পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা l AMMAMAMAMMMMMMAMAJJJMMMMMAMMMS বৰ্ত্তমানের মধ্যে এখনও জীবিত আছে—এক ভবিষ্য ভারতের অস্থিমজ্জা স্বষ্টি করিতেছে। ফ্যারাওদিগের মিশর মরিয়া গিয়াছে। পীরামিড গঠনকারী মিশরের কথা আজকাল প্রেত-তত্ত্ব মাত্র। . কিন্তু প্রাচীন ভারতের কথা প্রেত-তত্ব নম্ন-মরা জিনিষের আলোচুনা নয়। ইহা জীবন-তত্ত্ব । সুতরাং মামুলি প্রত্নতত্বের হিসাবে ভারত-শিল্প, ভারত-কলা, ভারত-সমাজ, ভারত-ধৰ্ম্ম, ভারত সাহিত্য আলোচনN,করিলে চলিবে না । Egyptology বা মিশর-তত্ত্ব এক্ষণে একটা বিদ্যা Nţa, I frg Indology il ভারত-তত্ব’ কেবল অন্ততম বিদ্যামাত্ররূপে বিবেচ্য নয়। ভারতবর্ষের সমীপবত্তা জীবন ও হিন্দুস্থানের ভবিষ্যৎ এই ভারত-তত্ত্বের সঙ্গে গ্রথিত । সুতরাং মিশর-তত্ত্ব এবং ভারত-তত্ত্ব এক শ্রেণীর অন্তর্গত নয়। মরা জিনিষের আলোচনায় কাহারও কিছু আসে যায় না। কিন্তু জীবন্ত পিতামাতার সমালোচনা বড় কঠিন ব্যাপার। পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ মিশর-তত্ত্ব আলোচনা করিতে ভালবাসিবার ইহাই অন্যতম কারণ। কিন্তু ভারত-তত্ত্বের আলোচনায় তাহার বেশী উৎসাহশীল নন। প্রাচীন মিশরের গৌরব বাড়াইলে বা কমাইলে অtঙ্গ কাহারও ক্ষতিবৃদ্ধি নাই । কিন্তু প্রাচীনভারতের জাতীয় গৌরব বাড়াইলে বা কমাইলে আধুনিক ভারতবাসীর ভবিষ্যৎ জীবন গঠন সম্বন্ধে যথেষ্ট সাহায্য বা বাধা জন্মিবে । e মিশর দেখা হইয়া গেল । মিশরের প্রাকৃতিক শোভায় মুগ্ধ হইয়াছি । ইহার নীল আকাশ ও মুক্তবায়ুর ংস্পর্শে চিত্তের স্ফূৰ্ত্তি লাভ করিয়াছি । ইহার শস্তগুমিল কৃষিক্ষেত্র দেখিয়া চোখ জুড়াইয়াছি। যেখানে গিয়াছি সেখানেই মিশরবাসীর দৃঢ় বাহু, শক্ত শরীর, স্বপুষ্ট অবয়ব, প্রশস্ত বক্ষ, এবং দীর্ঘ অীকৃতির সংশ্রবে আসিয়াছি। দরিদ্র অশিক্ষিত ফেলা কুষক হইতে শিক্ষিত ও অৰ্দ্ধশিক্ষিত ‘বে, পাশ।’ পর্য্যন্ত মিশরের সকল সমাজেই স্বাস্থ্য, সামর্থ্য এবং শারীরিক ক্ষমতার পরিচয় পাইয়াছি। য়াস্তায় বাজারে ষ্টেসনে ট্রামে কোথাও দুৰ্ব্বলতা ক্ষীণতা অস্বাস্থ্য রোগশীলতা দেখি নাই। মিশরের প্রাসাদসমূহ, মিশরের রাজপথ, মিশরবাসীর পোষাক পরিচ্ছদ, কবরের দেশে দিন পনর - Ꮼ© സ്പ মিশরবাসীর আদবকায়দা, সবই উচ্চ শ্রেণীর উৎকর্ষ ধিজীপক । *প্রতিপদবিক্ষেপে মি রের অতুল ঐশ্বৰ্য্য ও অসীর্ণ ধনসম্পদ দেখিয়া আশ্চৰ্য হইতে হয় প্রতি পদবিক্ষেপে মিশরবাসীর ভোগবিলাসেঞ্চও পরিচয় পাওয়া যায়। ভারতবর্ষের অন্নহীন বস্ত্রহীন অথবা * অৰ্দ্ধাশনক্লিষ্ট, অৰ্দ্ধবসনাবৃত দরিদ্রসমঃজের ন্যায় কেশন লোক-শ্রেণী মিশরে অাছে ಇ সন্দেহ। নিতান্ত নিঃস্ব ভিক্ষাজীবী অনাহারশীর্ণ লোক মিশরে দেখিতে পাইলাম না। বাহ জীবনের সকল সৌষ্ঠবই মিশরে পাইয়াছি। ভোগের দিক হইতে মিশরে আপিলে মিশর ছাড়িতে ইচ্ছা হয় না। এই জন্যই বোধ হয় আরবীতে প্রবাদ রটিয়:ছে—নাইলের জল একবার পেটে পড়িলে আবার ফিরিয়া মিশরে আসিতে হয়। মিশর বাস্তবিকপক্ষে স্বচ্ছন্দ জীবন যাপনের এবং সুখভোগের আবাসভূমি। কিন্তু মিশরের এই অতুল ঐশ্বৰ্য্যরাশির অভ্যস্তরেও আমি সুখী হইতে পারি নাই। কারণ এই বহু, সৌন্দৰ্য্য, বাহ দৃঢ় তা ও বাহ সম্পদের পশ্চাতে গভীরতর জীবনীশক্তির পরিচয় পাইলাম না। সৰ্ব্বত্রই মিশরজননীর শোক তপ্ত নিঃশ্বাস মরু ভূমির অগ্নিময় বায়ুর সঙ্গে অনুভব পূৰ্ব্বে পশ্চিমে “পর দ্বীপশিখা নগরে নগরে. তুমি যে-তিমিরে তুমি সে-তিমিরে।” মিশরের ধনসম্পদ মিশরবাসীর সম্পত্তি নয়—মিশরবাসীর চরিত্রে গাম্ভীৰ্য্য নাই—মিশরবংসী ভবিষ্যতের পানে চাহে না । বস্তুতঃ, মিশর স্বয়ংই সমস্ত দুনিয়ার সম্পত্তিবিশেষ । পৃথিবীর সকল জাতিই মিশরে বসিয়া নিজ নিজ স্বার্থ পুষ্ট করিতেছে। মিশরবাসীর জীবন এই অসংখ্য জাতিসমূহের পরস্পর প্রতিযোগিতা ও ষড়যন্ত্রের প্রভাবে ঐক্যহীন, কৌশলহীন, ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়িয়াছে। মিশরীয় জনগণের কোন এক আদর্শ বা লক্ষ্য স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় না। অন্যান্য জাতিরা মিশরবাসীর শিক্ষা, দীক্ষা, রাষ্ট্র, সমাজ ও চিন্তাপ্রণালীকে যে আকার দিতে চাহিতেছে প্রায় সেইরূপই সাধিত হইতেছে। এই . কারণে মিশরে বসিয়া মিশরাত্মাকে পাইলাম না – মন্তাগু