পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা | সেবা-সাম * আলগ হ’য়ে আলুগোছে কে আছিস জগতে জগন্নাথের ডাক এসেছে আবার মরতে ! তফাৎ হ’য়ে তফাৎ ক’রে নাইক মহত্ব,• দশের সেবায় শূদ্র হওয়াই পরম দ্বিজত্ব ! পিছিয়ে যারা পড়ছে তাদের ধরে নে ভাই হাত, মিলিয়ে নেব কণ্ঠ আবার চলুৰ সাথে যূথ ; জগন্নাথের রথ চলেছে, জগতে জয় জয়,-— একটি কণ্ঠ থাকুলে নীরব অঙ্গহানি হয় ; সাথের সাথী পিছিয়ে রবে,—কাদবে নাকি মন ? এমন শোভাযাত্র। যে হায় ঠেকূবে অশোভন । 發 鬱 攀 發 চিত্তময়ী তিলোত্তম। ভাবাত্মিক মোর, মৰ্ত্তে এস নন্দনেরি নিয়ে স্বপন-ঘোর ; তোমার আঁখির অমল আভায় ফুটাও অন্ধ চোখ আদর্শেরি দর্শনেতে জনম সফল হোকৃ। জাগ কবির মানসরূপে বিশ্ব-মনস্কাম,— সৰ্ব্বভূতে আত্মবোধে মহান সেবাসাম । 臺 <豪 發 彎 এক অরূপের অঙ্গ মোরা লিপ্ত পরস্পর,— নাড়ীর যোগে যুক্ত আছি নইক স্বতন্তর ; একটু কোথাও বাঙ্গলে বেদন বাজে সকল গায়, পায়ের নথের ব্যথায় মাথার টনক নড়ে যায় ; ভিন্ন হ’য়ে থাকুব কি, হায়, মন মানে না বুঝ,— ছিন্ন হ’য়ে বাঁচতে নারি নই রে পুরুভুজ। 鬱 * 曇 發 তফাৎ থেকে হিতের সাধন মোদের ধারণ নয়, ভিক্ষা দেওয়ার মতন দেওয়ায় ভবৃবে না হৃদয়, অনুগ্রহের পায়সে কেউ ঘে যবে না গন্ধে আপন জৈনে ক্ষুদৃ কুঁড়া দা ও খাবে আনন্দে । পরকে আপন জানতে হবে ভুলুতে আপন পর অগাধ স্নেহ অসীম ধৈৰ্য্য—অটুট নিরন্তর। পিতার দৃঢ় ধৈৰ্য্য, মাতার গভীর মমতা প্রত্যেকেরি মধ্যে মোদের পায় গে৷ সমতা ;

  • বঙ্গীয় হিতসাধনমণ্ডলীর প্রারম্ভিক সভায় পঠিত।

8 . সুেব-সাম ৬২৫ পিতার ধৈৰ্য্যে মানব-সেবা করব 'প্রতিদিন, মাতার সেই বিশ্বে দিয়ে শুধ ব মাতৃঋণ। 鬱 鬱 鬱 TE - দীপ্তিহার। দীপ নিয়ে কে 1–খুটি মলিন গৈ ! চকুমকি কার হাতে আছে ?—জাগাও ফুলিঙ্গ,জাগ ও শিখা-– সঙ্গীর সব মশাল জেলে নিকৃ, এক প্রদীপের প্রবর্তনায় হোক জুলো দশদিক। এক প্রদীপে দিকে দিকে সোন৷ ফলবে, একটি ধারা মরু-ভূমির মরম গলাবে । 彎 發 蔓 曇 সত্যসাধক ! এগিয়ে এস জ্ঞানের পূজারী,-- অজ্ঞ মনের অন্ধ গুহায় আলোক বিথারি’ । শিল্পী ! কবি ! সুন্দরেরি জাগাও সুষমা,--- অশোভনের আভাস —হ'তে দিয়ে না জমা । কৰ্ম্মী ! আনে। সুধার কলস সিন্ধু মথিয়া দুঃস্থ জনে সুস্থ কর আনন্দ দিয়া । সুখী ! তোমার স্বখের ছবি পূর্ণ হ’তে দাও দুর্থী হিয়ার দুঃখ হর হরষ যদি চাও । নইলে মিছে শ্মশানে আর বাজিয়ে না বঁাশী, চেস না ঐ মর্থবিহীন বীভৎস হাসি। এস ওঝা ! ভূতের বোঝা নামাও এবারে নুিঙ্গের রুগ্ন অঙ্গ জেনে রোগীর সেবা রে! জীবনে হোকৃ সফল নব ত্রিবিদ্যা-সাধন ; সহজ সেবা, সবুল প্রীতি, চিত্ত প্রসাধন ; 曇 發 發 鬱 বিশ্বদেবের বিরাট দেহে আমরা করি বাস,— তপন-তারার নয়ন-তারার একটি নীলাকাশ । এক বিনা দুই জানে না’ক একের উপাসক, সবাই সফল না হ'লে তাই হব না সার্থক । নিখিল-প্রাণের সঙ্গে মোদের ঐক্য-সাধনা, হিয়ার মাঝে বিশ্ব-হিয়ার অমৃত-কণ । সবার সাথে যুক্ত আছি চিত্তে জেনেছি প্রীতির রঙে সেবার রাখী রাঙিয়ে এনেছি— কাজ পেয়েছি লাঞ্জ গিয়েছে মেতেছে আজ প্রাণ, চিত্তে ওঠে চিরদিনের চিরনুতন গান ।