পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৬ ভাগই পুথিবীর মাটির ভাগ হইতে জলের স্রোতের সঙ্গে সমুদ্রে গিয়া পড়ে । একমাত্র আমেরিক হইতেই বছরে প্রায় ৫ • • • • •,• • • টন লবণ সমুদ্রে নদী বাহিয়া গিয়া পড়ে। সমুত্রের জল স্থির হইয়া নাই। সমুদ্রের মধ্যে-মধ্যে বিভিন্ন স্রোত ड्रेष्ठानि ब्रश्ब्रिांtझ् ।। ७कüि cटषांठ जछ cटषांष्ठद्र मात्र भि* न थाईब्र হয়ত পাশাপাশি বিভিন্নমুথে চলিয়াছে। Gult stream-কে একটি সামুদ্রিক নদী বলা যায় । এই নদীর জল নীল, কিন্তু যেসমস্ত জলের মধ্যে দিয়া এই স্রোত বহিয়া চলিয়াছে, তাহীদের রং বেশীর ভাগ স্থানেই সবুজ-ধরণের। দুইটি জলের তফাৎ, দেখিলেই স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়। ডুবুরিরা সমুদ্রের ২•• ফুট নীচে পৰ্য্যন্ত নামিতে পারে—জলের বিষম চাপের জন্ত আর বেশী নীচে পারে না । পুকুর কিম্বা হ্রদের জলের ২• ফুট নীচে নামিলেই জলের চাপ বেশ বুঝিতে পারা যায়। বৈজ্ঞানিকের বলেন যে সমুদ্রের তলায় প্রতি ১ ইঞ্চিতে ২ টন অর্থাৎ প্রায় ৫৬ মণ করিয়া চাপ পড়ে। সমুদ্রের অতি গভীর স্থানগুলিতে এই তাঁপের পরিমাণ ইঞ্চি প্রতি ৫টমেরও বেশী হয়। সমুদ্রের তলায় অক্টোপাস্ গভীর চিন্তায় মগ্ন কয়েকটি পরীক্ষার দ্বার সমুদ্রের তলায় বিষম চাপের পরিমাণ বুঝা স্বায় । একটি বোতলের মুখে বেশ শক্ত করিয়া ছিপি আঁটির যদি তাহার তলায় ভারী কিছু বাধিয়া সমুদ্রের তলায় দড়ি দিয়া নামানে যায়, তবে কিছুক্ষণ পরে তাহ উঠাইয়া দেখা যাইবে যে ছিপিটি বোতলের মধ্যে ঢুকিয়া গিয়াছে এবং বোতলটি জলে পূর্ণ হইয়া গিয়াছে। বায়ুশূন্ত কোন ফাপা জিনিধকে এই-প্রকারে সমূত্রের তলার নামাইলে তাহ চুর্ণ অবস্থার ফিরিয়া আসিবে। সমুদ্রের অনেক প্রাণীকে দেখিতে গাছপালার মত । ইহাদের দেহের অঙ্গ-বিশেষকে গাছপালার শিকড়ের মত বলিয়া মনে হয়। মাকড়সার মত একপ্রকার প্রকাও জীব দেখা যায়, তাহীদের কেবল চোখমুখওয়াল জন্তু বলিরা মনে হয় । এইসমস্ত জস্তুরা একে অস্তকে খাইর জীবন-ধারণ করে, কারণ সমুদ্রের উপর হইতে তাহারা বিশেষ প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড কোন খাদ্য পায় না। এইসমস্ত জস্তুর ইচ্ছামত তাহদের শরীর বৃদ্ধি করিতে পারে । এক-একটি জন্তু তাঁহাদের নিজের সমান আকারের জন্তুকে গিলিয়া খায়, এই কথা ভাবিলেই অবাক্ হইতে হয়। সমুত্রের গভীর জলে যে-সব জস্তু বাস করে, তাহীদের অন্ধ বলিয়া বোধ হয় | তাহারা অনুভব করিয়া তাহীদের খাদ্য শিকার করে বা ধরে । পৃথিবীর জন্মের সময় সমুদ্র ছিল না। তখন অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন গ্যাস মুক্ত গরম অবস্থায় আলাদা আলাদা ছিল । তার পর পৃথিবী ক্রমশ: ঠাগু হইবার সঙ্গে-সঙ্গে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন মিলিয়৷ জল উৎপন্ন হইল এবং পৃথিবীর সমস্ত নীচু জমি, খাল বিল ইত্যাদি জলে পূর্ণ হইয়। উঠিল। সমুদ্র পৃথিবীকে মানুষের বাসের যোগ্য কপ্লিয়ছে। সমুদ্র পৃথিবীর তাপ-সমতা রক্ষা করে। সমস্ত নদনদীর শেষ এবং আরম্ভ সমুদ্র । নদ-নদী না থাকিলে পৃথিবীতে চাষবাস কোন-প্রকার হইতে পারিত না। সমুদ্র সম্বন্ধে বলিবার সবই বাকি থাকিল, এই মাএ আরম্ভ । বারাস্তরে আরো বলিশার ইচ্ছা রহিল। পুরাকালের কথা— মেক্সিকে সহরের কাছে এক স্থানে কয়েকটি বহু পুরাকালের পাথর আবিষ্কার হইয়াছে। এই পাথরের উপর অনেক-কিছু লেখা আছে । এই খোদাই বোধ হয় মঙ্গোলীয় সভ্যতার সময়ের অর্থাৎ আজ হইতে ৭• • • বছরেরও পূর্বে। গত জুলাই মাসে মাটির মধ্যে প্রায় ২৫ ফুট নীচে এই প্রস্তরলিপি এক গাদ আগ্নেয়-গিরির ছাইএর মধ্যে পাওয়া যায়। ইহাদের আবিষ্কৰ্ত্ত অধ্যাপক উইলিয়মূ ণিভেন এবং ডাঃ জে, এইচ, কপিল । বহু পুরাকালে পৰ্ব্বতের এক উপত্যকায় এইসমস্ত প্রস্তরলিপি একের উপর আর একটি স্তরে-স্তরে সজ্জিত ছিল। সেই উপত্যকায় বহু লোকের বাস ছিল, এবং তাহদের একটি নিজস্ব সভ্যতা ছিল । তার পর একদিন পাহাড় হইতে অগ্ন্যৎপাত হইতে অtখ্রস্ত হইল এবং সেই আগুনের ছাই, গলিত ধাতু ইত্যাদি উপত্যকার লোকজন এবং সমস্ত সভ্যতাকে সমাধি দান করিল । কথtগুলি হঠাৎ শুনিলে বিশ্বাস হয় না, কিন্তু প্রকৃত ঘটল ঠিক এইরূপই হইয়াছিল। এক-একটি পাথরের টুকর এক-একখানি বই। পুস্তকগুলির মাপ এক-রকম নহে এবং সবগুলির লেখা এক-ধাচার হইলেও এক রকম নহে। কতকগুলি লিপি দেখিলে মনে হয় কঁচা হাতের লেখা, কঙগুলিকে পাকা হাতের লেখা বলিয়া মনে হয় । সমস্ত লিপিগুলি সমসাময়িক নয় বলিয়া মনে হয়। প্রস্তরলিপির উপরে বিশেষ-বিশেষ চিহ্ন আছে, এই চিহ্নসকল দেখিয়া প্রস্তরলিপিগুলির বয়স ঠিক করা যায়। এক-একটি বিশেষ চিহ্ন বা নির্দেশ এক-একটি বিশেষ সময়ের। অনেক পরীক্ষা এবং চেষ্টার ফলে এইসকল আবিষ্কার হইয়াছে। প্রস্তরলিপিগুলির উপর–চন্দ্র, আগুন, পৃথিবী-মাতা, জল, বিদ্যুৎ, সূর্ষোর তেজ, আগ্নেয়গিরি, দেবতা, সন্ধ্যা এবং প্রাতঃকাল, নানা-রকম তারা এবং দেব-দেবীর সাঙ্কেতিক চিহ্ন ইত্যাদি অাছে। প্রত্যহ এই সহর হইতে নতুন-নতুন পুস্তক আবিষ্কার হইতেছে। এই পুস্তকালয়ে প্রাপ্ত পুস্তকে কতকগুলি বিশেষ-বিশেষ সাঙ্কেতিক চিহ্নের পরিচয়— এক-প্রকার বিশেষ ফুল, অগ্নি বুঝায়। অৰ্দ্ধবৃত্ত, উদীয়মান বা অস্তমান স্বৰ্য্য বুঝায়।