পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s ৬ষ্ঠ সংখ্য। ] শষ্য করিতে হইলে তাহার পিতামাতার অনুমতি লুইতে হইবে । ক্ৰমে বৌদ্ধ কৰ্ম্মবাচায় দেখিতে পাওয়া যায়, একুশ বৎসরের পূৰ্ব্বে কাহীকেও দীক্ষা দেওয়া হইত না । যে কেহ দীক্ষা লইতে আসিত, তাহাকেই জিজ্ঞাসা করা হুইত, তোমার বয়স একুশ বৎসর হইয়াছে ত? বহুকাল পরে শঙ্করাচাৰ্য্য এই মত প্রকাশ করেন যে, “যদহৱেৰ বিৱজ্যেং তদহরেব প্রত্ৰজেৰ। এটি জাবুলেপিনিষদের বচন । সম্ভবতঃ শঙ্কারাচার্য্যের পূৰ্ব্বেই এই উপনিবন্ধু রচিত হইয়াছিল। উত। কোন ব্লাহ্মsের অস্তভুক্ত নহে, স্বতরাং বুদ্ধদেবেরু পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী হওয়া সত্তৰ নহে । - বৌদ্ধভিক্ষুর বেশ হইতেও দেখা যায় উহা আৰ্য্যবিরোধী বেশ । আর্যগণ উষ্ণৗষ ও উপানহ ভিন্ন গুলিতেন লু। মাথায় পাগড়ী ও পায়ে জুতা সবারই থাকিত । কিন্তু বৌদ্ধগণ বাঙ্গালীর মত খালিমাথায় থাকিতেন এবং উপানহ ব্যবহার করিয়ুতন না । এইসকল নানা কারণে বোধ হয় যে, পূর্বাঞ্চলে বঙ্গ বগধ ও চের নামে ষে তিনটি সভ্য জুতি বাস করিতেন, তাহীদের সঙ্গে আর্য্যগণের মেলামেশায় বৌদ্ধধর্মের উৎপত্তি হইয়াছে । যে জায়গায় আৰ্য্যগণের পশ্চিমৗম ও ঐ জাতিসকলের পূৰ্ব্বসীমা, সেইপানেই বৌদ্ধধর্থের উৎপত্তি। উহা পুৰ্ব্বাঞ্চলে অতিশয় প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল, পশ্চিমাঞ্চলে উছার প্রাদুর্ভাব কখনই এত অধিক হয় নাই । পঞ্চাল, কুরুক্ষেত্র ও মৎস্যদেশে যে বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রবল ছিল, ইহার প্রমী শ বড় একটা পাওয় যায় না। (नtब्रोम्न4, गुड्डान ) - - ~ * * * * * * * * * * * শ্ৰীহরপ্রসাদ শাস্ত্রী । দশকৰ্ম্মের ভাষা ভারতের হিন্দু অধিবাসীগণ ভারতের দর্শণ বিজ্ঞাণ ধৰ্ম্মশাস্ত্র প্রভূতি সকল বিষয়েরই এক একটি ঐশী উৎপত্তি কল্পনা করিয়৷ থাকেন। আর্য ঋষিগণ মনুষ্য ছিলেন , উrহার কেবল স্বপ্রকাশ ব্ৰহ্মাদেশ ভাষায় ব্যক্ত করিয়া মানবমওগীকে বুঝাইয়াছেন।. এবম্বিধ ধারণা হইতে সংস্কৃত ভাষা দেবভtযা এবং সংস্কৃত লিপিমালা দেবনাগরী বা দেবতাগণের অাবাসস্থল হইতে উৎপন্ন বলিয়া সাধারণ্যে অভিহিত হয়। ভারতের সকল হিন্দু সম্প্রদায়ই ধৰ্ম্মসংক্রান্ত যাবতীয় কার্য্যকলাপ সংস্কৃত ভাষায় সম্পন্ন করিয়া থাকেন। কিন্তু যতদিন সংস্কৃত ভাষা ভারতের জাতীয় ভাষা ছিল ততদিন উক্ত মন্ত্রাদির অর্থ খৰাধ করিতে দেশবাণীকে কষ্ট পাইতে হইত না । किड़ 4१न श्राद्ध cम निन माझे । अcनक ग्निन श्t १३ elब्रtठग्न অধিবাসীবৃঙ্গের সহস্ত্রে একজনও সংস্কৃত ভাষা বুঝিতে বা বলিতে পারে না। সমগ্র হিন্দুজাতিকে পুনরায় অষ্ট্যাধায়ী পণিনি শিক্ষা দিয়া সংস্কৃতে ব্যুৎপন্ন করিবার কল্পনাও বাতুলের আশা মাত্র। এ অবস্থায় প্রাদেশিক ভাষাই আমাদের ভাব প্রকাশের একমাত্র অবলম্বন। মাম্বৰ তাহার চিন্তারাশিকে ভাষায় গড়িয়া তুলিতে পারে বলিয়াই তাহার মহত্ত্ব । ধৰ্ম্মকর্য প্রাণের বস্তু ; কাহীকে কি বলিয়৷ ডাকিতেছি, তাহা যদি হৃদয়ঙ্গম না হইল, তবে ত ভগবানকে ডাকিবীর কোন তাৎপর্য্য থাকে না। কার্য্যের সহিত ধদি চিন্তাশক্তির উন্মেষ ও সমাবেশ ন হইল, তবে জড়ে ও চৈতন্যময় মামুষে পার্থক্য রহিল কোথায় । মানুষ যদি পরের কথায় ভিন্ন নিজে চিন্তা করিতে না পারিল, তবে আর তাহার পৃথক ভাবে চিস্তাশক্তি লাভের কি প্রয়োজন ছিল । চিস্তার রাজ্য যে এথানে রুদ্ধ হইয়া কষ্ট্রিপাগ্লর—দশকৰ্ম্মের ভাষা । ... " গেল ।—দর্শন বিজ্ঞান সবই যে বৃথা । বাস্তবিক (ى وارئ - . . . B. × . . . আঁমাদের দেশে শকুলই রুদ্ধ হইতে বসিযাছে বা পূৰ্ব্বেই রুদ্ধ হটুয়া গিয়াছে। আমরা ভgবালকে ডাকিতে হইলেও, এক দুৰ্ব্বোধ (আমাদের পক্ষে নিৰ্ব্বোধ) ভাষার সাহায্যে ভগবানকে ডাকিয়া থাকি। নহলে যে আমাদের ‘জাতি যাইবে । ইহা অপেক্ষা শোচনীয় অবস্থা কল্পনাতেও আইসে না। আমাদের জাতীয় সকল ক্রিযাই ধৰ্ম্মভাব প্রস্ত . কিন্তু বিবাহ, উপনয়ন, পূজা, আরাধনা, সকল বিষয়েই এক অলেtধ্য ভাযায় ধৰ্ম্মপ্রেরণা জাগাইতে হয় । e to e নিৰ্ব্বোধ চাষ কোন দুদৈব বা পাপশান্তির জন্ত পণ্ডিত মহাশয়ের নিকট ব্যবস্থা লইতে গেল। পণ্ডিত মহাশয় ১-২০ টাকা প্ৰণামী পাইয়। লম্বা লম্বা কথ। জোড়া দিয়া এক “পাতি" লিখিয়া-দিলেন, কিন্তু হয়, নিবোধ বুঝিল না, কিম্বা লুঝিবাব জন্ম ইচ্ছাও করিল না, যে, সে কি পাপের কি প্রায়শ্চিত্ত করিতে যাইতেছে । কিন্তু তাহার “পাতি" যদি তাহার নিজের ভাষায় লিখিত হুইত, তবে হয়ত তাহার অপরাধী হৃদয় আপন কৰ্ম্ম বুঝিধা কতকটা আশ্বস্ত হইত। কিন্তু সে ধে যন্ত্র হইয়া পৃথিবীতে আসিয়াছে এবং যন্ত্রের মত পটিয়াই বিদায় লইবে । ইহার কারণস্বরূপ বলা যাইতে পারে যে অঞ্চারিত ব্ৰাহ্মণ প্রভাব ভারতের বিচারশক্তি চিরদিনের জন্য লুপ্ত করিয়া পিয়াছে । তাই এই YBBB BBBB K D BBgggSgB BBB BBBB BBBB করিতে পারে নাই। ধtহয়৷ ধৰ্ম্ম ও কৰ্ম্মকে এইরূপ ভিত্তিহীন ভাবে স্থায়ী করিতে চায়, তাহারা দিন দিন গায় ও ধ্বংসের পথে চুটিবে না ত কি ? এইসব কারণবশ গুষ্ট ভারতের ধৰ্ম্ম ও সমাজের অবস্থ। মন হইতে মন্দতর হইতেছে। আমাদের শাস্ত্র এবং শাস্ত্রীয় ভাষা যুদ্ধ হীণতা ও হৃদয়হীনতার আশ্রয়ভূমি হইয়। দাড়াইয়াছে আমরা বেদের ধরে ধরি না, কিন্তু বিবাহ, উপনয়ন, পূঞ্জ পাৰ্ব্বণে বৈদিক মঞ্জের ঘটায় এক একজন বৈদিক সাজিয়া বসি । সকল দেশেই ধৰ্ম্ম ও সমাজিক ক্রিয়t কলাপ তত্ত্বদেশীয় ভাষায় সম্পন্ন হয়। কিন্তু পারিন শুধু আমরা । কারণ আমরা যে দেশাচারও ব্রাহ্মণশাসিত একটি যন্ত্রমাত্র। - .পুরোহিত নিজেও মন্ত্রার্থ জানেন না, অর্থশঙ্ক যন্ত্র উচ্চারণ করিয়া দেশাচার রক্ষা করেন । কাজেই মনে হয়, আমাদের দেশে দৈব কৰ্ম্মে আমাদের মাতৃভাষা ব্যবহৃত হইলে সফল হুম কুফল ফলিবে লা । & কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় আমাদের দেশের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের দৃষ্টি * কত শত শত বিষয়ে পতিত হইতেছে-এই একটি বিষয় কিছুতেই ঠাহীদের মনোযোগ আকর্ষণ করিতেছে না। যাহারা সংস্কৃত ভাবায় সুপণ্ডিত ঠfহাদের কাছে এ প্রস্তাব কখনই ভাল লাগিবে K0 DDD BB B BDDD BBBS BBB DD BDDS কখনও চিন্তা করেন না, বা করিতে আগ্রহ ও প্রকাশ করেন ಇt! বঙ্গদেশে ব্রাহ্মসম্প্রদায় এই দিয়ে অভাল উপলব্ধি কবিয়া মাতৃভাষাকে দৈবক্রিয়ার ভাষারূপে ব্যবহার করিয়! থাকেন। দেশীয় খৃষ্টানগণও BBBB BBB DS DBBB KDDBB SB BBBS BBS করিয়াছেন । ভক্তির পুতুল চেতষ্ঠা বঙ্গালীর সদয়ে তাহার মাতৃভাষায় যে চিস্তালহরী তুলিয়াছিলেন, তাহ1৩ধু ব্রাহ্মণের মধ্যে নয়,-- ঢণ্ডলের মধ্যেও ভগবৎভক্তি ও স্বাধীন চিন্তার প্রতি বস্থাইয়াছিল। তাই আজও ধানের ক্ষেতে, হাটের পথে, খেয়ার ঘাটেও হরিনামের অমৃতধারা শুনিতে পাওয়া যায়। 拳} সংস্কৃত পবিত্র দেবভাষা –আমাঞ্চ লিগ মহুখযাও অপবিত্র -- ۔ بر