পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

刪 臧, 劃 - " - মহাত্মা গান্ধীর উপবাস হিন্দুমুসলমানের বিরোধের অবসান কি করিয়া হইতে পারে, তাহার চেষ্টা মহাত্মা গান্ধী অনেক দিন হইতে করিয়া আসিতেছেন ; অল্পাধিক-পরিমাণে অন্য অনেকেও করিতেছেন। তাহার নিজের এবং অপর সকলের চেষ্টা সত্ত্বেও, বিবাদের নিবৃত্তি না হইয়া, সম্প্রতি নানা স্থানে বিরোধজনিত নানা ভীষণ ঘটনা ঘটায়, মহাত্মা গান্ধী নিরুপায় হইয়া একুশ দিন উপবাস করিতে প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন । ইতিমধ্যেই তাহার অনেক দিন ত হইয়াছে । তাহার নিজের ধৰ্ম্মবিশ্বাস-অনুসারে তিনি প্রায়শ্চিত্ত ও প্রার্থনারূপে এই ব্রত গ্রহণ করিয়াছেন । যখন সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে ঝগড়া ও রক্তারক্তি হয়, তখন কেবল যাহারা মারামারি ও লুটপাট করে, তাহারাই যে দোষী, তাহা নহে ; সমস্ত জাতির মধ্যে যে-কেহ অঙ্গ সম্প্রদায়ের লোকদের প্রতি বিদ্বেষের ভাব পোষণ করে, সে-ই আংশিকভাবে বিবাদের জন্য দায়ী। স্থতরাং হিন্দুমুসলমানের জঙ্ক বাস্তবিক উভয় সম্প্রদায়ের অগণিত লোক দায়ী । মহাত্মা গান্ধীর নিজের মনে কোন সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ আছে বা ছিল বলিয়া কেহ মনে করিতে পারে না । কিন্তু জগতের অনেক সাধুপুরুষের জীবনে দেখা যায়, যে, তাহারা আপনাদিগকে অধমতম পাপী বলিয়া অনুভব ও বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন । তাহার কারণ, তাহদের সাধুতার আদর্শ অতি উচ্চ বলিয়া তাহার যে-সব স্থলে আপনাদিগকে অপরাধী মনে করিয়াছেন অল্পের সেই অবস্থায় তাহা করিত না। এইসকল সাধুদের দৃষ্টান্ত হইতে আমরা অনুমান করিতে পারি, যে, মহাত্মা গান্ধীর সম্ভবতঃ এই বিশ্বাস হইয়াছে, যে-হিন্দুমুসলমান সম্প্রদায় R, , , w ("州ü দ্বয়ের বর্তমান মনোমালিন্ত দূর করিয়া সম্ভাব স্থাপন করিবার জন্ত তাহার যাহা করা উচিত ছিল, তাহা তিনি করিতে সমর্থ হন নাই, কিম্বা তাহার নিজের মনের ভাব যেরূপ হওয়া উচিত ছিল, উহা সেরূপ নহে । অথচ তিনি আর যে কি করিতে পারেন, সম্ভবতঃ তাহাও স্থির করিতে পারেন নাই । এইজন্য তিনি নিজেকে শাস্তি দিয়া নিজের ক্রটির জন্য প্রায়শ্চিত্ত করিতে প্রবৃত্ত হইয়া থাকিবেন, এবং নিতান্ত অসহায়ভাবে ঈশ্বরের চরণে আত্মসমপণ করিয়া থাকিবেন । সকল সম্প্রদায়ের সমষ্টীভূত ভারতীয় জাতির প্রতি কৰ্ত্তব্যের ও সপ্তাবের আদর্শ মহাত্মার ঘেরূপ, আমাদের অন্ত-সকলের আদর্শ তাহার কতকটা কাছাকাছি হইলেও ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িক বিরোধ যে অনেকটা কম হুইত, তাহাতে সন্দেহ নাই । গান্ধী-মহাশয় রলিয়াছেন, তিনি আত্মনিগ্রহ দ্বারা যে প্রায়শ্চিত্ত করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, তাহার সংবাদ সর্বসাধারণকে জানাইবার কোন প্রয়োজন ছিল না ; কিন্তু সৰ্ব্বসাধারণের নিকট প্রার্থনাক্কপে তাহার উপবাসের সংবাদ জানাইতেছেন । ইহার অর্থ আমরা এইরূপ বুঝিয়াছি, যে, উপবাস-দ্বারা সকলকে তিনি নিজের মনের এই ব্যাকুলত৷ জানাইতেছেন, যে, যাহাতে সাম্প্রদায়িক অসম্ভাব, মনোমালিন্ত ও বিরোধ জন্মে, সকলে যেন সেরূপ চি৫ বাক্য ও কাৰ্য্য হইতে বিরত থাকেন ; তাহা হইলে তিনি উপবাসযন্ত্রণার মধ্যেও শান্তি ও বল পাইবেন । আশা করি তাহার হৃদয়ের এই ব্যাকুল ক্ৰন্দন অরণ্যে রোদন হইবে न1 ।। সকল মানুষের ধৰ্ম্মবিশ্বাস ও কর্তব্য-পালনের রীতি এক নহে । স্বতরাং মহাত্মা যে উপবাসত্রত গ্রহণ করিয়াছেন, সকলে তাহার অঙ্গুমোদন না করিতে পারেন । কিন্তু এ