পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] স্বাস্থা ও শিক্ষা সম্বন্ধে সমগ্র দায়িত্ব গভর্ণমেন্টের ঘাড়ে চাপাইয়া নিজেরা কাপুরুষের স্তায় নিশ্চেষ্ট হইয়া থাকিলে চলিবে না। পবিত্র বিদ্যমন্দিরেও আমরা দলাদলির অলক্ষ্মীকে সিংহাসন ছাড়িয়া দিয়াছি। লক্ষ্মী তাই অrঞ্জ পল্লী হইতে নিৰ্ব্বাসিত হইয়াছেন। তাই সোণার বাংলার পল্লীভবনে দরিদ্রের আশ্রয় নাই। নিরন্নকে উচ্ছন্ন করিয়া তাহfর ভিটে-মাট গ্রাস করিবার জন্য সুধিনী শকুনীর, মত শত শত মহাজন গ্রীবা প্রসারিত করিয়া অপেক্ষা করিতেছে । যে দেশের পল্লীর পূলিকণা মহাপ্র ভূ-গৌরাঙ্গের প্রেমাশতে পবিত্র হইয়াছে, যাহার অপংখা ভক্তবৃন্দের পেমহুঙ্কারে পাপীর প্রাণে একদিন আতঙ্ক সঞ্চার করিয়াছে, আজ সেখানে সৰ্ব্বত্র অধৰ্ম্ম ও মিথ্য। SSBBBB BBB BBBB BBBS BBB BB BBBBBB BBS BB ও স্বাস্থ্যের অভাবে পল্লীভুমি আজ শ্মশানে পরিণত হইতে চলিয়াছে । সাহির হই েস িহায্যের অপেক্ষ না করিয়া আমাদের অন্তরিক | চেষ্টাকে জাগ্ৰত করিতে হইলে । কৰ্ম্মবিমুর্ণ অলস ধাইর, মানুষ ত দুরের কথা—তাহারা বিধাতারও স্বপাকটাক্ষ হষ্ট েও বঞ্চিত হইবে । এই অসাড় জড় পল্লীসমাজের মধ্যে প্রাণসঞ্চার করিতে হইলে আমাদিগকে কঠোর তাগের জন্য প্রস্তুত হইতে হইলে । ধন ও মানের পথকে পরিত্যাগ করিয়া করতলিবিহীন নীরব সেবার পস্থ। অবলম্বন করিতে হুইবে । শামূলার লো গু পরিত্যাগ করিয়া গ্রামে গ্রামে দীন শিক্ষকের পদ গ্রহণ করিতে হইলে । কেবল শিশুশিক্ষার স্থার গ্রহণ করিলে চলিবে না । বৌদ্ধ ভিক্ষু দগের হ্যায় বিদ্যালয়গুলিকে কেন্দ করিয়া পল্লীবাসীদের ধৰ্ম্মবুদ্ধিকে জাগ্ৰত করিয়া BBBB BB BBBB BBDBBB BggBBB BBB BBB BBB হইবে । 爵 জগজনী অন্নপূর্ণ জগতের অন্তরালে থাকিস্থা মানব হইতে পশুপক্ষী তরুলতা পর্য্যস্ত সকলকেই সেবা দ্ব্যর প্রঃিনিয় এ পরিপুষ্ট করিয়া তুলিতেছেন । বৃষ্টি রূপে নিজকে দান করিয়া ধরিত্রীকে BBBS BBBBBBS S BBBBBB BB gDD SBBB BBB BB BB BBBB BBB BBB BBB BB LLSBB DYYB BBB BB S সেবার মহা প্রতকে বহন করিবার উপযুক্ত শক্তি তিনি আমাদের মধ্যে প্রেরণ করান। তাই হইলে আমরা নিজেরা মমুগা স্ব লাভ করিয়া জনসমাজকে ও মন্থণ স্ব ধ ন করিতে সক্ষম হই ল ৷ ( তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ) শ্ৰীক লীমোহন ঘোস । পাপের মার্জন৷— আমাদের প্রার্থন সকল সময়ে সত্য হয় না, গণেক সময় মুথের কথা হয়—কারণ চারিদিকে অসত্যের দ্বার। পরিবৃত হয়ে থাকি ব’লে আমাদের ব{ণীতে সত্যের তেজ পৌছায় না । কিন্তু ইতিহাসের মধ্যে, জীপনের মধ্যে এমন এক একটি দিন আসে, যখন সমস্ত মিথ্যা এক মুহূৰ্বে দগ্ধ হয়ে গিয়ে এমনি একটি অলোক জেগে ওঠে যার যে সাম্নে সত্যকে অস্বীকার করবার উপায় থাকে না । তখনই এই কথাটি বারবার জাগ্রত হয়—বিশ্বানি দেব সবিতদ্বরিতানি পরামর। হে দেব, হে পিতা, বিশ্বপাপ মর্জন কর। আমরা তার কাছে এ প্রার্থনা করতে পাৰ্বি না,-আমাদের পাপ ক্ষমা কর ; কারণ তিনি ক্ষম, করেন না, তিনি সহ করেন না। তার কাছে এই প্রার্থনাই সত্য প্রার্থন—তুমি মার্জন কর । যেখানে যত কিছু পাপ আছে, অকল্যাণ অাছে, বার স্বার রক্তস্রোতের দ্বারা অগ্নিবৃষ্টির দ্বারা সেখানে তিনি মার্জন করেন। ষে প্রার্থনা ক্ষমা btয় ধ্রুপ দুৰ্ব্বলের ভীরুর প্রার্থনা উীর স্বরে গিয়ে পৌছবে না। > y কষ্টিপাথুর b> আজ এই যে যুদ্ধের আগুন জ্বলেছে, এর ভিতরে সমস্ত মানুষের এই প্রার্থনাই কেঁদে উঠেছে—বিশ্বানি ছুরিতানি পরাসুৰ—বিশ্বপাপ মার্জন কর । আজি যে রক্তস্রোত প্রবাহিত হয়েছে, সে যেন ব্যর্থ না হয়—রক্তের বন্যায় যেন পুঞ্জীভূত, পাপ ভাসিয়ে নিয়ে যায়। মুখনি পৃথিবীর পাপ স্ত,পাকার হয়ে উঠে, তখনি তো ঙার মার্জনার দিন আসে। অfজ সশস্ত পুথিবী জুড়ে যে দহনযজ্ঞ হচ্ছে, তারি রুদ্র অtলোকে এই প্রার্থনা সত্য হোকৃ—বিখtনি_দ্বরিতালি পরামুৰ । আমাদের প্রত্যেকের জীবনের মধ্যে আজি ੇ প্রার্থনা সত্য হ’য়ে উঠুকু l so @ 龜 যে হানাহানি হচ্ছে, তার সমস্ত বেদন কোনূখানে গিয়ে লাগছে ? ভেলে দে প ক ত পিতামাত। তাদের একমাত্র ধনকে হারাচ্চে, কত স্বী স্বামীকে হারাষ্টে, কত ভাই ভাইকে হারাক্ষে । এই জন্যই তো পাণের আঘাত এত নিষ্ঠুর । কারণ সেখানে বেদন বোধ সব সেয়ে বেশি, ঘেণfনে প্লীfত সব চেয়ে গভীর, পাপের আঘাত সেইখানেই যে গিয়ে বীজে। যার সদয় কঠিন, সেতে। বেদন অনুভব করে না। কারণ সে যদি বেদন পেতে, তৰে পাপ এমন নিদারুণ হতেই পারত না। যার হৃদয় কোমল, মূরি প্রেম গম্ভীর, তাকেই সমস্ত বেদন। বইতে হবে। এইজন্য যুদ্ধক্ষেত্রে বীরের রক্তপাত কঠিন নয়, রাজনৈতিকদের দুশ্চিন্তা কঠিন নয়, কিন্তু ঘরের কোণে যে রমণী অশ্রুবিসর্জন করছে তারি অ1ঘীত সব চেয়ে কঠিন । সেইজন্য এক এক সময় মন এই কথা জিজ্ঞাস করে—যেখানে পাপ, সেখানে কেন শাস্তি হয় না ? সমস্ত বিশ্বে কেন পাপের বেদন কম্পিত হ’য়ে ওঠে ? কিন্তু এই কথা জেনে যে মানুষের মধ্যে কোনু বিচ্ছেদ নেই—সমস্ত মানুষ যে এক । সেইজন্য পিতার পাপ । পুত্রকে বহন করতে হধ, বন্ধুর পাপের জন্যৎবন্ধুকে প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়, প্রবলের উৎপীড়ন দুৰ্ব্বলকে সহ্য করতে হয় । মানুষের সমাজে এক জনের পাপের ফলভোগ সকলকেই ভাগ করে লিতে হয়, কারণ অতীতে ভবিষ্যতে দূরে দূরান্তে হৃদয়ে হৃদয়ে মানুষ যে পরপরে গাথা হয়ে আছে । মানুষের এই ঐক্যবোধের মধ্যে যে গৌরব অাছে তাকে ভুললে চলবে না। এইজন্তই আমাদের সকলকে দুঃখভোগ করবার জন্য প্রস্তুত হতে হষে । তা না হলে প্রায়শ্চিত্ত হয় না--সমস্ত মানুষের পাপের প্রায়শ্চিত্ত সকলকেই করতে হবে। যে হৃদয় প্রীতিতে কোমলী, দুঃখের আগুন তাকেই আগে দগ্ধ করবে। যার চিত্ততন্ত্রীতে আঘাত করিলে সবচেয়ে বেশি বাজে, পৃখিবীর সমস্ত বেদন তাকেই সবচেয়ে বেশি করে বীজ বে। তাই বলছি যে, সমস্ত মানুষের মুখদু:খকে এক ক’রে যে একটি পরম বেদন, পরম প্রেম আছেন, তিনি যদি শুষ্ঠ কথার কথা মাত্র হতেন তন্ত্রে বেদনায় এই গতি কখনই এমন বেগবান হতে পারত না । ধনী দরিদ্র, জ্ঞাণী অজ্ঞানী সকলকে নিক্সে সেই এক পরম প্রেম চির জাগ্রত আছেন ব’লেই একজায়গার বেদন সকল জায়গায় কেঁপে উঠছে । তাই একথা আঞ্জ বলবার কথা নয় যে, অন্তের কর্থের ফল আমি কেন ভোগ করব ? হুঁ, আমিই ভোগ করব, আমি নিজে একাকী ভোগ করব, এই কথা বলে প্রস্তুত হও । নিজের জীবনকে শুচি কর, তপস্ত কর, দুঃখকে গ্রন্থণ কর । তোমাকে যে নিজের পাপের সঙ্গে ভীষণ যুদ্ধ করতে হলে, নিজের রক্তপাত করতে হবে, দুঃথে দগ্ধ হয়ে হয়ত ময়তে হবে । কারণ তোমার নিজের জীবনকে যদি পরিপূর্ণরূপে উৎসর্গ ন কয়, তবে পৃথিবীর জীবনের ধারা নিৰ্ম্মল