পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Şeb” প্রবাসী-কাৰ্ত্তিক ১ වLE [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড দুই সখীর বিশ্রভালাপের মধ্যে অনাবশুক বস্তু হ’য়ে দাড়িয়েছি! আচ্ছ। আপাততঃ আমি চললাম ; কিন্তু যাবার আগে একবার এই ঘরের ভিতরটা গিয়ে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে । বাইরে থেকে খানিকটা দেখে-দেখে বাকিটা দেখবার জন্যে আগ্রহ ক্রমশঃ বেড়ে উঠেছে!” বলিয়া বিমান জুতা খুলিতে উদ্যত হইল। কিন্তু মাধবীর তরফ হইতে বিশেষ-কিছু আহবান বা আগ্রহ না পাইয়া জুতা খোলা বন্ধ রাখিয়া সে জিজ্ঞাসা করিল, “কোনও আপত্তি আছে নাকি ?” শাস্ত স্মিতমুখে মাধবী বলিল, “একটু আছে। খন্দর ছাড়া অন্ত কাপড় পরে’ এ-ঘরে ঢোকৃবার বিধি নেই। কিন্তু তার উপায় ত রয়েছে। দাদার একখানা ধোয়া কাপড় আপনাকে দেব ?” জুতা পরিতে-পরিতে হাস্তমুখে বিমান বলিল, “ন, তা কাজ নেই ; তা'তেও প্রকৃত পক্ষে তোমাদের বিধি লঙ্ঘিত হবে। রাজার পোষাক পরলেই লোকে রাজা হয় না! আচ্ছা, আমি খানিকক্ষণ পরে আসব।” বলিয়া বিমানবিহারী প্রস্থান করিল। * ( ক্রমশ: ) বাংলার ক্ষয়িষ্ণু জেলাসমূহ– বীরভূম ১৯২১ সালের মানুষগুনতি অনুসারে বাংলাদেশের যে-সকল জেলার জন-সংখ্যা ক্রমশঃ কমিয়া যাইতেছে বলিয়া প্রতিপন্ন হইয়াছে, তাহার মধ্যে বীরভূম দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। বাংলার ক্ষয়িষ্ণুতম জেলা বাকুড়ায়, ১৯১১ হইতে ১৯২১ এই দশ বৎসরে, হাজারকরা ১০৪ জন লোকু কমিয়াছে। সেই দশ বৎসরে বীরভূম জেলায় হাজার-করা ৯৪ জন লোক কমিয়াছে । স্বতরাং বীরভূমের অবস্থা বঁকুড়ার মত অতীব শোচনীয় না হইলেও ইহাও যে দ্রুতবেগে ধ্বংসের পথে অগ্রসর হইতেছে, তাহা আমাদিগকে হৃদয়ঙ্গম করিতে হইবে এবং ইহার অবনতির প্রকৃত কারণসমূহ নিৰ্দ্ধারণ করিয়া উন্নতির উপায় অবলম্বন করিতে হুইবে । আয়তনে ও জন-সংখ্যায় বীরভূম বাংলার অনেক জেলা হইতে ক্ষুদ্র । ইহার আয়তন ১৭৫৩ বর্গমাইল মাত্র । ১৮৭২ সাল হইতে আরম্ভ করিয়া যে কয়বার মানুষ-গুনতি হইয়াছে, তাহাতে এই জেলার জন-সংখ্যা নিম্নলিখিতমতে নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে— ગ ૧૨–ન્દ૭૨૭ Sటాs ok צס • אפר Ֆbծ ֆ "siァaの8 S సెa ) ==సె లా ఇ ఇbురి S) పె) :) --SVరి(tēse(t >お、ソーーセ8° @ ° o ইহা হইতে প্রতীয়মান হয় যে, ১৮৭২ হইতে ১৮৮১ সালের মধ্যে জেলার জন-সংখ্যা কিছু কমিয়াছিল। তাহার পর হইতে ১৯১১ সাল পৰ্য্যন্ত জন-সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়িয়া চলিতেছিল। পরবর্তী দশ বৎসরে ৮৮০৯৫ জন লোক কমিয়া গিয়াছে ৷ প্রাকৃতিক গঠনে ও অন্তান্ত অনেক বিষয়ে বাকুড়া জেলার সহিত বীরভূমের খুব বেশী সাদৃশু আছে। বীরভূমের পশ্চিম সীমানার অনতিদূরেই সাওতাল পরগণার পর্বত-শ্রেণী অবস্থিত। ইহার পূর্ব সীমানা হইতে ভাগীরথী নদীর ব্যবধান সাধারণতঃ ১০ হইতে ১৫ মাইল মাত্র। পর্বতশ্রেণী ও ভাগীরথীর মধ্যবর্তী এই ভূমিভাগ। সাধারণতঃ বন্ধুর ও অসমতল। উচ্চ ভূমির অনেক অংশে খৰ্ব্বকায় শাল-গাছের জঙ্গল দেখা যায়। নিম্ন ভূমিসকল কৃষি-কার্ধ্যের উপযোগী ; তাহার মধ্যদেশ দিয়া ময়ূরাক্ষী, হিজলা ও বক্রেশ্বর প্রভৃতি ছোট-ছোট নদীগুলি