পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] এই বর্গমাইল দেখিয়া সমুদ্রের বিশালতার, গভীরতার এবং আদিঅন্তহীনতার কোন ধারণাই আমরা করিতে পারি না। হিমালয় পাহাড় যে দেখিয়াছে, সেই জানে কি বিরাট উচ্চ সেই দুখ । বাহারা আবার পৃথিবীর সৰ্ব্বোচ্চ পৰ্ব্বত-শৃঙ্গ গৌরীশৃঙ্গ দেখিয়াছে, তাহারা জানে সেই দৃপ্তও কি চমৎকার। কিন্তু এই গৌরীশৃঙ্গকেও সমূত্রের জলের তলায় ডুবাইয়া রাখা যায়। সমুদ্রের গভীরতা গড়পড়তা ২ মাইল। তবে সমুদ্রের প্রায় অৰ্দ্ধেক অংশ ২ হইতে ৪ মাইল গভীর। সমুদের মধ্যে মধ্যে অতি গষ্ঠীর স্থান আছে, ইহাদের ংরেজিতে dop' বলে। এই এক-একটি উীপ-এর গভীরতা ৫ মাইলেরও বেশী এবং এক-একটি উীপ এ এক একটি গৌরীশৃঙ্গকে নিমজ্জিত করিয়া রাখা যায়। এমন কেহ যদি থাকে, যে সে সমস্ত জমিকে উঠাইয়া সমুদ্রের জলে ফেলিয় দেয়, তাহা হইলে দেখা যাইবে যে সমুদ্রের কোন-প্রকার পরিবর্তন হয় নাই। তাহার বিরাট গর্ভ ষে কিছু দিয়া পূর্ণ হুইয়াছে, তাহার কোন চিহ্ন বা প্রমাণ পাওয়া বাইবে না। পৃথিবীর সমস্ত মাটি সমূদ্রের তলার ফেলির দিলেও সমুদ্র ২ মাইল গভীর থাকিবে ।

  • Cra corty (llippocampus ) u oral দাঁড়াইল্পী লম্বীভাবে সাতার দেয়

সাবমেরিন বা অন্ত কোন-প্রকার যন্ত্র সমুদ্রের তলায় যাইতে পারে না. সেখানের জলের চাপে সমস্তই গুড় হইল্প যাইবে । কিন্তু মানুষ ওশেনোগ্রাফি বিদ্যার সাহায্যে সমুদ্র-সম্বন্ধে প্রায় সকল তথাই সংগ্ৰহ করিতে পারিয়াছে। যাহ। কিছু বাকি আছে তাহাও অতি সত্বর কুইবে বলিয়া আশী হইতেছে। সমুদ্রের তলায় কৃত্রিম উপায়ে নীনা-প্রকার শব্দ-সঙ্কেত দ্বারা মামুব ঝিতে পারিয়াছে, সমুজের অনেক অংশই সমতল । সমুদ্রের তলায়, যুগগ ধরিয়া মৃত জন্তুদের হাড়-গোড়ের একটি গভীর পলি পড়িয়া আছে । হৈ ছাড়া নানা-প্রকার ধাতু, পাথর, পৃথিবীর মাটি ইত্যাদি আরো Fত রকমের জিনিৰ যে সমুদ্রের তলায় আছে তাহ বলা যায় না। সমুদ্রের তলায় যে সমস্ত ডীপ বা অতি গভীর ফাটল আছে তাহ rমশ চালু নয়, হঠাৎ খাড় গভীর, কুপের মতন। এই সমস্ত গভীর tান ভূমিকম্পের ফলেই হইয়াছে। সমুদ্রের তলতে অনেক পাহাড়মতও আছে। পাহাড় বেশী উচু হইলে তাহা জলের উপর মাখা লিলে মানুষের কাছে জগ-ময়ে শিক্ষ= -- • পঞ্চশস্য-অগম্য-স্থানের কথা ))(t সমুদ্রের জলের রং প্রায় ক্ষেত্রেই পরিষ্কার স্বচ্ছ-নীল। বিজ্ঞানে ইহার কোন বিশেষ কারণ দিতে পারে না । বোধ হয় নীল জাকাশের ছায়া পড়িয়া জলকেও এই-প্রকার দেখায়। আকাশের রং নীল হুইবার কারণ কি ? সমুদ্রের যেখানে জল কম, সেখানের রং সবুজछल वड १डौन्न ब्र६७ लष्ठ नौठा झग्न । पञtनक नभग्न ८मथ यांग्न छल পরিষ্কার হইলে তাহা নীল বর্ণের হয় । খুব পরিষ্কার পুকুরের জল এবং গভীর সমুদ্রের জল তুলনা করিয়৷ একই রংএর, ইহা দেখা গিয়াছে। কিন্তু সমুদ্রের মাত্র ৫•• ফ্যাদমূ অর্থাৎ ৩•••ফুট নীচ পৰ্য্যস্ত নীল রং পাওয়৷ যায়। তাঁহার নীচে সুৰ্য্যের আলো প্রবেশ করিতে পারে না। এই স্থান হইতেই অন্ধকার আরম্ভ। সামুদ্রিক গাছপালাও এইখান হইতে আর নাই। কারণ গাছপালা সুর্য্যের আলো ব্যতিরেকে বাচিতে পারে না । গম্ভীর জলে অক্টোপাস যমের মত তাহার শিকারের ঘাড়ে গিয়া পড়ে জলের ৫• ফ্যাদম্ব নীচে জলের তাপ-পরিমাণ বহুরে মাত্র একবার কমবেশী হয় । ১• • ফ্যাদম্ব নীচে তাপের কোন পরিবর্তন হয় না। e • • ফ্যাদম নীচে সমুদ্রের জলের তাপ ৪- ডিগ্রীর নীচে। সমুদ্রের একেবারে তলের জলের তাপ নোনা-জল জমিবার কিছু উপরেঅর্থাৎ ৩২ । (নোনা জল ২৮ ডিগ্রীতে জমে । ) সমুদ্রের সমস্ত স্থানের জলই লবণাক্ত। কোথাও বেশী, কোথাও কম। সুর্য্যের তাপ জলে যেখানে বেশী পড়ে, সেই সব স্থানে লবণ বেশী—অদ্যাপ্ত স্থানে অপেক্ষাকৃত কম। এই কারণে লোহিত-সমুদ্রের ( Rail sea ) জল অতিশয় লবণাক্ত। সমুদের প্রতি ১ • • • পাউণ্ড ভালে ৩৫ পাউণ্ড করিয়। লবণ আছে। এই হিসাবে সমস্ত সমুদ্রে এত লবণ আছে ষে তাহীর দ্বারা আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রকে এই লবণের দেড় মাইল তলার পুতিয়া রাখা যায়। সমুদ্রের জলে এত প্রকারের লবণ নাই, আমরা যে মুন খাই, তাহা ছাড়াও আরো বহু-প্রকারের লবণ আছে। পৃথিবীতে যত সোন খনি হইতে পাওয়া গিয়াছে, সমুদ্রের জলে তাহ অপেক্ষা অনেক বেশী সোনা আছে। প্রতি ১টন জলে ১ গ্রেন কপ্রিয় সেনা আছে ৷ রূপাও সমুদ্রের জলে অনেক-পরিমাণে আছে, তবে রূপীর পরিমাণ সোনা অপেক্ষা অনেক কম। সমুদ্রের গর্ভকে রাজ-ভাণ্ডার বলিলেও চলে। কত-রকমের মণিমাণিক্য হীরা-জহুরৎ যে এখানে আছে তাঁহা বলা যায় না । পৃথিবীতে যে ৯২টি মূল ধাতুর অস্তিত্ব জানা গিয়াছে, তাহার ৩২টি সমুদ্রের জলে পাওয়া গিয়াছে। বৈজ্ঞানিকের বন্সে যে অস্তান্ত ধাতু