পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ যে, এখানকার বসতি আতিশয় বিরল এবং কতক জমি প্রস্তরময় ও জঙ্গলাকীর্ণ হইলেও সাধারণতঃ কৃষকদের প্রয়োজন-মত চাষের জমি আছে ৷ ‘ বৃষ্টিপাত এখানে কম, কিন্তু তাহ যে গত ১০০ বৎসরের মধ্যে কমিয়া গিয়াছে, তাহার প্রমাণ পাওয়া ধায় না । গ্রামে-গ্রামে জল-সেচনের ষে-লকল বাধ ও পুকুর বর্তমান আছে, তাহা হইতে ইহাই অহমান হয়, যে, সে কালের কৃষকগণ বৃষ্টিপাভের অভাব সম্যকৃউপলদ্ধি করিয়া তাহার প্রতিবিধানের ব্যবস্থা করিয়াছিলেন । এইসকল বাধ ও পুকুর হইতে অনেক গ্রামে প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩১ ২৪শ ভাগ, ২য় - حصہ مہیہ یہسہس۔--- পানীয় ও নিত্য ব্যবহার্ষ্য জল পাওয়া যাইত। নানা কারণে এইসকল বাধ, পুকুর মজিয়া গিয়াছে ; স্বতরাং মাঠের ধান মরিয়া যায় ; আখ, গম, আলু ইত্যাদি মূল্যবান ফসল চাষ করা সম্ভবপর নয় এবং প্রখর গ্রীষ্মের দিনে পানীয় জলের অভাবে দেশে হাহাকার উঠে । এই জেলার দুরবস্থা অপনয়নের জন্য কি করা উচিত ও বর্তমানে কি করা হইতেছে, বারাস্তরে তাহ আলোচনা করিবার ইচ্ছা আছে । रुग्गैं কাশ্মীরে শিবমন্দির

भगिाग्न বনোয়ার সাইন কর্তৃক গৃহীত আলোকচিত্ৰ হইতে ]

কাশ্মীরের বিচারপতি কাশ্মীরের নিকট শঙ্কর-পৰ্ব্বত নামে একটি পাহাড় আছে । শ্র ঐ শঙ্করাচার্য্যের নামানুসারে উহার নামকরণ হয়। বহুকাল হইতেই পৰ্ব্বতের উপর একটি শিবমন্দির স্থাপিত রহিয়াছে। এই মন্দিরটি যে-অংশে স্থাপিত সে-স্থানটির প্রাকৃতিক দৃপ্ত অতীব মনোহর । গত বৎসর মহীশূরের মহারাজ-বাহাদুর এই মন্দিরটি পরিদর্শন করিতে আসেন। মহীশূরের মহারাজা একজন শৈব । তিনি ভক্তির নিদশনস্বরূপ এই মন্দিরটি আলোকমালায় ভূষিত করেন। মন্দিরের চুড়ার উপরকার আলোকটি পাহাড়ের পাদদেশ হইতে দেখা যায়। দেখিলে মনে হয় যে এই আলোকটি আলোকমঞ্চের মতো দণ্ডায়মান থাকিয়া সেই মুখময় উপত্যকাটিকে আলোকিত করিতেছে। মহীশূরের মহারাজার অভিপ্রায় অনুসারে কাশ্মীর-নৃপতির সম্মানার্থে এই সৰ্ব্বোচ্চ চুড়াস্থ আলোকটির নাম প্রতাপ হীরা রাখা হইয়াছে। এই মন্দিরটি কাশ্মীরের একটি দর্শনীয় স্থান । ঐীপ্রভাত সান্তাল