পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ]


س ع--------------حہ ----- ہے.عبہ--سہی ہے۔۔۔--سی۔

দিকে সমাজ-নীতির আক্রমণ, অন্যদিকে অর্থনীতির যোগ হওয়াতে বিরোধ ক্রমশঃ হুযে গিয়ে দাড়াচছে। শ্রমবাদী বলছেন, “নিজের কাজ নিজে কর, নিজের জমি নিজে চাষ কর, ভূত্যের অপেক্ষা ক’ৰ্বছ কেন ?" জন সাম্যবাদী ব’লছেন, “উচ্চায়ন চাচছে, দাও না ; নিম্নে কেনই বা চিরকাল থাকবে ?" ধনসাম্যবাদী বলছেন, “তুমি পায়ের উপর পা দিয়ে বস্যে থাকবে, আর যারা খাটুছে, তারা রোদে তেত্যে জলে ভিজ্যে তোমার আহার যোগাবে ?” এইরুপ, সকলে সাম্যের উপদেশ ঝাড়ছেন, কারণ র্তাদিকে সে উপদেশ পালতে হচছে না। পশ্চিমদেশে সেখানে একত্র আহারে, পরস্পর বিবাহে বাধা নাই, সেখানেই এই সাম্যবাদে কি <িসম্বাদ ঘট্যেছে, তা দে?্যেও এদেশে যেখানে মিলনের দুই পথই রদ্ধ, সেখানে এই বাদ চালাতে গেলে বিপ্লব নয়, কারণ পুলিশ ও ফৌজদারী কাছারী আছে, স্বরাজ্যের স্বগের স্বপ্ন আর দেখতে হবে না। সমাজের গতি, স্বর্থনীতির গতি সমান নয়, ঋজু নয়। উত্থান ও পতন, পতন ও উখান, এইরূপ বক, । যার নীতিজ্ঞ, তারা দেখেন, কিসে উদগমন ও অবনমন ঋজু না হ'য়ে জলের তরঙ্গের ন্যায় বতুল হয়। "ছোট যে "ছোট ছিল, কিংবা ভূমিহীন ছিল, সে কি 'বড়'র দুষ্টামিতে ? 'ছোট’র ইচ্ছা ছিল 'ছোট থাকৃতে, 'বড়'র ইচ্ছা ছিল 'বড়'হ'তে । “ছোট’র সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি নাই,--এইটা সাধারণ লক্ষণ । তাদের প্রবৃত্তি ক্ষয়ের । যে কামিক এখন যত বেতন পাচছে, লে তত ব্যয় ক’বৃছে ; ফলে উপার্জন অধিক হ’লেও স্থিতি হ’চছে না। কারও হ’চছে না, এমন নয়। যাদের হচছে, তার 'বড়' আছে, 'বড়' হবে। কিন্তু, বজ’নের হচছে, ক'জনের হচছে না, যার চোখ আছে সে দেথছে। 'বড়'র দুষ্টামি নাই, এমন নয়। বরং আপাত-দৃষ্টিতে দুষ্টামিই চোখে পড়ে। কিন্ত সমষ্টি দেখলে বুঝি, 'বড়'র অমুকুলতা নাই, এই পৰ্য্যন্ত । তথাপি সাম্যবাদী দোষ দিয়ে ব’লছেন, বড় ছোটকে জ্ঞানের আলো দেখান নাই কেন ? কিন্তু কথাটা ঠিক সেই-রকম, যখন আমরা ইংরেজ রাজাকে বলি তোমরা যুদ্ধকৌশল শেখাও নাই কেন ? ইহার উত্তরও সোজ, তোমরা শিখতে চাও নাই কেন ? ছোট ও বড় 9) যারা ছোট ছিল, তারা জ্ঞানের আলো চায় नाझे । কিন্তু, এখন ত চা'চছে। তেমনই এপন কোন ‘বড়’ সে আলো তাদের কাছে নিভিয়ে দিচছেন । বড় প্রতিকুল নন, কারণ তিনি বোঝেন ছোটকে বড় কর্যে তুলতে পাবুলে তিনিও বড় হবেন । এটা বুদ্ধির কম। ইহাও বুঝছেন, যেমন চলছিল, তেমন আর চলবে ন, হাত বাড়িয়ে ধরতে হবে । কিন্ত ভয় এসে বিরোধ ক’বৃছে, বলে, কর কি ? ভয়, মনের আদিম ভাব নয়, এটা শেপ - পার্জিত একত্র বস-বাসে, লোকের দৃষ্টাস্তে, লাভের লেভে, যুচ্যতে পারে। ছেলেবেল হ’তে জুজুর ভয় দেখাতে দেখাতে জুজু শেষে মূর্তিমান হ’য়ে দাড়ায়। প্রথম হতে এই কু-শিক্ষা ছাড়তে হবে। বিপদ এই, চিরকালের অন্তনিহিত সংস্কার সহজে ঘোচে না। ব্রাহ্মণ, শূত্রের সঙ্গে এক আসনে বসতে পারছেন না, কি জানি অশুচি হন । তেমনই উপায়ও দেখিয়ে দিচছেন, শৌচাচারী হতে হবে । মুখের বিষয়, দুই-চারি জাতি ছাড়া সকলের আচার ভাল। যেখানে নয়, সেখানে শৌচজ্ঞানের অভাব মনে হতে পারে, কিন্তু একটু চিন্তা করলে বুঝি, সেটা প্রায়ই অর্থের অভাবে। একথাও ঠিক, অনেকেরই শৌচ-জ্ঞান ভাসা-ভাস, আচারের উদ্দেশ্য অজ্ঞাত ৷ একথা অধিকাংশ ব্রাহ্মণ সম্বন্ধেও থাটে । তথাপি ব্রাহ্মণের যে সংস্কার হয়ে গেছে, তাকে দূর করা সোজা নয়। আচারে শুচি বটে, কিন্তু জাতিতে শুচি নয়, পূর্ব পুরুষে নয়। শাস্ত্রে একথা লেখা আছে। কিন্তু যেটা লেখা নাই, জানা নাই, সেটাই বিষম বাধা । এই সন্দেহ তাড়াতে হ’লে ব্রাহ্মণকে বলবান করতে হবে। উদবুদ্ধ ব’ল্পতে হবে, তিনি ও অপর মানুষ কি বস্তু, তা’ তিনি ভূল্যে গেছেন, জড় মাংসপিণ্ডকে ভয় ক’বৃছেন। লোকব্যবহারে মাংসপিণ্ডের ভাল-মন্দ অবশ্য আছে, কিন্তু সে পিও যখন শুচি তখন কোন অপবিত্র স্থানের কোন অপবিত্র দ্রব্যের কতগুলা অণু দেহে সঞ্চিত হয়েছে, সে গণনা কেন করবেন ? তিনি কালের গতি রোধ করতে পারবেন না, নিজকে বিচ্ছিন্ন কর্যে রেখ্যে শান্তিও পাবেন