পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y8 [ সৰ্ব্বপ্রকার অনবধানত, এবং সতর্কতার ব্যভিচারই “ছিদ্র” বুঝিতে হুইবে । সাধারণতঃ যে-কোনরূপ অপারগতার নামই "দুর্বলতা” । ] ১৮ । দ্রুত চালনায় আঘাতের পর আঘাতের প্রয়োগ দ্বারা প্রতিপক্ষকে প্রমাদ গ্রস্ত করিতে পরিলেই তাহার “ছিদ্র” ও “দুৰ্ব্বলতা” প্রকট হুইয়া পড়ে। ১৯ । কৌশলক্রমে প্রতিপক্ষের দক্ষিণ ও বাম হস্তকে তাহার দক্ষিণ ও বাম পাশ্বে অপসারিত করাইয়া হস্ত আক্রমণ পূর্বক অভ্যন্তরের দিকে অগ্রসর হইতে পারিলেই আশু শ্রেষ্ঠ ফল পাওয়া যায় । ২• । প্রতিপক্ষের আক্রমণে অস্থির হওয়ার উপক্রম হইলেই চক্ষু আক্রমণ দ্বারা তাহীকে বিহবল করিতে হয়। শ্রেষ্ঠ কৌশলীগণ সাধারণতঃ “যুযুৎস্থর” প্রয়োগেই নিষ্কৃতি পাইয়া থাকেন। গ্রীবা, মস্তক, হৃদয়, বস্তি ও মৰ্ম্মস্থল-সকল লক্ষ্য করিয়াই প্রধানতঃ আঘাভের চেষ্ট দেখিতে হয় । ঐসমস্ত স্থলে নিশ্চিতরূপে গুরু আধাত করিতে পারিলেই প্রতিপক্ষ সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থত হইবে। ૨૨ | RX প্রতিপক্ষের আঘাত অতিক্রম করিয়া কোনও মৰ্ম্মস্থলে তাছাকে নিশ্চিত গুরু আধাত করিতে পাঞ্চিলেই সাধারণতঃ নিঃশঙ্ক হওয়া ধায় । বিশুদ্ধক-সম্পন্ন আক্ৰমণই আত্মরক্ষার প্রপাম উপায় । প্রতি পক্ষ আক্রমণের অবসর না পাইলে আর *া কোথায় ? ২৩ ৷ কদাচ পশ্চাৎপদ হইভে নাই ; প্রতিপক্ষ পশ্চাৎপদ হওয়ার উপক্ৰম করিলেই শরীর মুরক্ষিত রাখিয়া আক্রমণ সহযোগে তীব্ৰগতিতে তাহার উপর ঝাপাইয়া পড়িতে ইয়ু । ২৪ । দীর্ঘাকুতি ব্যক্তির সঙ্গে থৰ্ব্বীকৃতি ব্যক্তির প্রতিযোগিতা হইলে সময়ে-সময়ে খৰ্ব্বাকুতি ব্যক্তিকে এক লম্ফে শূন্তে উঠিয়া “অভিযান-স্থিতির” ভঙ্গী যথাসম্ভব স্থির বাখিয়া, এবং প্রতিপক্ষের হস্তদ্বয়কে প্রতিহত করিতে স্থির লক্ষ্য রাখিয়া, তীব্রগতিতে তাহার অতি সন্নিকটে ঝ পাইয়া পড়িতে হয় । ২৫ । প্রতিপক্ষ লম্ফ-সহযোগে আক্রমণের উপক্রম প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড করিলে, “বেতসী” গতি অবলম্বনে, কিম্বা লম্ফ-সহযোt দক্ষিণ কিম্বা বাম পার্শ্বে সরিয়া পৃষ্ঠ আক্রমণের চে দেখিতে হয় । ২৬ । চক্ষু আক্রান্ত হইলেই প্রতিকারের সঙ্গে স৷ “অবনমন”-সহযোগে তীব্ৰগতিতে আক্রমণসহ প্রব বেগে ধাবিত হওয়ার চেষ্টা দেখিতে হয়। ২৭। “ছুরী ও বাক” সম্পর্কে শ্রেষ্ঠ উৎকর্ষ লা হেতু বিভিন্ন প্রকারের “বেতসী” গতি ও বিভিন্ন-প্রকারে “অঙ্গামোটন” (ডিগৃবাজী ) অভ্যাস করিতে হয়। ২৮। পৃষ্ঠ আক্রান্ত হওয়ার উপক্রম হইলেই অf ক্ষিপ্রকারিভা-সহ “অবনমন”-সহযোগে, কিম্বা বসি পড়িতে-পড়িতে দক্ষিণাবৰ্ত্তে ( অথবা বামাবৰ্বে ) সম্পু ঘুরিয়া আসিয়া তীব্রবেগে আক্রমণ-সহ প্রতিপক্ষের সম্মুখী হইতে হয়। ( সাধারণতঃ যে-হস্তে ছুরী কিম্বা বাক ধু থাকে, সেই দিকের আবর্তনেই ঘুরিতে হয় । ) বিশেষ দ্রষ্টব্য ৪— প্রকৃত সংঘর্ষকালে পূৰ্ব্বোল্লিখিত নিয়মপ্রণালী । সতর্ক তা গুলির বিচার করিবার অবসর পাওয়৷ অসম্ভব কিন্তু শিক্ষাভ্যাস কালে এইসমস্ত সতর্কত প্রভৃতি আয়ত করিয়া রাখিতে পারিলেই, প্রকৃত সংঘর্যকালে আপন হইতেই পূৰ্ব্ব-শিক্ষা, অভ্যাস ও সংস্কারের সমষ্টীভূত প্রভা প্রতি ভাত গুইয়া কাৰ্য্যসিদ্ধি-সম্বন্ধে সাহায্য করিয়া থাকে তবে জয়লাভ অপেক্ষাকৃত শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরই আয়ত্তাধীন। অভিবাদন ( নিৰ্ঘাত ক্রীড়াকালে ) নির্ঘাত ক্রীড়াকালে “ধাত” পৰ্য্যায়ের অনুরূপে পরস্পরে ক্রমান্বয়ে “বাহেরা”, “তামেচা”, “কটা” ও “ভাণ্ডারের” প্রয়োগ ও প্রতিকার করিয়া বামে ও দক্ষিণে নিজ-নিজ বাক দুই-দুই বার শূন্যে হেলাইয়-দোলাইয়া ঈষৎ পশ্চাতে যাইয়া দুই হস্ত মিলিত করিয়া পরস্পর অভিবাদন করিয়া ক্রীড়ারম্ভ করিবার প্রথা প্রচলিত রহিয়াছে ; ক্রীড়া শেষ হইলেও ঐরূপে অভিবাদন সম্পন্ন করিয়া ক্ষান্ত হইতে হইবে । অভিবাদন-প্রয়োজন, “লাঠিখেলা ও অসিশিক্ষা”-মধ্যে সমাকু বর্ণিত হইয়াছে। ( ক্রমশ: )