পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ や সমস্ত র্তাব গুটিয়ে জিনিসপত্র বেঁধে সেগুলি কুলিদের দিয়ে সৰ্ব্বাগ্রে চালান করে দ্বিতীয় দিনের যাত্রা আরম্ভ কবৃনুম। ক্রমে এইবার আমরা বিরল-বৃক্ষ অরণ্যের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে ক্রমশ গহনবনের মাঝে এসে পড়লুম। আর যত সৰ্য্যের তাপ বৃদ্ধি হোতে লাগল ততই কুঞ্জরপুঙ্গব ঠীর উদরভাণ্ডারের সঞ্চিত জল শুড় দিয়ে মুখগহবর থেকে বার করে বারবার পিঠের যে দিকট। তপন তাপে দগ্ধ হচ্ছিল সেই দিকূট। ভিজিয়ে স্নিগ্ধ করতে লাগলেন । তাতে আরোহীরা ক্রমেই অতিষ্ঠ হয়ে পড়তে লাগল । অগত্য আমরা স্থানে স্থানে পদ - ব্রজে অগ্রসর হতে লাগলুম। সেই পাৰ্ব্বত্য আরণ্য পথে যে কত পদ্মসরোবর কত লতাপাত ফুল ফল কত পাখীর কাকলি-কুজন প্রভূতি আমাদের চিত্তকে আনন্দরসে অভিষিক্ত করেছিল তা লেখাই বাহুল্য । আমরা গ্রামহীন রুমগা থেকে যথাসময়ে সেকৃড়া নামক গ্রামে এসে পৌছলুম। এখানে মমিরা ઠાં হাঙ্গামা থেকে অব্যাহতি পেলুম । একটি সরাই আমাদের সেখানে পৌছবার অল্পদিন পূর্বেই কোন রাজকাৰ্য্যোপলক্ষ্যে তৈরী fছল, আমরা সেইখানেক্ট ঠাই পেলুম। এই স্থানটা একটি উচু পাহাড়ের শীর্ষদেশে অবস্থিত । এই কুটিরটিতে বাস করে জানা গেল যে এখানকার লোকে দড়ি প্রস্তুত করতে জানে না । এখানে গাছের ছাল বা বাশের ছিলে দিয়েই দড়ির কাজ সুচারুরূপে সম্পাদিত হয়। সেকৃড়া গ্রামটির যে 'fবশেষত্বটি আছে সেটি জীবনে কখন ভুলব না –সেটা হচ্চে, জলকষ্ট ! এখানে একটি মাত্র কূপ আছে এবং তার জল এত অল্প যে দু-এক বড় উঠালেই নিঃশেষ হয়ে যায়। পুনরায় দু তিন ঘণ্টাকাল অপেক্ষ না করলে আর এক ধড়। পাওয়া যায় না । এষ্ট কারণেই বোধ হয় এই গ্রামটিতে লোকালয়ের সংখ্যা মাত্র চার পাচটি । পুনরায় প্রাতে আমরা পাহাড়ের পর পাহাড় অরণ্যের পর অরণ্য নদের পর নদ পার হ’য়ে একটি অপেক্ষাকৃত বড় গ্রামে এসে পড়লুম। এই গ্রামটির নাম পোর। গ্রামের একপ্রান্তে আম্রকাননে আমাদের তাবু লাগল। এখানে আমরা একজন শিশুর স্তায় সরল হাসিখুসীমাখা প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩২১ [ ৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড সদাশয় অশীতিপর বুদ্ধ থোপ পোষদরিকে পেয়েছিলুম। তিনি আমাদের আশাতীত আপ্যায়িত করেছিলেন। এমন fক তিনি অসঙ্কোচে তার বুদ্ধার অশেষ নিষেধসত্ত্বেও ঠার একমাত্র শিমগাছ থেকে শিমকুল নিৰ্ম্মল করে আমাদের সেবায় লাগাতে কিছুমাত্র পশ্চাৎপদ হননি। এখানে সহসা একদল অভাবনীয় নট ও নটের আমদানীতে আমাদের অত্যন্ত অতিষ্ঠ করে তুলেছিল ! এর বহুদুরদেশ থেকে পদব্ৰঞ্জে পর্য্যটন করে গ্রামে গ্রামে তাদের বিকট সুর, স্বর ও অঙ্গভঙ্গিমা দেখিয়ে নিরীহ লোকেদের শ্রমলব্ধ অর্থের অনর্থসাধন করে বেড়াচ্চে । সৌভাগ্যের বিষয় সদাশয় ইংরাজ বন্ধুর কৃপায় আমাদের ঐ অনর্থে অর্থ ব্যয়িত হয়নি । তিনিই সে ভারটি গ্রহণ করে তাদের অর্থ দিয়ে বিদায় করেছিলেন । সেখানকার লোকের। এতদুর নিরীহ যে গঙ্গপৃষ্ঠে মহাসমারোহে থামের মধ্যে আমাদের প্রবেশ কতে দেখে কে কোথায় যে পালিয়ে লুকিয়ে পড়বে সেই ভাবনায় অস্থির ! এখানকার লোকের অধিকাংশই অসভ্যঙ্গাতীয় । এর। ছোটনাগপুরের মুণ্ড বা ওরাওদের মতই অসভ্য । এদের কোরওয়া বলে । পূৰ্ব্বে গুরগুজারাজ্য ছোটনাগপুরেরই এলাকাভুক্ত ছিল । কোর ওয়াদের গ্রামের কুর্টিরগুলির একটা বৈচিত্র্য আছে । વંત પ્રાદ્ધ একপ্রকার রঙিন মাটি দিয়ে ৩1ার চমৎকার চিত্রিত করে থাকে এবং এদের এমনকি দীনচীনের জার্ণ কুড়েটিও অতি সযত্নে একটু আধটু স্থাপত্য সজ্জায় সজ্জিত । এদের ফুটিরের দাওয়ার কাঠের খুটির উপর মার্টি দিয়ে এমন ভাবে থামের আকার তৈরী করেচে যে দেখলেই তাদের গৃহের শ্রী ও শান্তির কথা আমাদের মনে জাগিয়ে তোলে ! প্রতোক গৃহস্থের গৃহের থামেব আকার ও কারুনৈপুণ্য সম্পূর্ণ বিভিন্ন পরিকল্পনার গঠিত । এই সকল থাম প্রভূতির গঠন প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্যের নিদর্শনের সঙ্গে বরং কিছু মেলে, আর এদের ভিতর ইউরোপীয় প্রভাব একেবারেই প্রবেশ করেনি। উঠানের চারিপাশে রঙিন মাটি দিয়ে নানা রকম লতাপাত৷ একেচে, আর মাঝখানে একটা সাদা মাটি দিয়ে লেপ! বেদী। এখানে একপ্রকার সাদ! মাটি পাওয়া যায়, این گی