পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭৬ অকvtৎ প্রাঙ্গণে ঢোল বাজিয়া উঠিল । * . মুণে একমুখ খুবার পুরিয়া বাম হস্তে খাবারের ঠেঙ ধfরর অনেকেই দ্বার এবং জানালার নিকট ছুটিয়া ব্যাপারটা কি দেখিতে গেল,—পসিয়া রহিল কেবল কয়েকট ,বাদসা-কুড়ে, দড়িয়া বসাও যাহাদের পক্ষে কষ্টকরু ! z ঢোলের বাজনা থামিলে গ্রাম্য চৌকীদার তাহার স্বাভাবিক রাসভনিন্দিত কণ্ঠে, বিকট উচ্চারণভঙ্গিতে বলিয়া উঠিল,— “ভাট রে ; আজকে এই হাটে দেশী বিদেশী যে কেউ আছে সবাইকে জানান যাচ্ছে যে আজকে বেলা ৭টা থেকে দশটার মধ্যে বড়গ থেকে গঞ্জে আসবার পথে একটা কাল চামুড়ার মনিল্যাগ হারিয়েছে, তাতে পাচশ টাকার নোট ছিল, আর খানকতক দরকারী কাগজ ছিল । এখানে যদি কেউ পেয়ে থাক তবে এখুনি থানায় গিয়ে দারোগ৷ সাহেবকে ফিরিয়ে দিলে বিশ টাকা বকসিস মিলবে ।” .

  • লোকটা চলিয়া গেল। ঢোলের শব্দ ক্রমে দুর হইতে দুরতর প্রদেশে মিলাইয় গেল ।

লোক গুল। এইবার নব উৎসাহে এই বিষয়ে আলোচনা করিতে আরম্ভ করিল । দারোগ সাহেবের ব্যাগটি ফেরৎ পাইবার আশ। যে কত অল্প সে বিষয়ে মত প্রকাশ করিতেও তাহীর ক্ষণস্ত হইল না । - ক্রমে আহার সমাপ্তপ্রায় হইয়৷ আসিল । ভোজন শেষ করিয়া সকলে যখন দাম চুকাইবার জন্য গেঞ্জের গেরো অালগ করিয়াছে ঠিক সেই সময়ে হেড কনেষ্টবল স্বারপ্রান্তে আসিয়া উদিত হইল । “বড়গার হরিচরণ নামে এখানে কেউ আছে কি ?” হরিচরণ দোকানের একপ্রান্তে বসিয়া কচুরী fচবাইতেছিল ; সেইস্থান হইতে সে বলিয়া উঠিল,— “আজ্ঞে আছি বই কি, এই যে !” পুলিশ-কৰ্ম্মচারী বলিল,—“হরিচরণ, একবার অামার সঙ্গে থানীয় যেতে হবে । সাহেব তোমাকে সেলাম দিয়েছেন।” মনে তাহার একটু চাঞ্চল্যের ভাব জাগিয়া উঠিল, তোমাকে Wiび空t5|1 প্রবাসী—চৈত্র, ১৩২১ [ ১৯শ ভাগ, ২য় খণ্ড একটু ঝুিঁক্তিও যে না জাগিয়া উঠিয়াছিল এমন কথা বলা যায় না ; বেতোরোগী বসিবার পর উঠিতে গেলে বড়ই কষ্ট অনুভব করে—হরিচরণ পূৰ্ব্বাপেক্ষা দ্বিগুণ বক্রদেহে উঠিয়া পড়িল, অৰ্ভুক্ত খাবারের ঠোঙা হাত হইতে মাটিতে খসিয়া পড়িয় গেল। ঈষদকুচ্চ সুরে,—“বেশ যাচ্ছি চল” বলিয়া কৰ্ম্মচারীর অনুসরণ করিল। - আরমিকেদারায় দারোগ সাহেব তাহারই অপেক্ষায় বসিয়া ছিলেন। সে গায়ের তিনিই সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা ; লোকটা গম্ভীর, বলিষ্ঠ ও বিলাসী । তিনি বলিলেন,-–“হরিচরণ, অfজকে তোমায় কোন লোক বড়গ থেকে গঞ্জে আসবার পথের মোড়ে খোয়৷ ব্যাগটা কুড়তে দেখেছে ?” ভয় ও বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হইয়া হরিচরণ দারোগ সাহেবের দিকে চাহিয়৷ রহিল ; দেখিল দারোগা সাহেব তাহাকে সম্পূর্ণ সন্দেহ করিতেছেন অথচ সে ইহার কোন কারণই খুজিয়া পাইতেছে না।

  • আমায় ? অামায়—আমায় কুড়িয়ে নিতে দেখেছে ?” “হ্যা তোমায় !" “দোহাই ধৰ্ম্মাবতার, আমি মা কালীর নামে দিব্যি কচ্ছি, আমি ব্যাগ পাইনি ;~~ব্যাগের সম্বন্ধে কোন কথা জানিও না !”

“কিন্তু তোমায় নিতে দেখেছে।” “দেখেছে ? অামায় ? কে ? জানতে পারি কি ? “খাবারওয়াল মধু স৷ ” বৃদ্ধের সহসা সকল কথা মনে পড়িয়া গেল, ব্যাপারটাও কতকটা বুঝিতে পারিল । ক্রোধে রক্তবর্ণ হইয়া বলিল—“ওঃ । সেই পাজি জানোয়ারটা আমায় দেখেছে ! হা অদৃষ্ট ! সে আমায় যা নিতে মেথেছে সে এই দড়ির টুকরো—হুজুর, ধৰ্ম্মাবতার, এই দেখুন সেই দড়ির টুকরো !” ট্যাকের মধ্যে আঙুল গুজিয়া সে তখনি দড়ির টুকুরটি বাহির করিয়া ফেলিল । দারোগা সাহেব অবিশ্বাসে ঘড়ি নাড়িলেন। “হরিচরণ। মধু সার মত একজন বিশ্বাসী লোক যে