পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ98 প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড বিষয়টির আলোচনা করিবার উপযুক্ত সময় ইহা নহে। বিশেষতঃ আমাদের কখনও কোনপ্রকার কৰ্ত্তব্যের প্রেরণাতেই প্রাণপণ করিবার শক্তি নাই, তাই আমরা মহাত্মাঙ্গীর এই প্রাণহানির আশঙ্কাপূর্ণ ব্রত গ্রহণের সমালোচনা হইতে স্বভাবতই বিরত থাকিলাম । সাম্প্রদায়িক সদ্ভাব-স্থাপনের উপায়-চিন্তা গান্ধী মহোদয়ের উপবাসব্রত-গ্রহণে ভারতবর্ষের নেতৃবর্গ চিন্তাকুল হইয়াছেন । ভগবান না করুন, যদি র্তাহার উপবাস সাংঘাতিক হয়, তাহা হইলে তাহাই আবার সাম্প্রদায়িক বিরোধের একটা গুরুতর কারণ হইতে পারে ; ইহণ এ উদ্বেগের অন্যতম কারণ । তবে সকলে সমবেত হইয়া যদি সাম্প্রদায়িক স্থায়ী সদ্ভাব স্থাপনের উপায় নিৰ্দ্ধারণ করিতে পারেন, তাহা হইলে তাহা মহাত্মাজীকে খাদ্য দ্রব্য অপেক্ষাও অধিক শাস্তি ও বল দিবে, তাহতে সন্দেহ নাই । এইজন্য ভারতবর্ষের সকল প্রদেশ হইতে ভিন্ন-ভিন্ন ধৰ্ম্ম-সম্প্রদায়ের ভারতীয় ও বৈদেশিক অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিকে দিল্লী গিয়া একটি মন্ত্রণ সভায় যোগদান করিতে আহবান করা হইয়াছে। অনেকেই উপস্থিত হইয়াছেন । তাহাদের মন্ত্রণা সফল হউক, মানব-হিতৈষীমাত্রেই এই কামনা করিবেন। র্যাহারা মন্ত্রণাষ্ট্রভায় আহত ও উপস্থিত হইয়াছেন, তাহাদের সকলের নাম ও পরিচয় অবগত নহি । কিন্তু মোটের উপর এই অনুমান করা বোধ হয় ভুল হইবে না, যে, ইহানের কাহারও কথন সাক্ষাং- বা পরোক্ষভাবে কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামার সহিত কোন সম্পর্ক ত ছিল-ই না, বরং অধিকন্তু ইহারা অনেকেই সাম্প্রদায়িক বিরোধ না হয় এই ইচ্ছা ( এবং কেহ কেহ এই চেষ্টাও ) করিয়া আসিতেছেন। স্বতরাং ইহাদের নিজের মনের ভাবের আমূল পরিবর্তনের প্রয়োজন না থাকাই সম্ভব। 兹 একান্ত প্রয়োজন আছে তাহাদের মনের গতির ও হৃদয়ের ভাবের পরিবর্তনের, যাহারা দাঙ্গা-হাঙ্গামায় প্রবৃত্ত হয় বা পশ্চাতে থাকিয় তাহা ঘটায়। এই মানুষগুলির উপর ভারতবর্ষের বিজ্ঞ, বিবেচক ও মানবপ্রেমিক লোকদের প্রভাব বর্তমানে বিশেষ কিছু আছে বলিয়া মনে श्घ्र न्1 । किरू cनई थङांद छद्माद्दे८ड इट्रे८द । श्डब्रां५ ইহাদের কাছে মন্ত্রণ-সভার নিৰ্দ্ধারণ পোঁছা ত চাই-ই, অধিকন্তু ইহাও চাই যে, সেই লোকগুলি সেই নিৰ্দ্ধারণগুলিকে শ্রদ্ধার সহিত গ্রহণ করিয়া আপনাদের ভবিষ্যৎ আচরণ তাহার দ্বারা নিয়মিত করে । আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক নিরক্ষর ও অশিক্ষিত। সুতরাং দাঙ্গা-কাল্পীদের মধ্যে অধিকাংশ লোকও যে নিরক্ষর ও অশিক্ষিত তাহা বলাই বাহুল্য । কিন্তু তাহদের মধ্যে লিখন-পঠনক্ষম লোকও অাছে, এবং অন্ততঃ কোন-কোন স্থলে সম্ভবতঃ লিখন-পঠনক্ষম লোকদের প্ররোচনা ও নেতৃত্বে বিরোধ, মারামারি, কাটকাটি হইয়া থাকে । যে-সব স্থলে এইরকম নেতা থাকে, তাহার প্রায়ই গোড়া ও সংকীর্ণমনা এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ পোষণ ও বর্দ্ধন করে । ইহাদের প্রভাবের বিরুদ্ধে নিরক্ষর অশিক্ষিত লোকদের হৃদয়-মনের উপর উদারচেতা, বিবেচক ও মানব-প্রেমিক লোকদের প্রভাব স্থাপন কঠিন সমস্ত । কিন্তু ইহার সমাধান করিতে হুইবে । র্যাহারা নিজ-নিজ সম্প্রদায়ে খুব স্বধৰ্ম্মনিষ্ঠ বলিয়া পরিচিত, এরূপ নেতারা যদি এই কঠিন সমস্যা সমাধানের ভার গ্রহণ করেন, তাহা হইলে কিছু ফল হইতে পারে । সংবাদপত্র দ্বারা পৃথিবীর কোন উপকার হয় না, ইহা কেহই বলিবেন না । কিন্তু অনেক সংবাদপত্রের লেখার ফলে দেশে-দেশে যুদ্ধ বাধিয়াছে। তেমনি একই দেশের ভিন্ন-ভিন্ন শ্রেণী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ঝগড়াও অনেক সময় খবরের কাগজের লেখার দরুন বাধিয়া থাকে। দুঃখের বিষয়, যাহারা উত্তেজনা, বিরোধ ও বিদ্বেষ জন্মায় এরূপ ংবাদপত্ৰসকলের কাটুতি বেশী। তাহা হইলেও, যদি সকল প্রদেশেই অন্ততঃ একখানা করিয়া ইংরেজী ও দেশ-ভাষার কাগজ ধীর-শাস্তভাবে মানব-প্রীতির সহিত চালিত হয়, তাহা হইলে কিছু স্বফল ফলিতে পারে। বাংলাদেশে দেখা গিয়াছে যে, রাজনৈতিক মতে গরমিল থাকা সত্বেও অনেকে ষ্টেটসম্যান কাগজ কিনিয়া পড়ে, কারণ ইহার ছাপা ও কাগজ ভাল