পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী— অধিকাংশ লোকেই উহার ব্যবহারে অনভিজ্ঞতাবশতঃ উহা জলে সিদ্ধ করিয়া, জল ফেলির দেয়া, পাতাগুলিতে চিনি মিশ্রিত করিয়া, ভক্ষণ কুরিয়াছিল। - sts ২২ দাবাখেল। —আমাদের দেশে একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে যে রাখের সহিত যুদ্ধের প্রাকালে রাণী মন্দোদরী রাবণকে একরূপ খেলার আহবান করেন ও বলেন যে, এই খেলার ফল . 4नशिप्रांडे' उिनि शशिग्नौं निहरुम, ब्रt८मब्र अहि ॐ शूरश्न ब्रांद१ छ प्री হইবেন কি না। ক্রীড়াটিও সেই কারণে একটি যুদ্ধের সর্বঙ্গেয় অনুকরণ। সেই জেতা যুগ হইতে ভারতবর্যের হীনবীৰ্য ( ) অধিবাসীবৃন্দ গৃহে বসিয়,এই চতুয়ঙ্গ ক্রীড়া দ্বারা বোধ হয় উtহাদের যুদ্ধের সাধ মিটাইতেন । তাহার পর আরবদেশবাসীগণ উই৷ শিক্ষা করিয়া পারস্তকে তাহী শিক্ষা দেন । এবং পারস্ত হইতে ঐ ক্রীড়া ‘চেস্’ ( Chess, পরস্ত সাহ শব্দের অপভ্রংশ) নামে পাশ্চাত্য রণকুশল জাতিদিগের মধ্যে নিজের প্রসার-প্রতিপত্তি বিস্তার कब्रिग्नitछ । ২৩। ধৰ্ম্ম —পৃথিবীতে সকল শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্মই প্রাচাদেশে উৎপত্তিলাভ করিয়াছে। হিন্দুধৰ্ম্ম, বৌদ্ধধৰ্ম্ম, মুসলমান ধৰ্ম্ম, য়িহুদিধৰ্ম্ম, খৃষ্টধৰ্ম্ম, সকল ধৰ্ম্মেরই জন্মভূমি এসিয়া মহাদেশ। ২৪। পুজা-পদ্ধতি –মিশর হইতে সভ্যতার-অঙ্কুর-গ্রহণ-কালে গ্ৰীসূ ও রোম মিশরদেশীয় পূজাপদ্ধতি গ্রহণ করেন ; এমন কি, মিশরদেশীয় দেবতা পর্য্যস্ত র্তাহ দের দেবতাগণের মধ্যে স্থান পান । কলিক্রমে খৃষ্টপ্পর্থের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে দেবতা গেলেন বটে, কিন্তু পূজাপদ্ধতি রহিয়া গেল । ২৫ । মঠ -অশোক রাজী হইয়া বৌদ্ধধৰ্ম্ম-প্রচার কল্পে প্রায় পৃথিবীর সর্বদেশেই বৌদ্ধ ভিক্ষুগণকে প্রেরণ করিয়াছিলেন । মঠপ্রথা ভারতবর্ষেই ছিল, তৎপূর্বে আর কোন জাতির মধ্যেই উহ। ছিল না । মিশরে ভিক্ষুসম্প্রদায় গমনের পর হইতেই বৌদ্ধধৰ্ম্মেয় অনুকরণে মঠ-প্রথার স্থাপন হয় । মিশর হইতেই এই ylonastic system গ্রীসের মধ্য দিয়া সমগ্র ইয়ুরোপে প্রবর্ভূিত হইয়াছে। ইহাও ইয়ুরোপের নিজস্ব নহে। - ( ভারতবর্ষ, ফাস্তুন ) υινθο শ্ৰীনরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যtয় । ή ধৰ্ম্মপাল ● বরেন্দ্রমগুলের মহারাজ গোপালদেৰ ও তাহার পুত্র ধর্মপাল সপ্তগ্রাম হইতে গৌড় যাইবার রাজপথে যাইতে যাইতে পথে এক ভগ্নমনিয়ে রাত্রিযাপন করেন। প্রভাতে ভাগীয়খীতীরে এক সন্ন্যাসীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। সন্ন্যাসী তাহাদিগকে দ্যুলুষ্ঠিত এক গ্রামের ভীষণ দৃগু দেখাইয়া এক দ্বীপের মধ্যে এক গোপন দুর্গে লইয়া যান। সন্ন্যাসীর নিকট সংবাদ আসিল যে গোকৰ্ণ দুর্গ আক্রমণ করিতে শ্ৰীপুরের নারায়ণ ঘোষ সসৈন্তে আসিতেছেন ; অথচ দুৰ্গে সৈন্যবল নাই। সন্ন্যাসী উtহার এক অনুচরকে পার্শ্ববৰ্ত্তী রাজাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনার জন্য পাঠাইলেন এবং গোপালদেব ও ধৰ্ম্মপালদেষ দুৰ্গরক্ষায় সাহায্যের জন্য সন্ন্যাসীর সহিত দুর্গে উপস্থিত হইলেন । কিন্তু দুর্গ শীঘ্রই শত্রুর হস্তগত হইল । তখন দুর্গশ্বামিনীর কন্যা কল্যাণী দেবীকে রক্ষা করিবার জন্য তাহীকে পিঠে বঁধিয়া ধৰ্ম্মপাল দেব দুর্গ হইতে লম্ফ দিয়া পলায়ন করিলেন "ঠিক সেই সময় উদ্ধারণপুরের দুর্গস্বামী উপস্থিত হইয়া নারায়ণ ঘোযকে পরাজিত ও বন্দী করিলেন। তখন সন্ন্যাসী উাহীর শিষ্য অমৃতানম্বকে যুবরাজ ও ১৪শ डॉश्, श्झ १७ কল্যাণী দেবীর সদ্ধানে প্রেরণ করিলেন । এদিকে গৌড়ে সংবাদ পৌছিল যে মহারাজ ও যুবরাজ নৌকাডুবির পর সপ্তগ্রামে পৌঁছিয়াছেন। গৌড় হইতে মহারাজকে খুজি৭ার জন্য দুই দল সৈন্ত প্রেরিত হইল। পথে ধৰ্ম্মপাল কল্যাণী দেবীকে লইয়া তাহদের সহিত মিলিত হইলেন । সন্ন্যাসীর বিচারে নারায়ণ ঘোষের মৃত্যুদণ্ড হটল। এবং গোপালদেব ধৰ্ম্মপাল ও কল্যাণী দেবীকে ফিরিয়া পাইয়া অনিন্দিত হইলেন। কল্যাণীর মাতা কল্যাণীকে বধুরূপে গ্রহণ করিবার জন্য মহারাজ গোপালদেবকে অনুরোধ করিলেন । গৌড়ে প্রত্যাবর্তন করার উৎসবের দিন মহারাজের সভায় সপ্ত সামন্ত রাজা উপস্থিত হইয়া সন্ন্যাসীর পরামর্শক্রমে তাহাকে মহারাজাধিরাজ সম্রাট বলিয়৷ স্বীকার করিলেন । o গোপালদেবের মৃত্যুর পর ধৰ্ম্মপাল সম্রাট হইয়াছেন। তাহার পুরোহিত পুরুবোত্তম খুল্লতাত-কর্তৃক হৃতসিংহাসন ও রাজ্যতাড়িত কান্তকুজরাজের পুত্রকে অভয় দিয়া গৌড়ে আনিয়াছেন। ধৰ্ম্মপাল উাহাকে পিতৃসিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করিবেন প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন। এই সংবাদ জানিয়া কান্তকুজরাজ গুর্জর রাজের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিয়া দূত পাঠাইলেন। পথে সন্ন্যাসী দুতকে ঠকাইয়া তাহার পত্র পড়িয়া লইলেন। গুর্জররাজ সন্ন্যাসীকে বৌদ্ধ মনে করিয়া সমস্ত বৌদ্ধদিগের উপর অত্যাচার আরও করিবার উপক্রম করিলেন । এদিকে সন্ন্যাসী বিশ্বানন্দের কৌশলে ধর্মপাল সমস্ত বৌদ্ধকে প্রাণপাত করিয়া রক্ষণ করিবেন প্রতিজ্ঞা করিলেন । সম্রাট ধৰ্ম্মপাল সামস্তরাজদিগকে সঙ্গে লইয়া কান্তকুজ রাজ্য জয় করিতে যাত্রা করিলেন । ধৰ্ম্মপাল বারাণসী জয় করিয়াছেন শুনিয়t কান্তকুঞ্জ ছাড়িয়া ইন্দ্রায়ুধ গুর্জরে পলায়ন করিলেন এবং গুর্জররাজকে ধৰ্ম্মপালের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাহায্য করিবার জন্য অনুয়োখ করিতে লাগিলেন । ধৰ্ম্মপাল চক্রায়ুখকে কানাকুজে প্রতিষ্ঠিত করিয়া গৌড়ে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিতেছিলেন, পথে সংবাদ পাইলেন উtহtয় অনুপস্থিতির সুযোগ পাইয় গুর্জরগণ যুদ্ধ ঘোষণা না করিয়াই কান্তকুঞ্জ আক্রমণ করিয়াছে । ধৰ্ম্মপাল পথ হইতে আবার ফিরিলেন । ] দশম পরিচ্ছেদ । আর কতদিন । সন্ধ্য হইয়া আসিল, তথাপি সৰ্ব্বানন্দ ফিরিলেন না ; তখন আমলাদেবী অত্যন্ত চিন্তি তা হইলেন । সৰ্ব্বানন্দ কখন এত অধিকক্ষণ গৃহের বাহিরে থাকিতে পারিতেন না, তিনি দণ্ডে দণ্ডে গৃহে আসিয়া আমলীকে দেখিয়া যাইতেন। সেই সৰ্ব্বানন্দ যখন রজনীর প্রথম প্রহরেও গৃহে ফিরিলেন না, তখন আমলাদেবী প্রদীপ হস্তে র্তাহীর সন্ধানে বাহির হইলেন। একাকিনী স্বামীর বয়স্তগণের গৃহে গৃহে অনুসন্ধান করিয়া অমল। অবশেষে ভ্রাতৃগৃহের দ্বারে উপস্থিত হইলেন । নিশীথরান্ত্রিতে একাকিনী প্রদীপ হস্তে গৃহদ্বারে আমলাকে দেখিয়া তাহার ভ্রাতৃবধু অত্যন্ত বিস্মিত হইলেন। অমলাদেবীর ভ্রাত , ১৩২১ শয়ন করিয়া ছিলেন। তিনি ব্যস্ত হইয়। উঠিয়া আসিলেন।