পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছোট ও বড় শ্ৰী যোগেশচন্দ্র রায়, এম্-এ, বিদ্যানিধি অনেক দিন হ’ল, একবার দার্জিলিং হতে আসছিলাম। দিনের বেল, ঘণ্টা চারির পথ, গাড়ীও খালি । একথান থার্ড ক্লাসের টিকিট নিয়ে গাড়ীর আগের কামরায় আগের বেঞ্চিতে বসলাম। একটু পরে এক বাঙ্গালী ভদ্রলোক,—মলিনবর্ণ, আধ বয়সী, দোহার, আড় ময়লা পেনটুল-চাপকান পর,—এক হাতে খাবার ঠোঙ্গা আর হাতে পানের পুটলী নিয়ে পান চিবাতে চিবাতে, একামরা সে-কামরা দেপ্যে, কি জানি কেন, সেই কামরায় উঠলেন । আমি দরজার কাছে বসেছিলাম, তিনি খাবার ঠোঙ্গা ও পানের পুটলীটি বেঞ্চিতে রেখে আমার পাশে বসলেন, আর পান চিবাতে লাগলেন । দেখতে না দেখতে এক দল গোরায় ষ্টেসন ভর্যে গেল। সকলের হাতে এক এক বন্দুক, গায়ে এক এক রীশ বোচ কা । গাড়ীর কামরার দরজা খুল্যে হ ড় মুড় কর্যে তার উঠতে লাগল। আমাদের কামরায় প্রথমে উঠল এক মেম, છાત્ર কোলে তিন-চীর মাসের এক ছেলে, তার পর এক গোরা, আবার একু গোরা। তাদেরও সঙ্গে তেমনই বোচক, তেমনই বন্দুক ; কতক বেঞ্চিতে, কতক মেজেতে ধুপ ধাপ করে ফেল্যে আমাদের সামনের বেঞ্চিতে বসল। তাদিকে ঢুকতে দেখেই আমার সহযাত্রী বন্ধ এক হাতে থাবার ঠোঙ্গা আর হাতে পানের পুটলীটি নিয়ে দাড়িয়ে উঠেছিলেন । ক্ষণেকের তরে তার নেত্র শ্রুকুটি-কুটিল, মুখ আবজিত হ’ল, যেন যুদ্ধং দেহি বলবেন। "বেটার দেখছি বিপদ ঘটালে।” পরক্ষণেই কিন্তু মুখমণ্ডল প্রশান্ত হল। গোরা দুজনের দিকে চেয়ে তিনি বললেন, Y (ա cortạiąų ši ai fegÐ REGI FT ! You go first class, we go third class, Wolfo TF at: . We go third class, you go first elass. cww CA একটু চঞ্চল হয়ে উঠলেন । যেন কে কাকে বলছে, গোরাদ্বয় conquerors go with us conquered : বুঝতে পীরূলে না । This my food, this my betel, you touch, 1 starve. È stāIJ SIĘtaiff att একে হাত দেখাতে, তারা মুখ চাওয়া-চায়ি কর্যে মেমকে কি ইসারা ক’বৃলে । তার পর দুজনেই তেমনই হুড় মুড় কর্যে কামরা হ’তে নেমে পাশের কামরায় ভিড় ঠেল্যে গিয়ে ব’সল, মেমসাহেব সে-পাশ থেকে সরে’ এসে আমার সামনে বসলেন । রেলের ঘণ্টা বাজল, গাড়ীও ছেড়ে দিলে । বন্ধুবর হাফ ছেড়্যে স্বস্থানে বসলেন, খাবার ঠোঙ্গা ও পানের পুটীও পূৰ্ব্বস্থানে রাখলেন । চকিতের মধ্যে এত বড় একটা কাও হয়ে গেল ! আমার বিস্ময় দেখ্যে তিনি নীতি বুঝিয়ে দিলেন। “বেটাদের সঙ্গে জোর করলে হ’ত কি ?” বাস্তবিক, তোমরা সবল আমরা দুর্বল, তোমরা বড় আমরা ছোট,--এই স্বীকার, কাজে ও ভাবে দেখতে পেলে, বর্বর ও নিষ্ঠুরও অভয় দান করে। কারণ, ক্ষমা না কর্যে শক্তির সার্থকত হয় না। অন্য দিকে, যা প্রাপ্য বল্যে মনে করি, তা পেতে নিজকে ছোট স্বীকার করতে কখনও স্বখ হয় না । যখন এই দেশ ইংরেজের হাতের মুঠার মধ্যে এল, যখন ইংরেজ বুঝলেন নিজের শক্তি ও সামর্থ্য, তখন তাহ বাইরেও প্রকাশ করতে ব্যগ্ৰ হ’লেন। কারণ প্রভু হ’য়ে এদেশকে অন্ধকারে ও দুৰ্দ্দশায় রাখলে প্রভূত্বেই সন্দেহ হয় । এই-হেতু নিজের তৃপ্তির আশায় তাদের উন্নতির ইতিহাস, বিপুল সাহিত্য, আইন-কানুন, ধৰ্ম্ম ও বিজ্ঞান প্রভৃতি যা কিছু তাদের গর্বের বস্তু, যা কিছু প্রিয়, সব এনে এদেশের সামনে ধরলেন। এই যে উপহার, ইহা কুট রাজনীতি কিংবা কুট বাণিজ্য-নীতি নয় । “আমরা বড়” এই অভিমান তৃপ্ত করবার অন্য উপায় ছিল না। কিন্তু ভারতী প্রজাও বুঝলে, এটা প্রেমের উপহার নয়, সমানে সমানে বিনিময়ও নয়। দান স্বীকার করলে