পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& Ebr প্রবাসী—চৈত্র, ১৩২১ [ »8* उ॥१, २ १७ কিংoণর প্রফুল্ল মুখখানি তৎক্ষণাৎ মান হইয়া গুিল, নিজের শ্রীসঙ্গল মুখখানি রাখিল ; তখনও তাহার কচি সে সহসা এ কথার কোন উত্তর দিতে পারিছ না। • • ললিত তাহার হাতদুটি ধরিয়া সস্নেহে বলিল-বল কিরণ! তোমায় যা জিজ্ঞাসা করলাম তার উত্তর भी७ ! • & • কিরণ তখন উত্তেজি স্বরে বলিল—তুমি কি আমাকে এতই নীচ মনে করেছ ? তোমার সঙ্গে আমার যে সম্বন্ধ সে কি টাকার জন্ত ? তুমি আমার স্বাণী বলেই তোমাকে ভালবাসি । তুমি ধনবানই হও আর দরিদ্রই হও আমি চিরদিন তোমায় এই ভাবেই পূজা করব । তুমি আমায় যে ভাবে রাখবে আমি তাতেই সুখী হব। কিন্তু যদি – যদি কখনও—এই পর্য্যন্ত বলিয়া অtল্প সে কিছুই বলিতে পারিল না। দুই হাতে মুখ ঢাকিয় সে কাদিয়া ফেলিল । ললিত ব্যস্ত হইয়া তাহাকে বক্ষে টানিয়া লইয়া বলিল—এ কি কিরণ ! এ কি ছেলেম ধী তোমার ! আমি এফট কথার কথা জিজ্ঞাসা করেছি বই ত নয় ? દ્ધિ I ફૂબ જ ! ૮કામાઃ'strર વન (૫૨ન ભાષા સફ কষ্ট হয়। চুপ কর । কিরণ স্বামীর বক্ষ হইতে মুখ তুলিয়া বলিল—তুমি আমায় যত দুঃথেই রাখ না তাতে অমাব কোন কষ্ট হবে না, কিন্তু যদি কখনও তোমার স্বেস্ব হীরাই তা হলে আমি আর বঁাচতে পারব না। আবার সে ললিতের বুকে মুখ লুকাইয়। লাগিল ॥৪ ললিত সেই সরলা বালিকার এই অকৃত্রিম প্রেমের উচ্ছ,াপে স্তব্ধ হইয়া গিয়া আপনাকে শত ধিক্কার দিল । ইহাকেই সে পরীক্ষা করিতে গিয়াছিল ? ত{হার মুখে কোন সা স্তুনার কথা আসিল না । সে কেবল গভীর স্নেহের সহিত তাহার বালিক। পত্নীর মাথায় হাত বুলাইয়। দিতে লাগিল। কিছুক্ষণ রোদনের পর কিরণ একটু শাস্তু হইলে ললিত অপরাধীর মত তয়ে ভয়ে বলিল—কিরণ ! রাণী আমার! আমায় মাপ কর । আমি নিষ্ঠুরের মত তোমায় কষ্ট দিয়ে কfদয়েছি । বল আমায় মাপ করলে ? কিরণ উত্তরে কিছু না বলিয়া দুইটি মৃণাল কোমল ধtহুতে ললিতের কণ্ঠ বেষ্টন করিয়া তাহার মুখের উপর रॅनि ठ ওষ্ঠাধর দুটি থাকিয়া থাকিয়া কঁাপিয়া উঠিতেছিল। s যদি এইভাবেই চিরকাল কাটিতে পারিত তাহ হইলে কোন পক্ষেই কিছু অশান্তির কারণ ঘটিত না। কিন্তু জগতে সব বিষয়েরই দুইট দিক আছে এবং বিপরীত দিকটা সকলের সমান রুচিকর হয় না। ললিতেরও তাহাই হইল । ধে সকলক আশা দিয়াছিল বিস্তরআর নিজেও মনে করিয়াছিল যে সে অনেক কিছুই করিবে। কিন্তু মানবের চিত্তের কি অভাবনীয় পরিবর্তন ! কাৰ্য্যকালে তাহার দ্বারা কিছুই হইল না। সে কলিকাতার একটি উচ্ছ,স্থল যুবক, ধনী আত্মীয়ের বাড়ীতে দশটা আশ্রিতের মধ্যে থাকিয় অযত্নে উপেক্ষায় কোনরূপে মাচুর্য হইয়াছে। বিশেষ ভাবে কাহারও নিকট হইতে যত্ন বা আদর পাওয়া তাহার অদৃষ্টে ঘটিয়া উঠে নাই। এখানে আসিয়া সকলের নিকট হইতে এত অধিক স্নেহ যত্ন পাইয়া ক্রমে তাহার চিত্তের পরিবর্তন ঘটিতে লাগিল । বাড়ীতে যাহাকে কেহ ডাকিয়া জিজ্ঞাস করিত ন। এখানে সে ইতর ভদ্র সৰ্ব্বসাধারণের নিকট রাজসম্মান পাইতেছে—সে কি যে-লে লোক, জমীদারের জামাতা ! দিন দিন সে এত সুখী ও বিলাসী হইয়া পড়িতে লাগিল যে খানসামায় তেল মাখাইয়া স্ব।ন করাইয়া না দিলে তার স্বান হয় না। আটাইবার সময় গাড়, গামছা লইয়। চাকর না দাড়াইয়া থাকিলে সে বিরক্ত হয় । প্রথম প্রথম কলিকাতায় গিয়া চাকরী করার কথা ঘ ঘন তার মনে উঠি ত। কিন্তু সেখানে আবার দিদির বাড়ীতে সেই পূৰ্ব্বমত ভাবে থাকা ও পথে পথে কাজ খুঞ্জিয় বেড়ানর দৃশ্বট মনে উদিত হইলেই সে আতঙ্কে শিহরিয়া উঠিত ও ভাবিত সেই ত যাইতেই হইবে—ত আর দুই চারিদিন যাক তখন যাওয়া যাইবে । কিন্তু এমনি তার আলস্তপ্রিয় প্রকৃতি যে এ দুই চারিদিন শেষ হইতে হইতে ক্রমশ ছয় মাস হইয়া গেল কিন্তু তাহার বাহির হইবার কোন লক্ষণ দেখা গেল না । এদিকে নরেনের যে মামলা চলিতেছিল তাহাতে প্রতিপক্ষের কথাই স্তায্য বলিয়া প্রমাণ হইতেছিল । উপযুপিরি দুই