পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bro হস্ত হইতে বাগান রক্ষা করিতে হয়, ইত্যাদি নানা বিষয়ে শিওর চিত্তে পর্য্যবেক্ষণ-শক্তি জাগ্রত করিয়া দেওয়া যায় । আমাদের দেশে প্রধানতঃ কৃষিই সৰ্ব্বাপেক্ষ আবশ্যক। এতদ্ব্যতীত লোহা পিতল ও কাঠের কাজেরও এদেশে প্রচুর ক্ষেত্র রহিয়াছে। বঁtশ ও বেতের কাজ কোন কোন জিলায় অতি সহজে শিক্ষা দেওয়া যায়, কারণ তাহার ব্যবহার এদেশে ও চুর। প্রত্যেক স্থানেই একই প্রকায় শিল্পশিক্ষা সস্তবে না। যে স্থানে যে শিল্পের উপাদান সহজলভ্য, সেই অস্থানেই সেই শিল্পশিক্ষণ দেওয়া বিধেয় হইবে । 1 يه আমাদের দেশের প্রত্যেক মিউনিসিপাল সহরে অন্ততঃ একটী করিয়া আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যtsয় থাকা প্রয়োজন, যেখানে লেখ1পড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতের কাজ শিক্ষা দেওয়া হইবে । এতদ্বভৌত প্রত্যেক থানায় অস্তুত: দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাগানে সহজভাবে কৃষিবিজ্ঞান শিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকিবে । এ-সকল বিদ্যালয়ে বঁাশ, বেত ইত্যাদির কাজ শিক্ষা দেওয়া সহজ, কারণ তাহাতে অধিক অর্থের প্রয়োজন হয় না । মিউনিসিপাল সহরে ষে সকল শিল্প-বিদ্যালয় হইবে তাহার ব্যর মিউনিসিপ্যালিটি বহন করিতে পারে । প্রত্যেক থানায় আমরা অন্ততঃ দুইটি গ্রাম পাইতে পারি যেখানকার অধিবাসীরা তাহদের বিদ্যালয়ের তিন ভাগের এক ভাগ খরচ বহন করিবে এবং অবশিষ্ট श्र९* cछल] cशांॐ श्ङ भूाशंगा शृझ* cधfॐ श७ग्र! सृश्tिऊ श्रृंizछ । বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করিবার উপযুক্ত বয়সের যত বালিকা আছে তন্মধ্যে শতকরা ৯৫টি কোনও শিক্ষা লাভ করিতেছে না। বঙ্গচ্ছেদ হওয়ার পর পূর্ববঙ্গের কর্তৃপক্ষ স্ত্রীশিক্ষার জন্য বিশেষ মনোযোগ প্রদর্শন করিয়াছিলেন । ঢাকাতে শিক্ষাবিভাগের তত্ত্বাবধানে অন্তঃপুর স্ত্রীশিক্ষায় হব্যবস্থা ইয়াছিল। শিক্ষয়িত্রী তৈয়ারীর জষ্ঠ ষ্ট্রেনিং স্কুল স্থাপিত হইয়াছে। পূৰ্ব্ববঙ্গের সর্বত্র বালিকা বিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি হইয়াছে। শিক্ষাপ্রণালীও উৎকর্ষ লাভ করিয়াছে। গ্রামে গ্রামে বালিকা-বিদ্যালয় পিস্তারের একটি প্রধান অন্তরায় এই ষে তাহাতে ছাত্রী-বেতনের লোভ কম বলিয়া গুরুমহাশয়দিগের সে বিবয়ে উৎসাহ খুবই অল্প। অর্থাৎ আমাদের দেশের অধিকাংশ ছাত্রবিদ্যালয়ই গুরুমহাশয়দিগের নিজের চেষ্টায় স্থাপিত হইয়াছে। ছাত্রবৃত্তি পাশ করিয়া যাহাদিগকে বাড়ী বসিয়া থাকিতে হইয়াছে তাহার অন্যান্ত সংসারিক কর্মের সঙ্গে পাঠশালার কাজ করিয়া যৎকিঞ্চিৎ উপার্জনের চেষ্টা ক;ি তেন। ছাত্র৭ে৩ন এবং জেলা বোর্ডের সীমান্ত সাহায্যই ছিল তাহদের লাভ। বালিকাগণ দুর হইতে আদিয়া পড়িতে পারে না বলিয় বালিকাবিদ্যালয়ে ছাত্রীসংখ্যা অধিক হওয়ার সম্ভাবনা নাই । দ্বিতীয়ত: আমাদের দেশের অভিভাবকগণ বেতন দিয়া বালিকাদিগকে পড়াইতে চাহেন না। এসকল প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাদিগকে গ্রামে গ্রামে স্ত্রী শিক্ষার প্রচার করিতে হইবে । আমাদের পরিবারের মহিলা কুলকে উপযুক্তরূপ শিক্ষা দিতে না পরিলে আমরা পারিবারিক আনন্দকে সম্পূর্ণ করিতে পারিব না। পুরুষদিগের অনুপাতে স্ত্রী শিক্ষার বিস্তায় না হইলে অনেক শিক্ষিত যুবককেই অশিক্ষিত। বালিকার পাণিগ্রহণ করিতে হইবে। এরূপ অসামঞ্জস্তপূর্ণ মিলনে পারিবারিক জীবন পূর্ণতা লাভ করিতে পারে না। এবং ইহাতে সমাজের নৈতিক অবনতি সংঘটিত হয় । o বিশেষতঃ সুশিক্ষা ব্যতীত উপযুক্ত জননী হওয়া সম্ভব নছে । এ অবস্থায় আমাদের জাতির কল্যাণকল্পে স্ত্রীশিক্ষার বিস্তার যখন অত্যাবশ্বক তখন প্রতিকূলতা দেখিয়া ভীত হইলে চলিবে প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩২১ [ ৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড না। "আমাদের ঐকান্তিক প্রয়াসকে সৰ্ব্ববিধ প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে জয়যুক্ত করিতে হইবে । গ্রামে গ্রামে এমন একদল যুবক দেখা যায় মাহীদের ঘরে আগ্নের সংস্থান রহিরাছে বলিয়া উrহার। দিবসের অধিকাংশ সময়ই তাস পাশা দাবী থেলিয়া অতিবাহিত করেন । এই শ্ৰেণীয় অলস যুবকবর্গকে আমাদের কাজে লাগাইতে হইবে। অবৈতনিক বালিকা বিদ্যালয় করিয়া উtছার তাহদের পরিবারের এবং প্রতিবেশীর কন্যাদিগকে শিক্ষা দান করিতে পারেন । গ্রামের বিদ্যালয়গুলিকে ব্যবসায়ী শিক্ষকের হাতে সম্পূর্ণ সপিয়া না দিয়া যাহারা সম্প্রদায়নিৰ্ব্বিশেষে জনসাধারণের উন্নতি বিধানে জীবনকে নিয়োজিত করিতে প্রস্তুত এরূপ প্রাণবাণু শিক্ষকের হস্তে সমর্পণ করা উচিত i কারণ বিদ্যালয়গুলিকে কেন্দ্র করিয়াই পল্লী BBBB BDK BBBB BBBS BBBB BBSBB SBKSDDD উপযোগী একটা ছোট লাইব্রেরী রক্ষা করিতে হইবে । বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের সাহায্যে বাঙ্গালা পুস্তক অধ্যয়নের জন্য গ্রামে বিতরণ করবেন ও পুনরায় পাঠান্তে ৩। হা সংগ্ৰহ করিয়া রাখিবেন। শিক্ষক নিজের চেষ্টায় শিশুদের মনে পাঠানুরাগ সঞ্চার করিবেন এবং তfহাদের সাহায্যে পল্লীতে তfহা পরিব্যাপ্ত করিয়া দিবেন। এরূপ সাকুলেটিং লাইব্রেরী স্থাপন করা খুব কঠিন নহে। গ্রামে বিবাহপি অনুষ্ঠানে সৰ্ব্বত্রই বারোয়ার ফণ্ডে কিছু অর্থ সংগ্রহ করা হয় । সেই অর্থই এই উদ্দেশ্যে ব্যয় করা যাইতে পারে। আমেরিকায় সৰ্ব্বত্র এই গ্রাম্য পাঠাগার রহিয়াছে। এবং সেই সকল লাইব্রেরীকে কেন্দ্র করিয়াই সে দেশের কর্তৃপক্ষ সাধারণ্যের মধ্যে ভাব বিস্তার করিয়া থাকেন। লাইব্রেরীয়নের পক্ষে গল্প বল একটী অতাবখ্যক গুণু বলিয়া বিবেচিত হয় । তণ্ডঞ্জ ন্য তাহাকে fবশেষ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে হয়। সেই লাইব্রেরীয়ান রাওrর ছেলেদিগকে ৬াকিয়া মধুর ভাষায় গল্প বলিতে থাকেন এবং অবশেষে তাহাদিগকে বলেন “তোমরা যে গল্প শুনিলে তাহা এই পুস্তকে লেখা আছে। গড়ে দেথতে পার।” ইহা লিয়া তাহদের হাতে পুস্তকখানা তুলিয়া দেন। বালকেরা সেই-সকল পুস্তক গৃহে লইয়। গিয়া অন্যান্য বন্ধু বান্ধবকে পুড়িয়া শোনায়। এইরূপে লাইব্রেরীর সাহায্যে সৰ্ব্বত্র জ্ঞান পৃহা জাগ্রত করা হয় । ইয়োরোপের প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে স্বাস্থ্যবিজ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার বাবস্থা রহিয়াছে। এ দেশে সেইরূপ ব্যবস্থা বর্ধমান নাই । শিক্ষাবি ভাগে সলনিস্পেক্টব ও সহকারী সবনিস্পেক্টরের সংখ্যা অত্যন্ত বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইয়াছে। এ জন্য যথেষ্ট অর্থও ব্যয় করা হইতেছে। অথচ ইহাদের দ্বারা তদনুযায়ী কাজ কিছুই পাওয়া যাইতেছে না। এই সকল পরিদর্শকগণ জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্য সম্বন্ধে জ্ঞান প্রচার করিতে পারেণ । উrহার। পরিদর্শন উপলক্ষে মখন নানা গ্রামে গমন করিয়া থাকেন তখন তৎসঙ্গে ছায়াটিঞ্জের সাহায্যে সরল ভাষায় বক্তৃতা করিয়া অনেক গ্রামের ছাত্র ও অভিভাবকদিগকে স্বাস্থ্যসম্বন্ধে অনেক বিষয়ে শিক্ষণ দিতে পারেন। কেবল বক্তৃতা দিয়া নহে, গ্রামের অধিবাদীদিগের সহিত বন্ধু ভাবে মিলিত হইয়া গ্রামের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সাধারণ স্বাস্থ্য সম্বন্ধে আলোচনা করিয়া যথেষ্ট উপকার করিতে পারেন । তাহা হইলে র্তাহীদের জন্য প্রদত্ত অর্থের সদ্ব্যবহার হয় । স্বাস্থা আমাuদর দেশে বর্তমান সময়ে একটা গুরুতর সমস্ত হইয়া দঁাড়াইয়াছে। সুচিস্তিত শিক্ষা প্রণালীর সাহাধ্যেই আমাদের দেশের পল্লীসমূহের সর্বাঙ্গীন উন্নতির পথকে বাধামুক্ত করা সম্ভব হইবে । আমরা যদি যথার্থভাবে পল্লীসংস্কার করিতে চাই তবে পল্লীর