই পূর্ণতার পথের পথিক হইবার উপযুক্ত ; তাহাদের ও এরূপ বড় হইবার ও বড় কাজ করিবার যোগ্যতা আছে বা জন্মিতে পারে । অতএব কৃত্রিম উপায়ে ভারতবাসীর বিরুদ্ধে কোন দিকে দেওয়াল তুলিয়া বা দ্বার রুদ্ধ করিয়া যেন 'রাথ না হয় । ইহাতে তাহাদের প্রতি অবিচার করা হয়, এবং তাহাঁদের অনিষ্ট হয়। অন্যান্স নানা কারণের মধ্যে এই হেতু মনের মধ্যে বিরোধী তীব জন্মে। যাহাদের মাথা ঠাণ্ড নয়, যাহীদের ধৈর্য্য কম, প্রতিকারের ঠিক উপায় সম্বন্ধে