পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ক্লোনকার পরীক্ষায় আমাদের ছাত্রটি সৰ্ব্বপ্রথম স্থান অধিকার করিয়াছে। এই পরীক্ষায় প্রায় ছাত্র উপস্থিত ছিল । ইউরোপের সকল দেশ হইতেই ছাত্রেরা এই প্রতিযোগিতা পরীক্ষার জন্য চেষ্টা করে । আশ্চর্ষের কথা, একজন মিশরীয় মুসলমান যুবক সকলকে হাঃাইয়৷ সৰ্ব্বোচ্চ আসন পাইয়াছে এই সুফলে খুদী হইয়া বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাত কুমার বাহাদুর তাহাকে বৃত্তি দিয়া Ecole des Beaux Arts Pari নামক প্যারিসের জাতীয় কলা-বিদ্যালয়ে পাঠাইয়াছেন।”৯ কাইরোর প্রাচীন মিশরতত্ত্ববিষয়কু মিউজিয়ামের কর্তা প্রসিদ্ধ ফরাসী পণ্ডিত ম্যাম্পেরে। । এষ্ট চিত্রবিদ্য - লয়ের অধ্যক্ষও একজন ফরাসী । আরবী মিউজিয়ামের সংলগ্ন গ্রন্থশালার কৰ্ত্ত। একজন জাৰ্ম্মান পণ্ডিত। কাইরোর পণ্ডিতমহল বাস্তবিকই ইউরোপীয় চিন্তাজগতের অন্যতম অংশ । থেfদভের এই গ্রন্থশালাকে কলিকাতার ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরীর এবং বোম্বাইয়ের এসিয়াটিক সোসাইটির লাইব্রেরীর সঙ্গে তুলনা করা যাইতে পারে। মুসলমানী সাহিত্য ব্যতীত আধুনিক দর্শন, বিজ্ঞান ও সাহিত্যবিষয়ক গ্রন্থ এবং সংবাদপত্র, মানচিত্র ইত্যাদি সবই এখানে আছে । বসিয়া পড়িবার অতি সুবন্দোবস্ত দেখিলাম । বাড়ীধর আসবাবপত্র কাটরে,নগরের ঐশ্বর্ষ্যের অনুরূপই হইয়াছে। অট্টালিকু মুসলমানী আরাবেঙ্গ ব। সারাসেন কায়দায় নির্মিত । এক বিভাগে কতকগুলি কোরান আলমারির ভিতর সাজান রহিয়াছে । পৃথিবীর নান স্থান হইতে বহু কোরান সংগৃহীত হইয়। এখানে রক্ষিত হইতেছে। পূৰ্ব্বে এই-সমুদয় গ্রন্থ খেদিভ বা পাশাদিগের গৃহে অথবা ভিন্ন ভিন্ন মসজিদে পড়িয়ু ছিল ; এক্ষণে এই গ্রন্থশালায় সাজাইয় রাখা হইয়াছে। এই গৃহ দেখিলে ভারতবর্ষ হইতে স্পেন পর্যন্ত মুসলমান-জগতের বিভিন্ন প্রদেশে যুগে যুগে যে-সকল কোরান-গ্ৰস্থ লিখিত হইয়াছে তাহার পরিচয় পাওয়া যায়। কোরানগুলি প্রায়ই বৃহদাকার— প্রত্যেকখানিই সুবর্ণক্ষরে লিখিত, নানাচিত্রে সুশোভিত । সপ্তম শতাব্দী হইতে আধুনিক কাল পর্য্যন্ত প্রত্যেক যুগের কবরের দেশে দিন, পনর o \එං8ළු

লিখনপ্রণালীও এই গৃহে দেখিতে পাওয়া যায়। ফলতঃ, এই কারান সংগ্রহালয়ে প্রবেশ করিলে আরবী অক্ষরমালার বৈচিত্র্য ও ক্রমবিকাশ શિક পক্ষে , যথেষ্ট সাহায্য হয় । প্রাচীন মুসলমানী শিল্পেরওঁ কথঞ্চিং পরিচয় পাওয়া যায়। হিন্দুসমাজে গ্রন্থ শেলাই করবার ব্যবস্থা । ছিল না। এইখানে বুঝিলাম মুসলমানের প্রথম'হইতেই আধুনিক নিয়মে পুস্তক শেলাই করিতেন। কোরান-বাধাই দেখিতে দেখিতে প্রাচীন মুনলমানদিগের মানচিত্র আঁকিবার প্রণালীও মনে পড়িল । আরবী মিউজিয়ামে দেখিয়াছি মক ও সেদিনার পুরাতন মানচিত্র প্রাচীরে ঝুলিতেছে । এই মানচিত্রগুণি মুসলমানশিল্পীদিগের বিশেষত্ব বলিয়া বোধ হইল না। কারণ জয়পুরের অম্বরপ্রাসাদের এক গৃহের প্রাচীরে ঠিক এই রীতিতেই কতিপয় নগরের চিত্র অঙ্কিত রহিয়াছে । হিন্দুশিল্পীরা প্রাচীরগাত্রে উজ্জয়িনী, পাটলিপুত্র, অযোধ্যা এবং অষ্টান্ত নগরের সম্পূর্ণ দৃপ্ত আঁকিয়া গিয়াছেন। মক্কা ও মেদিনার মানচিত্র, অযোধা পাটুলিপুত্র ইত্যাদির চিত্রের অনুরূপ । মুসলমান ও হিন্দু কারিগরগণ এক নিয়মেই জনপদসমূহের চিত্রাঙ্কন করিতেন । মধ্যযুগে ইয়োরোপের চিত্রকরগণও নগরসমূহ এই প্রণালীতেই আঁকিতেন। চতুর্দশ দিবস-বুবক মিশরের স্বাদেশিকতা। আধুনিক মিশরবাসীর নবীন উৎসাহ ও উদ্যম শিক্ষাক্ষেএে প্রকাশিত হইতেছে । ইহঁর নব নব অনুষ্ঠানের সূত্রপাত করিয়াছেন । এই-সমুদয় দেখিলে নব্যমিশরের জীবনস্পন্দন বুঝিতে পারা যায়। ভবিষ্যতের অাশা সম্বন্ধে ও ধারণ জন্মে । কুমার ইউসুফের প্রবৰ্ত্তিত সুকুমার-শিল্পবিদ্যালয়ে দেখিয়াছি মিশরীয় মুসলমানের অভাবনীয়রূপে নব নব পথে উন্নতি লাভ করিতেছে। মিশরবাসীর জাতীয় জীবনের সৰ্ব্বপ্রধান পরিচয় মিশর-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠ। এতদিন এখানে ফরাসুী, জার্মাণ, আমেরিকান ইত্যাদি জাতীয় পাদদেৰু নানা বিদ্যালয়ে মিশরীয় মুসলমানের শিক্ষাধু ত করিত। পরে সঙ্গতিপন্ন ছাত্রের ফরাসী, জাৰ্ম্মানি প্রভূfও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার