পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] উত্তরপশ্চিম-সীমা স্থপ্রদেশ, মধ্য প্রদেশ-ও-পেরার, এবং ব্ৰহ্মদেশ প্রাথমিক শিক্ষার বৃদ্ধি হইয়াছে । আরও দুইটি প্রদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩lহার ছাত্র বাড়িয়াছে। ১৯১৩-১৪ সালে বোম্বাই প্রেসিডেন্সীতে ৬২১টি বালকদের পাঠশাল। বাড়িয়াছে এবং সমুদয় বালকপাঠশালায় ছেলে বাড়ুিয়াছে ২৭,১৭০ ৷ বালিকা-পাঠশালা বাড়িয়াছে ৭২টি এবং ছাত্রী বাড়িয়াছে ৯৮৩ । মাত্ৰীজ প্রেসিডেন্সীতে বালকপাঠশালা বাড়িয়াছে ৭৯৪ টি এবং ছাত্র বাড়িয়াছে ৭৪২৩৮ । বালিকাপ{ঠশাল ও তাহাতে ছাত্রীর বৃঞ্চির সংখ্য এখনও জানিতে পাfর নাই । আর সব প্রদেশে প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার হইতেছে ; বঙ্গদেশে উহার বিস্তাবুের পরিবষ্ট্রে উহার ক্ষে ৭ সংকীর্ণতর কেন হইতেছে, সৰ্ব্ব সাধারণ শিক্ষাবিভাগের নিকট তাহার সন্তোষ জনক কারণ জানিতে চাছন । বিলাতে প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার । ভারতবর্ষের শিক্ষাবিভাগ এইরূপ একট। আন্দাজ ধরিয়া রাখিয়াছেন.যে দেশের মোট লোকসংখ্যার শতকরা ১৫ জন শিক্ষা পাইবার বয়সের মাসুষ ; অর্থাৎ কোন দেশে যদি যথেষ্ট স্কুল কলেজ থাকে, এবং সবাই নিজের প্রত্যেক ছেলেমেয়েকে শিক্ষালয়ে পাঠায়, তাহ হইলে দেপ। যাইবে, যে সে দেশের মোট ছাত্রছাত্রীর সংথ্যা মোট অধিবাসী সংখ্যার শতকরা ১৫ জন। আমাদের মনে হয় যে ইহা কম করিয়। ধরা হইয়াছে। কারণ, আমেরিকার ইউনাটেড ষ্টেটসের অধিবাসী-সংখ্যা মোট|মোটি প্রায় ১• কোটি ; তথাকার •কেবল সাধারণ বিদ্যালয়গুলিতে ( কলেজ আদি না ধরিয়া ) ছ। এছা ত্রীর সংখ্যা মোটমোটি ২ কোটি। অর্থাৎ মোট অধিবাদী সংখ্যার শতকরা ২০ জন কেবল সাধারণ বিদ্যালয়েই পড়ে। কলেঙ্গাদি ধরিলে আরও বেশী হয় । ১৯১২ খৃষ্টাব্দে মোট সর্বপ্রকারের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল দু কোটি এগার লক্ষ দু হাজার একশত তের ( ২,১১,০২,১ ' ' )। সুতরাং আমাদের শিক্ষাবিভাগ যে ছাত্রছাত্রীর সম্ভবপর উৰ্দ্ধ সংখ্যা মোট অধিবাসীর শতকরা ১৫ জন ধরেন, তাহ। নিতান্ত কম ; ২১২২ জন ধরিলে তবে ঠিক হয় । যাহা হউক ১৫ জনই যদি ঠিকৃ বলিয়া ধরা যায় তাহা হইলে দেখা যাইতেছে যে ইংলণ্ড ও ওয়েলুসের মোট অধিবাসী ৩,৬০,৭০,৪৯২ এর মধ্যে ছাত্রছাত্রীর উৰ্দ্ধসংখ্যা হয় ৫৪,১০,৫৬০ ৷ কিন্তু আমরা দেখিতে পাইতেছি যে তথায় ১৯১২-১৩ খৃষ্টাব্দে, কলেজগুলি ন ধরিয়া, কেবল নানা প্রকার স্কুলে ৫৬,২১,৬৬৩ জন ছাত্রছাত্রী ছিল । যদি শতকর। ১৫ জনই উৰ্দ্ধসংখ্যা হইত, তাহা হইলে এষ্ট অতিরিক্ত ২,১১,১০৩ বিবিধ প্রসঙ্গ—প্রাচীন-ভারতে ইস্পাত ○、○ ছাত্রছাত্রী কোথা হইতে ༢"a༡༡༩༣༥༠ উপর আবার ফুলেজের ছাত্রছাত্রী আছে। - ফুহা হউক, দেখা যাইতেছে যে ভাণ্ডতবর্ষীয় শিক্ষাবিভাগের আন্দাজ অক্সারে শতকরা একশত জনেরও বেশী বালক বালিকা বিস্তাতে শিক্ষা পায় । ত{হাতেও ১৯১২১৩ খৃষ্টাব্দে ইংলণ্ডে প্রাথনিক বিদ্যালয় ৬ টি বাড়িয়ছিল। ইংলণ্ডের তুলনায় বঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার অতি সামান্তই হইয়াছে। কিন্তু এখানকার শিক্ষা-বিভাগের উচ্চতম কৰ্ম্মচারীর। এমন লোগ্য লোক যে প্রাথমিক শিক্ষ। ক্রমশঃ কমিয়া চলিতেছে । প্রাচীন-ভারতে ইস্পাত । ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ববিভাগের পশ্চিম চক্রের তত্ত্বাবধায়ক শ্ৰীযুক্ত দিবাকর রামকৃষ্ণ ভাণ্ডারকর শ্বালিয়র রাজ্যের বেশনগরে কতক গুলি প্রাচীন কীৰ্ত্তি খুড়িয়া বাহির করিয়াছেন । তথায় “গাম বাব!” নামক একটি"স্তস্ত আছে। উহাব নীচে তিনি দু টুকরা লোহা পান। তাহার এক খণ্ড রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্ম তিনি সার রবtট হাড়ফীলুডের নিকট পাঠাষ্টয় দেন। উহ। বিশ্লেষণ করিয়া উগর ঐতিহাসিক গুরুত্ব সদ্বন্ধে সার রবার্টের এরূপ ধারণা হয় যে তিনি ফারাডে সোসাইটীর এক অধিবেশনুে উহার সম্বন্ধে নিজ মস্তব্য প্রকাশ করেন । তিনি বলেন যে গত কয়েক বৎসরে প্রাচীন লোহ ও তথাকথিত স্তম্পতের সে সকল নমুন। তিনি পরীক্ষ। করিয়াছেন, তাহার কোনটিতেই তিনি এরূপ পরিমাণে অঙ্গার দেখিতে পান নাই, যাহাতে তইাকে আধুনিক অর্থে ইস্পাত বলা চলে ; ভাণ্ডারকর-প্রেরিত এই ইস্পাতের নমুনাটিই আধুনিক সময়ে প্রদর্শিত একমাত্র ধাতুর্থণ্ড যtছ। অধিক পরিমাণে অঙ্গারমিশ্রণজাত ই পাত এবং যাহ। জলে ডুবাইয়। ঠাণ্ডা করিয়া শক্ত করা হইয়াছে। সার রবাট হাড় ফীলুডের বিশ্লেষণ-ফল “ এঞ্জিনীয়ারে” ছাপা হইয়াছে । তাহ। দ্বারা এই স্থির সিদ্ধান্ত করা যায় যে ভাণ্ডারকরের নমুনাটি ধটি ইস্প ত এতদিন কেবল সাধাৰণ লোকে নয়, প্রত্ন তত্ত্ববিদেবী ও মনে করিতেন ঘে মৃসলমান রাজত্বের পূৰ্ব্বে হিন্দুর স্পাতেব ব্যবহার বা প্রস্তুত করিবার প্রণালী জানিত না ; র্যাহার। হয়ত এরূপ শুনিলে হঁ। করিয়া থাকতেন যে প্রাচীন হিন্দুরা ইস্পাত নিৰ্ম্মাণ করিতে পরিতেন, এমন কি খৃষ্টপুৰ্ব্ব ১৪• অব্দে পারিতেন ; কেন না “ধাম বাবা’ স্তম্ভটির ঐ রূপ তারিখ নির্দিষ্ট হইয়াছে । অধ্যাপক পঞ্চানন নিয়োগী প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থের বচন উদ্ধার করিয়া দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছেন বটে যে প্রাচীন হিন্দুরা ইস্পাতের ব্যবহার জানিতেন, কিন্তু তাহার সিদ্ধান্তে অনেকে সংশয় প্রকাশ করিয়াছে. ; *