পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] কালর ছায়া গায়ে লেগেছে। কালর সঙ্গে মিশবে না, তাকে ছোবে না, তার ছায়াও মাড়াবে না । একথা কাকেও বলতে হ’ত না, শেখাতে হ’ত না । গ্রামের ভিতরে কাল ভূতদের ( black niggers ) বাসের স্থান ছিল না। তারা থাকৃত বাইরে । এতে গোরা স্বর্থী, কালারাও স্বর্ণী । কালারাও সব এক জাতি, এক রয় ছিল না, তারা গোরা নয়, আর্য্য নয়, এই পৰ্য্যস্ত । কিন্ত তারাও জাতিবিচার কর্যে চলত। তাদের বিচার আরও কড়া । কাজেই তারাও এক পাড়ায় একত্র থাকৃতে পাবৃত না। তারা যদি পরস্পর মিলতে পারত, তা ইশলে আর্য্যদিকে দেশ ছেড়্যে পালাতে ইশত । কিস্ত সকল কালা সমান নয় । কেউবা একটু মাঙ্গুষের মতন, কেউবা আর্য্যদিকে একটু মানতে লাগল । আয্যেরাও বঁচিলেন, যত ইচ্ছা তত দাস ও দাসী পেতে লাগলেন। পূৰ্ব্বে তাদের মধ্যে ভতর্ণ ও ভৃত্য ছিল ; এখন দাস ও দাসী কিনতে পাওয়া গেল । এরা বাড়ীতে থাকৃতে লাগল, ছোয়া-ছুরির ভয়ও ক’ম্তে লাগল। তা ছাড়া, সবাই কিছু জিতেন্দ্রিয় ছিলেন না । দাসীর সন্তান জন্মিতে লাগল। রাক্ষস-বিবাহ, পিশাচ-বিবাহ নামে বিবাহও স্বীকার করতে হ’ল । ক্রমে অনেক অনার্য্য কাল, আর্য্য আচার-ব্যবহার শিখ্যে র্তাদের সমাজের এক কোণে ব’সতে আসন পেলে । পেলে বটে, কিন্তু, শূদ্র নামে ক্ষুদ্রত্বের ছোটত্বের দাগ রয়ে গেল। কিন্তু, বড় লোকের ‘দাস বল্যে র্তাদের নিকট “ক্ষুদ্র’ বল্যে পরিচয়ের সেী ভাগ্যও সকল কালার ঘাঁটুল না। তারা ‘হীন জাতি, আর্য্য পরিবারের বাইরে । দেশের গণেই হ’ক আর কালের গণেই হ’ক, হিন্দুর নিকট বৈষম্য প্রত্যক্ষ। সেই আদ্যকাল হ’তে স্বষ্টিবৈষম্য হিন্দুকে অভিভূত করেছে। র্তার দেখেছিলেন, বৈষম্যেই স্থষ্টি ও স্থিতি, সাম্যে লয় বা সং-হা-র । এই ভাব কত ছন্দে কত প্রকারে যে প্রকাশ কর্যে গেছেন, তার ইয়ত্তা নাই । অতএব সকলেরই স্থান আছে, স্ব স্ব আসন দেখ্যে বসতে পারলেই হ’ল। যখন প্রথমে বসোছিল, তখন বর্ণভাগও হয়ে গেছল। তখন জাতিনাম ছিল না, ছিল চারিবর্ণ। গায়ের রং দেখ্যে আদিকালে ছোট ও বড় ు"(t


. ---------------------------

বিভাগ হয়েছিল, পরে নানা কারণে রং দেখ্যে গুণ ও কৰ্ম্ম বিচার কঠিন হয়ে উঠল। ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়ের মধ্যে কে বড় কে ছোট, সে পরীক্ষা বহুবার হয়ে গেল। শেষে মিলন হ’ল—ক্ষত্রিয় রাজা হলেন, ব্রাহ্মণ হলেন মন্ত্রী। তখন বৈশ্যকে ও অর্থাৎ প্রজাকেও তা মানতে হ’ল, শূদ্রের ত কথাই নাই । ফলে চারিবর্ণের স্মৃতি এক হয়ে গেল, ঋষিদের গোত্রে মনের গোর, চ’বৃতে লাগল। কিন্তু একের স্মৃতি অন্তের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে গোজামিল দিতে হয়। আচার-ব্যবহারের হিসাবের পাতায় মাঝে মাঝে ধরা পড়ে, কৈফিয়ং দিতে পারা যায় না । যারা সে-স্মৃতির মধ্যে আসে, তারা জানেও না, গোজা-মিল আছে। পূর্বের রয়িক স্থতি ঘুচ বার নয়। বর্ণ স্থতি ও জাতি-স্থতিও বলবান। আমরা বলি, সংস্কার। জন্মজন্মান্তরের সংস্কার রক্তমাংসে জড়িয়ে যায়, বংশক্রমে পুত্রপৌত্রাদিতে সঞ্চারিত হয়। পরস্পর বিবাদ না হ’লে রয় বা বর্ণ বা জাতির ধৰ্ম্ম বা সংস্কারের মিলন হয় না । কিন্তু স্মৃতিও এমনই যে, পরস্পর মিলতে চায় না, পরস্পর বিবাহে বাধা দেয়। পরস্পর একত্র ভোজনে ৪ সেই কারণে আপত্তি। যখন বর ও কন্যা এক পাত্রে আহার করে তখন তারা এক হয়ে যায়, কন্যার গোত্রাস্তর হয়। তার পূৰ্ব্বে হয় না। ফলে স্বাভাবিক কারণে মিলনের দুই পথই রদ্ধ হ’ল । কিন্তু গরজের তুল্য বালাই নাই। ক্ষুংপিপাসা মানুষের নিত্যসঙ্গী। জানা-শোনা লোকের রাননা থেতে ভয় থাকল না। বিশেষতঃ, বড়’র হাতের অন্ন খেতে কোনও সন্দেহ থাকৃতে পারে না । সেটা বড়’র প্র-সা-দ ; তার ‘সু’ অন্নপথে ঈীনের দেহে চল্যে আসে । একত্র থাকৃতে থাকতে সোহার্দ্য জন্মে। উচ্চবর্ণের পুর ষের পক্ষে নিম্নবর্ণের কন্যার পাণিগ্রহণ শাস্ত্র-সম্মত হ’ল, ব্রাহ্মণের শূদ্র স্ত্রী তত ছয্যা হলেন না। ইহার বিপরীত শাস্ত্রে রইল না বটে, কিন্তু ব্যবহারে ঘাঁটুতে লাগল। তেমনই, আচার-ভ্রষ্ট দ্বিজও শূদ্র মধ্যে গণ্য হ’ত । কেন ‘বড় পুরুষ ছোট কন্যা বিবাহ ক’বুলে দোষ হয় না, কেনই বা ছোট পুরুষ 'বড়' কন্যা বিবাহ ক’বৃলে সমাজে হাহাকার

  • i?リ - ড়ে,—