পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ নানা কারণে বঙ্গদেশে এই প্রভেদ তত স্পষ্ট নয়, অস্পৃশ্যতার অপবাদও তত প্রকট নয়। কিন্তু দক্ষিণাপথে পঞ্চমবর্ণ কাল, অধিকাংশ ব্রাহ্মণ গোরা। ক্লষ্ণবর্ণ, আকুষ্ণ বা আগৌরব্রাহ্মণ আছেন সত্য, কিন্তু কৃষ্ণবর্ণ মিস্-মিস্যে কাল মহেন । সবর্ণের দূরে থাকৃতে চান, পঞ্চমের সংসর্গে আসতে চান না । এটা কু-সংস্কার ব’ল্তে পারেন, কিন্তু এই কু-সংস্কার কোথায় নাই ? আভিজাত্যের, কৌলীন্যের বড়াই না থাকা আশ্চর্য্যের বিষয় হবে। লোকে মনে করে, সবর্ণের অবর্ণকে ঘৃণা করে । কিন্তু ঘৃণা মুখ্য নয়, অবজ্ঞাও নয় ; ভয় মুখ্য, ঘৃণা ভয়ের আনুষঙ্গিক ফল । ব্রাহ্মণ বলেন, অবর্ণের শৌচাচারহীন ; এই কারণে তিনি দূরে থাকৃতে চান। আসল কথা, হীন জাতি ফু-এর প্রতিমূৰ্ত্তি, এই সংস্কারে বিসম্বান জন্মোছে । অবর্ণকে তিনি ভয় করেন, পাছে তার কু তার দেহে সংক্রামিত হয়। দৈবাৎ যদি স্পর্শ ঘটে, আর তিনি জানতে পারেন, তা হ’লে দুশ্চিন্তা আসে —র্তার কিংবা র্তার প্রিয় জনের ঘোর অনিষ্ট হবে। স্নান করো, প্রায়শ্চিত্ত কর্যে আক্রাস্ত ‘কু’ তাড়াতে চেষ্টা করেন। এই ভয় অবর্ণও বাড়িয়ে দিয়েছে । সেও সবর্ণকে ভয় করে, মনে করে সবর্ণের স্পর্শে তার অনিষ্ট হবে । তার সাধ্য কি, ব্রাহ্মণকে স্পর্শ করবে, দেবালয়ে ঢুক্যে পড়বে। যে-পথে সবর্ণেরা ধাতায়াত করেন, সে-পথ অবর্ণও ত্যাগ করে, এবং যদি সে-পথে যেতে হয়, তখন বলতে বলতে যায়, পঞ্চম ঘাচছে । একথা বুঝতে হবে, যাকে ভয় করি, তাকে ঘৃণা করি, এইজন্য সে যেন আমাকেও স্থণা করে, আমার কাছে না আসে। কারণ উভয়ে দূরে দূরে থাকলে উভয়েরই মঙ্গল । অবর্ণের পক্ষে ঘৃণা তত স্পষ্ট নয়, স্পষ্ট ভয় । সে ভয়ও তর্জন ও গর্জনের। “ঐ বুঝি কাপড়খানা কুকুরে চুয়ে গেল” বিপথগামী কুকুরটা যদি আমার কাপড়কে ঘৃণা কবুত তাহলে আমায় তর্জন করতে হত না। ভাইকোমে মন্দির-পথ নিয়ে অবর্ণ ও সবর্ণে যে বিবাদ চলছে, তার মূল ভাসা-ভাসা নয়,দুই রয়ে বিরোধ,কালতে গোরাতে বিরোধ। অবিশ্বাসী ইংরেজ রাজা এই বিরোধ মানছেন না, কারণ সেট প্রজায় প্রজায় । ইংরেজী-শিক্ষিত ভারতীও দেখা প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড দেখি মানতে পারছেন না, কারণ তা হ’লে রাজার সহিত বিরোধও মানতে হয়। তাই সবর্ণের পরাজয়, অবর্ণের জয় হ’চছে। কিন্তু এই জয় যে প্রহার দ্বারা ভূত-ভাগান, তা ভুললে চলবে না। যেহেতু সবৰ্ণ জাতি লোকের আত্ম-হত্য দেখতে পারে না, দেখলে তার মনে কষ্ট হয়, ভাবি অনিষ্ট আশঙ্ক্ষা করে, অতএব তার পথে তার দুয়ারে হত্যা দিয়ে পড়–এর তুল্য নিষ্ঠর প্রহার আর নাই । এখানে কি ‘সত্য আছে, যার জন্ত আত্মহত্য পণ ক’বৃতে হবে, তা আমার ক্ষীণ বুদ্ধিতে আসছে না * ধরণা দিয়ে প’ল্ডলে হ’তে পারে ফললাভ, কিন্তু, সেটা হিংসা । “আমি তোমারই মতন মানুষ”—এটা, এই ভাব আমার কাছে সত্য বটে ; কিন্তু, তোমাকে উৎপীডিত কর্যে আমার এই সত্য-প্রচার অহিংসা নয়, হিংসা । এই কারণে মহাত্মা গন্ধী যেখানে সেখানে সত্য|গ্রহ অনুমোদন করেন না । ভাইকোমের সবর্ণ জাতির কারণ্য নাই, তা ত নয় ! কিন্তু, অনিষ্ট-পাতের আশঙ্কা প্রবল হয়ে কারণ্যকে বুদ্ধ করেছে। আর এক আশঙ্কাও আছে । আীজ মন্দিরের পথ ছেড়্যে দিলে কীল অবর্ণ মন্দিরে প্রবেশ করতে চাইবে । সে যে আরও বিপদ; দেবতা অবর্ণম্পর্শে দেবত্ব ছাড়বেন ! ছাড়লে, সবর্ণ কাকে আশ্রয় কর্যে বাচবেন ? নিৰ্ব্বোধ বলে, “হে ব্রাহ্মণ, তোমার ব্রহ্মতেজে আমার কু-কে ভস্ম ক’বৃতে। পাৰ্বছ না ? তোমার দেবতাও আমার কু-কে ভয় করেন ? তা হ’লে দেখছি, তোমা অপেক্ষ, তোমার দেবতা অপেক্ষ আমার শক্তি অধিক ।” লোকে নিজের ছিদ্র দেখতে পায় না, তাই এ ভাবে তর্ক ‘কবৃতে পারে । সম্প্রতি আমেরিকায় নিগ্রোদের সম্মিলন হ’চছে। তাতে খৃষ্টান নিগ্রো ব’লছে, তাদের ঈশ্বর কৃষ্ণবর্ণ। শ্বেতজাতির শ্বেতবর্ণ ঈশ্বরের উপাসনা করাতে তাদের অধঃপতন হয়েছে। কেহ কেহ বলে ভাইকোমের মন্দির-পথে মুসলমান ও খ্ৰীষ্টান যেতে পারে, সবর্ণের আপত্তি করেন না, কিস্ত অবর্ণ গেলেই তারা বাধা দেন,—এটা ভণ্ডামি, দুষ্টামি રફ আর কি ? আমি ঠিক খবর জানি না, किलू देश नडा মানতে পারি। কারণ বাঙ্গালা দেশেই ইহার অম্বরূপ