পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৩২

  • *-- *- ベ下・ヘ下へ* \ ・ 、- 、

ইতিপূৰ্ব্বে যুরোপীয় কারিগরের দুই হাঙ্গর টাকার টেণ্ডার • দিয়াছিলেন, সুতরাং রাজকৃষ্ণবাবুর টেণ্ডারই মঞ্জুর হয় । ইহা দ্বার। তিনি সাংসারিক ੋਂ লতা দূর করিবার পক্ষে, বৃদ্ধপিতাকে বিশেষ সহায়তা করিতে পারিবেন এই আশায় প্রথমে উল্লসিত মনে উৎসাহের সহিত কাৰ্য আরম্ভ করেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এইস্থত্রে টেণ্ডার গ্রহণে অকৃতকাৰ্য্য সহযোগীদিগের শক্ৰতায় তাহাকে কৰ্ম্ম পর্যান্ত পরিত্যাগ করিয়া কিছুকাল গৃহে বেকার বসিয়া থাকিতে হয় । অতঃপর, তিনি স্বাধীনভাবে কৰ্ম্ম করিবার মানসে শালিখায় ময়দার কল নিৰ্ম্মাণ করিতে কুতসংকল্প হন, কিন্তু অর্থাভাবই ইহার একমাত্র অন্তরায় বুঝিয়। ঋণগ্রস্ত হইয়াওঁ ঐ ইচ্ছ। কার্য্যে পরিণত করেন। র্তাহার ঋণদাতা প্রথমে র্তাহার ময়দার কলের অংশীদার হইয়াছিলেন, কিন্তু ইহাতে যে সামান্ত লাভ হইত তাহা বিভাগ করিলে কাহারও বিশেয সাহায্য হইবে ন।. বুঝিয় এবং—“আমার টাকা এথন চাহি না, ভবিষ্যতে তোমার অবস্থার উন্নতি হইলে যখন ইচ্ছা শোধ করিও” এই বলিয়া তিনি রাজকৃষ্ণবাবুকেই একমাত্র স্বত্বাধিকারী করিয়া নিজে কলের সংস্রব ত্যাগ করেন। কিন্তু এই সদয় বন্ধুর সাহায্য পাইয়াও রাজকৃষ্ণবাবু আশাস্বরূপ ফললাভ করিতে পারিলেন না। প্রসিদ্ধ আশ্বিনের ঝড়ের সময় এই কল নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল ; প্রকৃতই বহু ঝড় ঝঞ্চ বাধা বিস্ত্র ঠেলিয়া অক্লাস্ত পরিশ্রমে যে কল স্থাপন করিয়াছিলেন, প্রয়োজনানুরূপ অর্থাভাবে তাহ বেশীদিন স্থায়ী হইল না, অপেক্ষাকৃত অল্পমূল্যে তিনি উহা বিক্রয় করিতে বাধ্য হইলেন : ইতিমধ্যে র্তাহার পিতৃবিয়োগ, লাতার সহিত মনান্তর এবং সেই স্থত্রে মাতৃভূমি দফরপুর পরিত্যাগ করিয়া বেলুড়ে বাসস্থাপন প্রভূতিতে কিছুকাল তাহাকে বড়ই বিব্রত হইয়া পড়িতে হয় । ময়দার কল বিক্রয় করিয়া রাজকৃষ্ণবাবু কয়েকমাস ঘুসুড়ির পুরাতন স্থতার কলে কাৰ্য্য করিয়া কলিকাতা টাকশালে (Government Mirit ) fă* Stą į বেতনে কৰ্ম্ম আরম্ভ করেন। এখানে তাহাকে সম্পূর্ণ দেন । প্রবালী-চৈত্র, ১৩২১ ب - یے ۔۔ ۔ ۔ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড সূতন বিভাগের সমুদয় কল প্রস্তুত করিতে ও চাল্লাইতে হইয়াছিল। এই সময় সিমলা পাহাড়ের নিকটস্থ কশোলী নামক স্থানে সৈন্যদের রসদ যোগাইবার জন্ত ময়দা ও পাউরুটার কল বসাইবার প্রয়োজন হওয়ায় 3f7ffwysg grir fējs ( Commissariat ) gēzē "মিন্টের ইঞ্জিনীয়র ডাইক সাহেবের নিকট একজন সুদক্ষ কারিগর পাঠাইবার জন্য পত্র আসে ; তিনি সকল কারিগরকে ডাকিয়া কীেণী যাইবার প্রস্তাব করেন। রাজকৃষ্ণবাবু ব্যতীত আর কোন কারিগর ঐ মুদুর বিদেশে যাইতে রাজী না হওয়ায় তিনিই কশোলী যাত্রা করেন। তখন সিমল। পৰ্য্যন্ত রেলপথ ছিল না, সুতরাং দিল্পী হইতে গরুর গাড়িতে কশোলী পৌছিতে র্তাহার ৮১০দিন লাগিয়াছিল। এখানে তিনি কমিসেরিয়েটের গোমস্ত কানাইবাবুর বাসায় অবস্থান করেন। সাহেব রাজকৃষ্ণবাবুকে দেখিয়া খুব খুশী হন এবং ৫০ টাকা বেতন নিৰ্দ্ধারিত করেন। এখানে আসিয়া তিনি প্রায় দুইমাসের মধ্যে তিনটি ময়দার কল ও তিনটি পাউরুটীর কল স্থাপন করিয়া এবং ছয় ঘোড়ার জোরের ইঞ্জিন বয়লার বসাইয়া কলে ময়দা ও রুট তৈয়ার করিতে থাকেন। কমিসেরিয়েটের বড় সাহেব মেজর টেলার সন্তুষ্ট হইয় তাহাকে প্রশংসাপত্র প্রদান করেন। কশোলীর এই কলনিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য সুসম্পন্ন করিবার বৎসরাবধি পরে নাহান রাজ্য অস্বালা প্রভৃতি ভ্রমণ করিয়া রাজকৃষ্ণবাবু দেশে প্রত্যাবর্তন করেন । দেশে ফিরিয়া কয়েক বৎসর পলতার জলের কল, ঘুমুড়ির পাটের কল, বালির কাগজের কল প্রভৃতি বহুস্থানে সুখ্যাতির সহিত কৰ্ম্ম করিবার পর তাহার বন্দুক কামান প্রভূতির কার্য্য শিখিবার অভিলাষ জন্মে এবং তিনি কাশিপুরের সরকারি কণমানের কারখালায় কৰ্ম্ম গ্রহণ করেন। এখানে কিছুকাল কৰ্ম্ম করিয়া দমদমায় গভর্ণমেণ্টের টোটা ও গুলির কারখানায় যান। তিনি এখানকার হেডমিন্ত্রী হন এবং এখানে প্রায় একশত কল বসান ও গোলাগুলি নিৰ্ম্মাণ করিতে শিক্ষা করেন । এই টোটাগুলির কারখানায় কৰ্ম্ম করিবার কালে পীড়াগ্রস্ত হওয়ায় তিনি প্রথমে কিছুদিনের ছুটি লয়েন এবং পরে