পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা] কতখানি বলেছে, কতখানি বুঝেছে। এটা দেখে আমি বুঝতে পার্লুম বৌদ্ধধর্থের একেবারে স্বত্যু হয়নি। জাপানে এই যে একটি দৃপ্ত দেখলুম, হৃদয় পুলকিত হ’ল, জাপান আজ বার-বার বলছে—তুল করেছি, সত্যকে দেখতে পাইনি। बलएझ छांद्रठवष* शक् िन जांप्न, cकडै छैौन-बांगांनाक गठा पान कवृष्ठ পারবে না,তারাবার-বার ভুল করবে:মুদ্ধ হবে পশ্চিমের বিজ্ঞানে। তাই চীন বলছে, ভারতবধ ভূমি এস। আমাদের একটি চীনের বন্ধু, পরম পণ্ডিত, বক্তৃতায় বলেছেন—চীন তুমি ভুলেছ, ভারতবর্ষের সংস্পর্শ আমি তোমাকে আবীর মনে করিয়ে দিই, কেননা সেখান থেকে কবি এসেছেন, তাকে তোমরা চিলবে না, ভালো করে গ্রহণ করতে পারবে না, যদি স্মরণ করিয়ে না দিই, ভারতবর্ষ তোমাদের কি দিয়েছে। প্রাচীন শাস্ত্র থেকে নানা প্রমাণ-সহযোগে তিনি দেখিয়েছেন সাহিত্যে, কাবো, বিজ্ঞানে, ধৰ্ম্মে কত বিষয়ে ভারতবর্ষের কাছে চীনের ঋণী । শাস্ত্র থেকে স্মরণ কম্বিরে দিলেও মানুষ সাড়া দেয় না। श्रीखांब लब॥ किं श्ानि, बीभज्ञा शूलं-शृङ्गग्निब्र बश्ख ग्रङ्ग१ झब्रुव, মৈত্রী দিয়ে তাদের সে পূৰ্ব্বকথা স্মরণ করিয়ে দেবো। তাদের বলেছি, যে-ভারতবধ তোমরা জানো. সে আজ ইংরেজের কবলিত, সে-ভারতবর্ষ আর নেই তোমর যে-ভারতবধে গিয়েছ সে আর নেই। এ-কথা কি আমরা কেউ বলতে পাৱব ন যে আমরা সেই আইডিয়্যাল, ভারতবর্ষের লোক, ভূগোলের ভারতবর্ষের নয়। ভারতবষের লোক শিখের তা বলতে পাৰ্বলে না। আমরা কেউ কি তা পারব না ? সেভারতবধ মরেছে, একথা বলতে পারিনে,আমার বিশ্বাস—ওদেরও বিশ্বাস, সে-ভারতবর্ষ সজীব রয়েছে, সে আবার তার লুপ্ত সম্পদ ফিরে পাবে। তা’র বলেছে আমরা বাবে, তোমাদের মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করে তোমাদের ধৰ্ম্ম-সম্পদ আবার দাবি করব। মন্দিরের দরজা থেকে তাড়া খেয়ে অপমানিত হয়ে ফিরে আসতে হবে, এ-কথা এখনো তার জানে না। তারা আমাদেরকে মন্দিরের ভিতর নিয়ে অভ্যর্থন করেছে, বলেছে তোমাদের মন্দিরে জাময় যালো, গিয়ে দেখব তোমরা কি সঞ্চয় করে রেখেছ। তাদের অভ্যর্থন পেয়ে কুষ্ঠিত হয়েছি, মাখা ছেট করেছি, কি করে বল ব—ভারতবষের দেবতা যেখানে সেখানে বাইরের লোকের স্থান নেই । দেবতাকে অভ জাত বাচিয়ে চলতে হয়, তারা তা জানে না। এইসমস্ত ভাববার কথা। ভাবনার সময় কি হয়নি? আমি আপনাদের একান্তু মিনতি করে জিজ্ঞাসা করছি, আপনার কি মনে করেন । ভারতববের গৌরব চিরকাল এ-রকম প্রচ্ছন্ন হ'য়ে थीकृत्व ? वांभि दलि, नां-ब्राझेब्र अखिएठ चांभब्रl झूर्तिल इप्द्र थांकि, কি আমাদের দারিদ্র্য চিরন্তন হোক, কিন্তু যে-সম্পদ অন্তরের, বা নিজ প্রয়োজনের অতীত, যা সমস্ত দেশের যথার্থ ঐশ্বৰ্য্য, সব দেশে সব কালের সব জায়গায় বে-সম্প, তাই নিয়ে ভাৱতবৰ্ষ গৌরব করেছে। আর কি সেগৌরব ফিরে আসবে না, আর কি বলতে পারব না, তোমরা মন্দিরে ৰূতে পারবে, মৃত্যুর ভাও যেখানে অমৃতের ভাওও সেখানে আছে ? চীন ও জাপানে ভ্রমণবিবরণ Ye Y अकष वज बांब्र कि नमब्र श्छनि ? श्रांबब कि वजन बl, वांभांप्प्रब्र মাতার ভাওরে যে অল্প আছে, তা আমরা পরিবেষণ কৰূব-তোমরা এস, এস । [চলির বাইতে বাইতে ফিরিয়া আদিয়া (পুনশ্চ)}–একটা খবর দিতে ভুলে গিয়েছি। চীন দেশে এবার আমার জন্মদিন পড়েছে, সেখানে তারা আমার জন্মোৎসব করেছে,করে আমাকে নূতন নাম দিয়েছে, বলেছে, তুমি চীনে জন্মেছ, তোমার নূতন নাম-করণ হওয়া চাই। তার যে-নাম দিয়েছে তার উচ্চারণটা চৈনিক-রকমের . চৌচিংভাং। চে মানে প্রভাতের রবি, চিং মানে ইন্দ্র-বন্ত্র, তাং মানে স্বৰ্য্য। আমি এই নামের উপযুক্ত নই। যেদিন এই নাম দিয়েছে, সেদিন তারা বিশেষ উৎসব করেছে,শিশুকে যেমন নববস্ত্র পরায়, জামকেও সেরূপ করেছে, আমি সে-কাপড়ে নিজকে আচ্ছন্ন করে এসেছি, সেটা ভিতরে আছে ( অতঃপর রবীগ্রনাথ গাঢ় নীল রঙের অস্তুরাবরণ ও তাছার উপর হলদে রঙের জোব্বার পোষাক খুলিয়া উপস্থিত সকলকে দেখান )। চীন-শিশুরুপে আমাকে তারা এইটে দিয়েছে। ক্ষুদ্র শিশুরা যেমন পায়, তাই পেয়েছি। শিশুর খাদ্যপানীয়ও আমি পেয়েছিলুম। ওদের দেশে একটা জিনিষ আছে ভাৰ বার বিষয়। প্রাকৃতিক ব্যাপারের জিনিষে তার ধর্থনৈতিক ভাব আরোপ করে, যেমন বাশগাছকে তার শ্রদ্ধা করে, তার ঋজুতা, বিচিত্র কৰ্ম্মে প্রয়োজনীয়ত, এ-সকল বিশেষণ প্রাকৃতিক ব্যাপার হতে নিয়ে আধ্যাক্সিক ব্যাপারে আরোপ করে, তেমূলি কোন-কোন গাছে তারা বড় ধৰ্ম্ম আরোপ করে, তাকে ধর্মের প্রতীকরূপ মনে করে । ছেলেদের জন্মকালে বলে, এ-ছেলে পাইন-গাছের মত চিরজীবী হোক, পাইন-গাছের মত উৰ্দ্ধ আকাশে তার বশ:প্রভা বিস্তৃত হোক। তার ভিতর ধর্শ্ব-বুদ্ধি আরোপ করে তার প্রতীক তৈয়ার করেছে, সে-রকম ছবি তৈয়ার করেছে, আমাকেও দিয়েছে । আমি চিরজীবী হব, ভালো হব, দেশে আমার প্রতিষ্ঠা হবে, এই ইচ্ছা खांशन कब्रुवांद्र खtछ कठ नृठा, औठ, दांश यांनम-छै९नव करब्रझिल, তাতে মেয়েরাও এসেছিলেন। এমুনি করে চীনে আমার নামকরণ হয়েছিল। আমার বলবার কথা এই যে, দৈবক্রমে একটা নামকরণ হয়েছে, তার অর্থ স্বৰ্য্য। সূর্ব্যের প্রতিদিন নবজন্ম হয় যখন এক প্রভাত শেষ হ’য়ে বায় আর-এক প্রভাতে সুর্য্যদেব জন্ম গ্রহণ করে । আমিও যেন সে-রকম ভিতরে-ভিতরে দেশে-বিদেশে নবভাবে জন্ম লাভ করতে পারি। সমস্ত পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে যদি নব-নব জীবন লাভ করতে পারি, তা হলে আমার নূতন নাম সার্থক হবে, জীবন ধস্ত হবে।*

  • পূর্ব-এসিয়া হইতে প্রত্যাবর্তনের পর ইউনিভাসিটি ইনষ্টিটিউট হলে বিগত এই শ্রাবণ তারিখে প্রযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের বক্তৃত। যুক্ত ইত্ৰকুমার চৌধুরীর অনুলেখনের সংশোধিত সংস্করণ ।