পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২e মুরুবিয়ান বা অনুগ্রহ এ নাম পাইতে পারে না ; পক্ষান্তরে ভয় বা স্বাধপ্রণোদিত খোসামোদ ও এ নামের অযোগ্য । ^ দসু্যতা ও অস্ত্র-আইন । দেশের লোককে অস্ত্রহীন ও অসহায় জানায় যে ডাকাতদের বুকের পাট বাড়িয়াছে, তাহীতে সন্দেহ মাই। এইজন্ত অনেকেই বলিতেছেন, অন্ততঃ যে সব লোককে গবর্ণমেণ্ট কতকটা বিশ্বাস করিতে পারেন, তাহাদিগকে অস্ত্র রাথিবীর ও ব্যবহার করিবার অনুমতি দেওয়া হউক। এ বিষয়ে বঙ্গের ব্যবস্থাপক সভায় সম্প্রতি এক প্রশ্নও জিজ্ঞাসিত হইয়াছিল । তাহার উত্তরে গবর্ণমেণ্টের মত জানিতে পার। গিয়াছে। গবর্ণমেণ্টের ইচ্ছা যে যদি ধনী মহাজন, সওদাগর, জমাদার প্রভূতি ব্যক্তির পেন্সনপ্রাপ্ত পশ্চিম সিপাহীদিগকে রক্ষী নিযুক্ত করেন, তবে তাহাদিগকে অস্ত্র রাথিবীর অধিকার দেওয়৷ হুইবে । গবর্ণমেণ্টের উচ্চ পদস্থ কৰ্ম্মচারীরা কেন গবর্ণমেন্টকে এরূপ উত্তর দিতে পরামর্শ দিয়াছেন, নিশ্চয় করিয়া বলা কঠিন ; কারণ “পরচিত্ত অন্ধকার ।” কিন্তু লোকে অকুমান করিতেছে যে, হয়, সরকারী কৰ্ম্মচারীর বাঙালীকে অস্ত্ৰ দিয়া বিশ্বাস করিতে পারেন না, নয়, তাহাদিগকে এরূপ ভীরু ও কাপুরুষ বলিয়৷ অবজ্ঞা করেন, যে তাহার। অস্ত্র পাইলেও দস্থ্য তাড়াইতে পারিবে, এরূপ ভরসা রাখেন না। বিশ্বাস অবিশ্বাস কাহাঙ্কেও জোর করিয়া করান যায় না । সে সম্বন্ধে কিছু বলিব না । কিন্তু অস্ত্রচালনায় বাঙ্গালী হয়ত সমর্থ হইতেও পারে । কারণ যে দ মুর অস্ত্র চালাইয়া ডাকাতি করে, তাহারাও অনেকে বাঙালী ; যদি আইনবিরুদ্ধ কাজ করিবার বেলায় কতকগুলি বাঙালী অস্ত্র চালাইতে পারে, তাহা হইলে আত্মরক্ষারূপ যে আইনসঙ্গত কাৰ্য্য তাহার জন্য অন্য কতকগুলি বাঙালী কেন অস্ত্র ব্যবহার করিতে পরিবে না ? দু-এক স্থলে গৃহলক্ষ্মীরাও ত রণরঙ্গিণী হইয়া স্বাকাতদিগকে শিক্ষা দিতেছেন । অস্ত্র আইনের কড়াকড়িতে দেশে শিকারীর সংখ্য,ক্ষমিয়া গিয়াছে। তথাপি এখনও অনেকে বাঘ છાિ *に3 l সুতরাং প্রবাসী—চৈত্র, ১৩২১ । ১৪শ ভাগ,২য় ও গবর্ণমেণ্টের প্রস্তাব অনুসারে কাজ করিতে হইগে ধনীদের অপমানবোধ হইবার সস্তাবনা । এমনি অনেক ধনী সশস্ত্র চাকর রাখেন , কিন্তু এ সৰ্ত্তে রথেন না যে ত{হাদের নিজের অস্ত্র ব্যবহারে অধিকার থাকিবুে না । কিন্তু চাকর যে অধিকার পাইবে, মনিব তাহ পাইবে ন, এ সৰ্ত্তে মান ইজ্জত থাকে কেমন করিয়া ? ইহাতে চাকরও ত মনিবকে অবজ্ঞা করিতে পারে । বর্তমানে ধনীর কেবল তাকাতদের ভয়ে ভীত ; তাহার উপর, নিজে নিরস্ত্র এবং চাকর সশস্ত্র এরূপ অবস্থ ঘটিলে চাকরদের কৃপারওঁ ভিখারী হইতে হইবে। এ বিষয়ে গবর্ণমেণ্ট পুনর্বিবেচনা করিলে ভাল হয়। দম্বারা যেমন করিয়া হউক অস্ত্রসংগ্রহ কfরবে, কিন্তু নির্দোষ লোকেরা সহজ সর্তে অস্ব পাইবে না, এরূপ অবস্থা দেশের শান্তিরক্ষার অর্কুকুল নয়। ইহা দ্বারা সরকারী কৰ্ম্মচারীদের প্রতি লোকের অকুরাগ ও সপ্তাব না বাড়িবার সম্ভাবনা । অনাথাশ্রম | বড়লাটের ব্যবস্থাপক সভায় আগ্ৰা-অযোধ্য প্রদেশের মীর আসাদ আলী জিজ্ঞাসা করেন যে ভারতবর্যের প্রধান প্রধান প্রদেশে হিন্দু ও মুসলমানদের কতগুলি অনাথাশ্রম আছে। তাঙ্গার উত্তরে জানা যায় ষে ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে হিন্দু ও মুসলমান অনাথাশ্রমের সংখ্যা મિનિડિક્રમ – &low of হিন্দু মুসলমান মোট মাহদী গ্র لايح & Ꮜr বোম্বাই S 8 સ્વ 2や বাংলা \’) 8 ‘. আগ্রা অযোধ্যা ১১ ১৩ R 8 전 > a 参 q ᏱᎽ বেহার ૨ Y § Vo 3C S. Հ আসাম o H 8 レ 8 Ꮌ brషి ইহা হইতে দেখা যাইতেছে যে সমুদয় ভারতবর্ষে মোটামুটি ৮৯টি অনাথtশ্রম আছে । হিন্দুদের ৪vটির মধ্যে কেবল ২৬টি ৩ বণিক। প্লাiখলার উপযুক্ত বন্দোবস্ত আছে ।