পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(१९ রহস্তকে অতুসন্ধান দ্বী বা জানার উৎসাহ সঞ্চয় কবার চেষ্টার অস্ত্রকরণ তেমন মনোযোগের সঙ্গে করি না । আমাদের আশ্রমের মধ্যে এবং চতুদিকে অনেক শ্রেণীর কীট ও পতঙ্গ দৃষ্ট হয় । আমরা কয়েক বৎসর ধরিয়া তাঙ্কাদের বিষয় পর্যালেক্ষণ করিতেছি । 직 মাঝে আমাদের পর্য্যবেক্ষণের মোট পুঞ্জনীয় শ্রযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় সম্পাদিত “ত হুপোধিনী' পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়া থাকে। আমাদের কোন কোন বন্ধু ইংরেজী পুস্তকের সাহায্যে এই পর্যবেক্ষণ করিতে বলেন, কিন্তু আমরা আপাতত তদনুযায়ী কার্যা করার বিরোধী। আপাতত আমরা কীট ও পতঙ্গ পর্য্যবেক্ষণকে সাধারণ ভাবে আরস্ত করিয়াছি সুতরাং ইহাতে “ ইংরাজী পুস্তকের সহায়তা লওয়া অনাবশ্যক মনে করি, স্বাধীনভাবে পর্য্যবেক্ষণ করাই আমাদের কর্তব্য । সম্প্রতি শিউলী গাছে আমরা এক শ্রেণীর কাট পাইয়াfছ। নিয়ে উক্ত কীট ও তাহার প্রজাপতির সম্বন্ধে আমাদের পর্য্যবেক্ষণের ফল যংfকঞ্চিৎ লিপিবদ্ধ করা হইল । সাধারণত বর্ষার সময় তরুলতার গায়ে বিস্তর কীটের সমাগম দেখিতে পাওয়া যায়। বর্ষার প্রারস্তেই শিউলীগাছেও পোকার অবিভাব হইয়া থাকে । গাছে যে পোকার আবির্ভাব হইয়াছে তাহ। গাছের চেষ্টার। হইতে বেশ বুঝা যায়। বর্ষার সরস চুম্বনে যদিও নিদাঘতপ্ত তরুলতা নক প্রাণরসে সিঞ্চিত হইয়া সুন্দর ও শ্যামল হইয় উঠে তথাপি উচ্চাদের পত্রে অসংখা ক্ষতচিহ্ল বৰ্ত্তমান থাকে। বর্ষায় একদিক দিয়া যেমন উদ্ভিদূরাজি নবযৌবনের সৌন্দর্য্য লাভ করে তেমনি কীটমূখে নিদারুণ ংশনযন্ত্রণাও ভোগ করে । ক্ষতচিহ্লবিশিষ্ট পত্রগুলিই অনেক সময় মানুষকে জানাইয়া দেয় যে তাহীদের রক্ষে কীটের আবির্ভাব হইয়াছে। বৃক্ষে যদি ঐ প্রকার চিত্ব না থাfকত তাহ। হইলে নিঃসন্দেহ পোকা গুলিকে ধরা অত্য স্তই কঠিন হইত। আত্মরক্ষা করার জন্য বিধাত। নিম্নশ্রেণীর প্রাণী ও কীটপতঙ্গকে যে সকল উপায় বা অস্ত্ৰ দিয়াছেন তাহ। যৎসামাগু হইলেও তাঁহাদের প্রাণ রক্ষ করার বিশেষ প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩২১ [ ৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড সহায়তা করে । ছোট যে পিঁপড়ে তাহার দংশন খুব ছো। বটে কিন্তু তাহার স্বালা যে কেমন তা বোধ করি কাধি কলমে না লিখিলে কোন দোষ হইবে না । বোলত একটি ছোট পতঙ্গ, fক স্থ তাহার হলের বিন্ধনঞ্জলি હા નિ૮ માગી છે অস্ত্র বলা চলে না। কীটমহলে আত্মরক্ষার জন্য কতক গুলি ফণকীর উপায় অবলম্বিত হয় । ঐ উপায়কেই ৩৷হাদেং ‘માજાં થના ના stન Bg gBB BBB BBS BBBS 00LSK KK KKSDD KSK রক্ষণ করা অধিকাংশ কীটের সাধারণ উপায় । যে কীট যে গাছে বাস করে –সেই গাছের . পাতার বর্ণকে হুবহু অনুকরণ করিয়া নিশ্চিও মনে পাতার ংস সাধ•ে ব্যাপৃত থাকে পাখী উড়িয়া আসিয়া হয়ত যে শাখায় কাটমহাশয় পুরিয়৷ বেড়াইতেছেন, ঠিক সেই শাখার উপর বসিল কিন্তু পোকার দেখা পাইল না । অবs) অধিকাংশ কীটই গাছের পাতার তলাংশে অবস্থান করে, সহজে পা তার উপরের κιά আসে না। কোন কোন কাট ইহা ছাড়া অন্য ধরণের উপায় অবলম্বন করিয়া আত্মরক্ষা করিয়া থাকে। অধস্ত এ ক্ষেত্রে হয়ত তাহ উল্লেখ কর। অপ্রাসঙ্গিক চ তবে । fনতাস্ত অবহেলার ব্যাপার নয় ! সুতরাং বারাস্তরে অন্য এক শ্রেণীর কীট ও তাহার প্রজাপতির বিষয় আলোচনা কালে তাহাদের আত্মরক্ষার বিভিন্ন উপায়ের বিষয়ও লিপি৩ হইবে । - শিউলী গাছের এই যে কাটের বিষয় বলিতেছি ইহার। গাছের পাতার বর্ণ অনুকরণ ও পা তার তল অংশে অবস্থান ব্যতীত অন্য কোন উপায়ে পক্ষিকুলের গ্রাস হইতে আত্মরক্ষ। কfরতে পারে না। অতাও শৈশবে ইহাদের ক্ষুধা অত্যন্ত প্রবল থাকে । সুতরাং তখন ইহার অল্পীয়াসে স্বল্প সময়ের মধ্যে বড় বড় শিউলী পাতার অস্তিত্ব লোপ করিয়া দেয় । দীর্ঘক্ষণ মুখ চালাইবার পর সম্ভবত ক্লান্তি নিবারণের জন্য ইহারা কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে । মিনিট কয়েক বিশামের পর পুনরায় মুখ-যন্ত্রের ক্রিয়া বেশ সুচারুরূপে আরস্ত হয় এবং বহুক্ষণ পর্ষ্যস্ত চলিতে থাকে। ঠহার। শৈশব হইতে কাট অবস্থার শেষ পৰ্য্যন্ত কয়েকবার দেহের চৰ্ম্ম বরণ পরিবর্তন করিয়া থাকে।