পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] দুটি কারণ আছে :-(১) সেখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ বা, সেগুলির উপর অনেকের লোভ আছে, (২) এখন ইউরোপ-আমেরিক সব জায়গায় বার প্রমজীবী তার দাবি করে' বলেছে মানুষের বা প্রয়োজন সে-প্রয়োজনের গ্রন্থে তাদের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে, বেশি করে তাদের দিতে হবে,নচেৎ তারা strike করে। নানারকম উপসর্গ আছে। চীনে একটা শক্তি মানুষে যা বিশেষরূপে প্রকাশিত—যেমন তেল-কয়লা, তেমূনি শ্রমশক্তি বলে একটা শক্তি সেখানে বহুদিন থেকে সঞ্চিত রয়েছে, সেটা ধনীদের পক্ষে লোভনীয় জিনিষ। কি-রকম ? যেমন গুর্থ । গুর্থার ক্রমাগত মানুষ মারুবার যে-প্রবৃত্তি একান্তভাবে তার চর্চা করে মামুষঘাতকরূপে বিশেষত্ব লাভ করেছে, তার যা দুর্দশ তাও লাভ করেছে । তার এই শক্তি অন্তে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করছে, যেমন লেীহ বা ইস্পাত লোকে ব্যবহার করে –তৈরি করা মাল । ওরা আবার বড়াই করে, আমরা লড়াই করি, আমাদের ভরি গৌরব, বাঙালী কলম পিষে, ওদের চেয়ে বড়, আমরা মানুষ মারি । তার ফলে যেখানেসেখানে লড়াই হোক, তার বিচার নেই, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম নেই, কিছু নেই, গিয়ে কামান-বন্দুকের মত মানুষ মারতে আরম্ভ করে। যার মনুষ্যত্বকে বলি দিয়ে থৰ্ব্ব করে প্রতিহিংসাকে অতিমাত্রায় বিকশিত করে" তোলে, তা’র নিজেদের ক্ষতি করে” সৰ্ব্বনাশের স্বষ্টি করে, অন্তদের ব্যবহারের জন্ত লোভের সামগ্ৰী হয় :-মৌমাছিরা যেমন মধু সংগ্ৰহ করে, খায় না, ব্যবহার করে না, তার ফলে মানুষ মধু চুরি করে। যতটা প্রয়োজন তার চেয়ে বীর ঢের বেশি সঞ্চয় করে তার চোপ্লড়াকাতের প্রশ্রয় দেয়। তাই সবদেশ থেকে ক্যাপিটালিষ্ট এখানে এসে কলকারখানা করছে । নিজ দেশে যারা জায়গা পায় না, তা'রা সাংঘাই সোয়ানসি—নানা জায়গায় চীনের শ্রম-শক্তিকে ভোগ করছে। তার হয়ত পারিশ্রমিক দেয়, কিন্তু মনুষ্যত্বকে বিক্রী করে। চীনের সমাজ-তন্ত্র তাদের পল্লীতে-পল্লীতে ব্যাপ্ত, সে সমাজকে তারা ক্ষুণ্ণ করে। বিদেশীর পল্লী থেকে শিকড় তুলে’ চীনেদের সহরে এণে ভিন্ন-ভিন্ন জায়গায় কল-কারখানায় তাদের নিযুক্ত করে, মালয়দের কিন্তু তা পারেনি। আমি অবগু সবাইকে মালীদের মত অলস হতে বলছিনে ; তবে এর মধ্যেও একটা জিত আছে। মালয়বাসী আপনাদের পল্লীতে থাকে, মাছ ধরে খায়, অল্প জমি চাষ করে, অল্পে সন্তুষ্ট হয়। অল্পে সন্তুষ্ট জীবন-যাত্রায় দৈক্ষ আছে, তাকে বড় বলিনে। কিন্তু মালয় উপদ্বীপে বার রবারের চাষ করে? ধনী হয়েছে, তার মালয়ীদের ব্যবহারে লাগাতে পারেনি, মাম্রাজী কুলী এই কাজে তাদের মনুষ্যত্ব উৎসর্গ করেছে। এটা ভাববার কথা । আমি আমার চীনে বন্ধুদের সেকথা বলেছি । ভেবে দেখলাম—সমস্ত দেশবাসী সাধারণলোকদিগকে এত-পরিমাণে হাতে কাজ করবার জঞ্চ এমন একান্তভাবে গড়ে তুলবার চেষ্টা করা উচিত নয়। সেখান থেকে আমি হংকংএ গেলুম। রেজুন যেমন, হংকং তেমূলি, সেট তাদের নিজের জায়গা নয়। সেখানে ২১ দিন থাকৃতেই সান ইয়াৎ সেনের দূত এসে বললে, “আপনি দেশবিদেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন, চীনের ভিতর উপযুক্ত লোক যদি কেউ থাকে, বার সঙ্গে আলাপ করা উচিত সে সান ইয়াৎসেন, আপনি গিয়ে তাঁর সঙ্গে চীনের সমস্যা-সম্বন্ধে আলাপ করুন। আমার সময় ছিল না, পূর্বে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বদ্ধ, আমি অনেকদিন বিলম্ব করেছি, পিকিঙে আমার চীনে বন্ধুরা অপেক্ষা করছিলেন । আমি তাদের বল্লুম, কিন্তুবার পথে দেখা হবে। তার পর সাংবাই গিয়ে দেখি আমার বন্ধু ধারা ছিলেন, ডকে দাড়িয়ে আছেন। একজন বন্ধু যিনি আমার সঙ্গে-সঙ্গে থেকে ইংরেজী বক্তৃত চীন-ভাষায় অনুবাদ করবার ভার নিয়েছেন, তিনিও দ্বাড়িয়ে আছেন—সৌম্যমূৰ্ত্তি দীর্ঘকাল্প—চীনদেশে এটা অতি আশ্চৰ্য্য বিশেষত্ব। তার ই জার भीडौर्ष cनcष' यूक हणूम । छिनि दब्रांवब्र थांबांब नांशछर्ष करब' श्रब्रजी চীন ও জাপানে ভ্রমণবিবর T, - 领 *ఛ, • পালাল বক্স ও ঐকাiলদাস পাগ বক্তৃত ব্যাখ্যা করবার ভার নিয়েছিলেন। আমি চীন-দেশের লোকের কাছে কি-রকম অভ্যর্থনা পেয়েছি, কি না পেয়েছি, বলতে ইচ্ছা করিনে । আমার বন্ধু ধারা গিয়েছেন, তারা দে-কথা বলবেন। আমাকে তার পূৰ্ব্বে দেখেননি, আমার সম্বন্ধে শ্রদ্ধা ছিল, আমার দেশে হয়ত আমার কোন বিশেষত্ব আছে,অনেকে শ্রদ্ধা করে থাকেন,তাই কিছু কিছু মাননীয় বলে ঠিক করেছেন । কিন্তু আমি অতিথি—তাদের(চীনদের)দ্বারা আহত হয়েছি, একখাটি তারা কখনও ভোলেনি । এটা কত অস্তরের সঙ্গে তা’র স্বীকার করেছে, কি-রকম আশ্চৰ্য্য তাদের হৃদ্যতা ! সেটা খুব একটি মনোরম জিনিষ । আজ সেটির সঙ্গে তুলনা আমাকে করতে হচ্ছে। আমাকে আমেরিকার নিমন্ত্রণ করেছে,তার সন্মান করেলি বললে মিথ্যা কথা বলা হয়, কিন্তু আতিথ্যের হাদাত, মানুষ যে ডেকেছে আমাকে মানুষের ঘরে, এ আমি কখনও অনুভব করিনি। সেটি কখনও কোন ব্যক্তি-বিশেষের কাছে পাইনি বলিনে, যথেষ্ট পেয়েছি, কিন্তু সাধারণ-ভাবে, সকলের স্বীকার করা, ভারতবর্ষ থেকে জামাজের অতিথি এসেছে, আজকে বিশেষভাবে প্রস্তুত হতে হবে, এটা আমাদের ধর্ম-কৰ্ম্ম, এ চীনদেশে যেমন দেখেছি আর কোথাও তেমনটি দেখিনি। আমাদের প্রাচ্যধর্শ্বের অস্তরের প্রকাশমানুষের প্রতি মামুষের যে দ্বাবি মানব-ভাস্তুেত স্বীকার করা,যন্ত্রের ঐীন