পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७छे म९थjी ] ‘তিনটি মামলায় নরেন হালি । গ্রামের এনেকেই বিপক্ষদলে যোগ দিয়াছিল ! কেবল ২ ৪ জন প্রাচীন ধৰ্ম্মভীরু কৰ্ম্মচারীর সাহায্যে ও নিজ অলঙ্কার বিক্রয় করিয়া সেই অর্থে নৃত্যকালী মোকৰ্দমা করিতেছিলেন। সুতরাং দিন দিন তাহীদের অবস্থা • শোচনীয় হইয়া দাড়াইতেছিল নানা দুঃখে দুশ্চিন্তায় অভারে মৃত্যক}লী চতুর্দিক হইতে জড়াইয়া পড়িয়া দিন দিন উত্যক্ত হইয়। উঠিতেছিলেন। নরেন ত পঞ্চে দাড়াইয়াছে বলিয়েই হয়, তার উপর লখিতের আচরণ দেখিয়া তিনি অন্তরে অস্তরে ক্ষুব্ধ হইয়া উঠি তেছিলেন। জামাই মাষ্ট্রষ—জোর করিয়া কিছু বলাও ধায় না । সে ত সব দেখিয় শুনিয়াও বেশ আবামে দিন কাটাইতে পারিতেছে ! এক্ষে ত পিতৃমাতৃ হীন নিঃস্ব দেখিয়াই বিবাহ দিয়াছেন, তাহার উপর নিজের সাহায্য করিবার ক্ষমতাও গেল, ইহার উপর জামাতা যদি বাকুসুৰ্ব্বস্ব অলস ও অকৰ্ম্মণ্য হয় তবে কিরণের দশা কি হইবে । বিকালে রান্নাঘরের রোয়াকে বসিয়া মৃত্যকালী তরকারী কুটিতেছিলেন, কাছে বসিয়া তাহীর চিরদিনের সুহৃং বিমুঠাকুরবি গল্প করিতেছিলেন । বিন্দু পল্লীর মজুমদার-বাড়ীর কন্ঠ, অল্পবয়সে বিধব। হইয়৷ পিত্রালয়েই বাস করিতেন। ধখন নৃত্যকালী একাদশ বর্ষ বয়সে কাদিতে কঁদিতে এই অপরিচিত বৃহৎ পুরীতে নববধূরূপে প্রবেশ করিয়াfছলেন সেইদিন হইতে বিন্দুর সহিত র্তাহার সখীত্ববন্ধন দৃঢ় হইয়া গিয়াছিল। সেই হইতে মুদিনে দুর্দিনে অন্ততঃপক্ষে দিনান্তে একবারও দেখা না হইলে দুইজনেই হাফাইয়। উঠিতেন। বিন্দু বলিতেছিলেন—যেদিন বড়কৰ্ত্ত দেশের এত মেয়ে থাকতে কলকাতায় বিয়ে করলেন আমরা ত তখন হতেই জানি যে এইবার গাঙ্গুলীদের এতদিনের বনেদী ধর উচ্ছন্ন যাবার পথ করা হল । যে মেয়ে এতকালের মধ্যে শ্বশুরের ভিটায় একদিনের জন্যে প। দিল ন, সে কি কথন শ্বশুরবাড়ীর কদর বোঝে ? আমরা ত ছোটবেলা হতে দেখে আসছি বড়কৰ্ত্ত কি প্রকতির মানুষ ছিলেন ? সেই মানুষকে কি মন্ত্র দিয়ে কি করেই ফেললে একদিনের জন্তে মেয়েটার মুখ চাইতে . পূজার ছুটি । ややが、 দিলে না, ছেলেটাকে পথে বসালে ? fছ। হি! ছি:! একি কম ঘেরার কথা ? © মৃত্যকালী অঞ্চলে চক্ষু মুছিয়া বলিলেন-আমি আর কার দোষ দেবে বল ঠাকুরবি ?" সবই আমার অদৃষ্টের দোষ । সংসারে এসে একদিনের জন্যে সুখী হতে পারলাম না। ভাশুর মরেও গেলেন, আমাকেও মেরে গেলেন । আমার দুধের বাছা নরু, ভাল মন্দ কিছু জানে না। এই কচি বয়সে তার মাথায় কি ভাবনার বোঝা-ই পড়ল বল দেখি ? অাজ ৬ ৭ মাস મશઃ ছোটাছুটি আর উকীল মোক্তারের বাড়ী ঘুরে ঘুরে আর ভবন চিন্তায় সে একেবারে শুকিয়ে আধখান। হয়ে গিয়েছে । একট। একটা মামলায় হার হচ্ছে আর তার বুকের রক্ত শুকিয়ে যাচ্ছে । বাছার আমার খাওয়ায় রুচি নেই, কোন সাধ আহলাদ নেই, অষ্টপ্রহর ভাবনায় কালি হয়ে গেল । ঘোরে ফেরে আর এসে কচি ছেলের মত আমার গলা জড়িয়ে বলে, মা ! জেঠামণি আমার f • করে গেলেন । তার মুখ দেখলে আমার বুক ফেটে যায়। so বিন্দুও কঁদিয়া ফেলিলেন, বলিলেন--এ বয়সে. লোকের ছেলে নেচে পেলে পেড়ায়, দুঃখের বাৰ্ত্ত জানে না—এই কটি বয়সে বছরে এত দুর্দশ1–সবই তোমার কপালের দোষ, তা ছাড়া আর কি বলব ? "মৃত্যকালী আবার বলিলেন—আরও দেখ, বিয়ে দিয়ে একটা পরের ছেলে ঘরে নিয়ে এলাম সেও কপাল গুণে এমন হল ? এই ত আমাদের অবস্থ৷ দেখছে। এখন কোথায় নিজের চেষ্টাচরিত্র নিজে করবে, তা না বেশ নিশ্চিন্ত হয়ে আমাদেরই গলগ্ৰহ হয়ে বসে আছে । দু পাঁচ দিন কথায় কথায় বলেও দেখেছি, কথায় যেমনটি, কাজে তা কিছুই নয় । মেয়ের . ভাগ্যে যে এর পর কি হবে তাও জানি নে । বিন্দু বলিলেন-দেখ ছোটবেী ! তুমি রাগই কর আর যা কর এ কথাটি আমি তোমার মেনে নিতে পারি নে ! তুমি এ বিয়ে দিয়েই অন্যায় করেছ। ও জামাই যদি নিজে ওরাজগfর করে ঘরকন্ন করবে মনে করত তা হলে কি কখন বাড়ু,ধোদের বাড়ী ঘরজামাই