পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪৪ পারে —তাহ অবস্তির। কিন্তু স্বাধীন আত্ম। একান্ত আবশ্ব্যক। নতুবা মহাত্মাজীর মিৰ্ব্বন্ধতিশয় প্রযুক্ত কিম্বা তাহাকে খুসি করি খাঁর জন্য চরকা ঘুরাইলেই একটা বড় কিছু ইষ্ট লাভ হইবে, আমরা মনে করি না। এইজন্য ংগ্রেসের সভ্য হইতে হইলে স্থত কাটিতেই হইবে, এনিয়মের আমরা পক্ষপাতী নহি । অস্পৃশ্ব তা নিবারণ ও সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সদ্ভাব স্থাপন, শুধু রাজনৈতিক কারণে নৃহে, সকল দিক দিয়াই একান্ত আবশ্যক । ইহা না হইলে আমরা মমুয্য নাম ব্যবহার করিতে পূর্ণ অধিকারী হইতে পারি না । কংগ্রেসের বাহিরে সকল দলেব লোক নিজের নিজের মত-অগুসারে সব কিছু করিতে পারিবেন,কিন্তু “পরিবর্তনবিরোধী”র তাহদের মত-অন্তসারে কৌন্সিল প্রবেশের অনিষ্টকারিতা ও অনাবশ্যকতা দেখাইতে পাfরবেন না, এরূপ নিয়ম করিলে অন্য সব দলের লোকদের চেয়ে গান্ধী মহাশয়ের আহ্ববৰ্ত্তী লোকদিগের স্বাধীনত। কম করা হয় । গান্ধী মহাশয় কংগ্রেসের যে যে কাজ নিদিষ্ট করিয়াছেন, তাহাতে সম্মিলিত কংগ্রেসূ সম্ভবপর হইতে পারে ; কিন্তু তদ্বারা কংগ্রেসের প্রকৃতি বদলাইয় যাইবে । উছ এতদিন প্রধানতঃ রাজনৈতিক সভা ছিল ; অতঃপর সাক্ষাংভাবে তাহা আর থাকিবে না। তাছা হইলে সম্মিলিত ভারতীয় জাতির রাষ্টীয় লক্ষ্য ও অভিলাষসম্বন্ধে কংগ্রেস কিছু বলিতে আর অধিকারী থাকিবেন না । সুতরাং সম্মিলিত কংগ্রেসের অন্যবিধ সার্থকত। যাহাই থাকৃ, সাক্ষাৎভাবে রাজনৈতিক সার্থকতা কিছু থাকিবে না। কংগ্রেসের "জাতি-গঠনমূলক কাৰ্য্য-পদ্ধতি"তে আগে মদ্যপানণি নেশা দূর করাটাও অন্যতম কাৰ্য্য বলিয়া নিদিষ্ট ছিল । ইহা মহাত্মা গান্ধী এখন কেন বাদ দিতেছেন ? বিদেশী কাপড় পরিলে সাক্ষাংভাবে মামুষের কোন নৈতিক অবনতি হয় না, স্বাস্থ্যহানিও হয় না । কিন্তু মদ, আফিং,গাজা প্রভৃতির নেশা করিলে মানসিক ও নৈতিক অবনতি হয়, এবং স্বাস্থ্য খারাপ ও হয় ! খন্দরের পক্ষপাতী ব্যক্তিগণ ( আমরাও সেই দল-ভুক্ত ) অনেকবার বলিয়াছেন, যে, বিদেশী কাপড় ব্যবহার করায় ভারতবর্যের প্রতি বৎসর ষাট কোটি টাকা লোকসান হয় । মদ, আফিং প্রভূতির নেশা করায় ভারতবধের তাই। অপেক্ষা কম টাকা লোক্সান হয় না । স্বতরাং আর্থিক ক্ষতির কারণ বলিয়াও এইসব নেশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোযণ করা দেশের নেতাদের ও কংগ্রেসের কৰ্ত্তব্য । প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড গবর্ণমেণ্টের আফিং নীতি সম্প্রতি ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় গবর্ণমেণ্ট পক্ষ হইতে আফিং-সম্বন্ধে নান কথা বলা হইয়াছে। তাহার একটা-সম্বন্ধে: কিছু বলিতে চাই। সৰ্বকার বাহাদুর বলেন, ধে, আফিং ঔষধার্থে এদেশের লোক খুব ব্যবহার করে ; কিন্তু যদি এমন নিয়ম করা যায়, যে, যোগ্যতাবিশিষ্ট ( কোয়ালিফায়েড ) চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ভিন্ন কেহ আফিং খাইবে না, তাহা হইলে বিস্তর লোকে উহ! ঔযপূরুপে ব্যবহার করিতে পাইবে না, এবং তাহাতে তাহাদের ক্ষতি ও অসুবিধা হইবে । কারণ এদেশে যোগ্যতা-বিশিষ্ট চিকিৎসক মোটেই যথেষ্ট নাই । এ স্থলে জিজ্ঞাসা এক্ট, যে, যোগ্যতা-বিশিষ্ট চিকিৎসক যে এদেশে যথেষ্ট নাই, তাহfর জন্য দায়ী কে ? গবর্ণমেণ্ট কেন কেবল যুদ্ধের ব্যয় ও ইংরেজ কৰ্ম্মচারীদের বেতনের ব্যয় বাড়াইতেই ব্যস্ত ? যথেষ্ট চিকিৎসা বিদ্যালয় কেন স্থাপন করেন নাই ? বিলাতের লোকেরা চিকিৎসকের ব্যবস্থা ভিন্ন আফিংঘটিত কোন ঔষুধ ক্রয় করিতে পারে না । ইহার মানে এই, ধে, আফিং-ঘটিত জিনিষ বা আফিং ইংরেজের যথেষ্ট কিনিতে পাইলে তাহা বিচারপূর্বক কেবল ঔষধের জন্য ব্যবহার করিতে পরিবে না, তাহীদের সেরূপ জ্ঞান, বিবেচনা ও সংঘম নাই । ইংরেজরা এই-প্রকারে নিজের জাতিকে মানসিক, নৈতিক ও দৈহিক অনিষ্ট হইতে রক্ষা করিয়াছেন । কিন্তু এদেশে ধাহার ইচ্ছা সেই আফিং কিনিতে পারে। যদি গবর্ণমেণ্ট বলেন,যে, ইহাতে দেশের লোকদের কোন অনিষ্ট হয় না,তাহারা কেবল ঔষধের জন্যই এবং তদুপযুক্ত মাত্রাতেই ইহা ব্যবহার করে, তাং হইলে বলিতে হইবে, যে, এদেশের লোক বিলাতের লোকদের চেয়ে বেশী জ্ঞানী, বিবেচক ও সংযত । অথচ ইহাও বলা হয়, যে, জাতীয় আত্ম-কত্ত্ব ত্ব লাভ করিবার মত জ্ঞান, বিবেচনা, সংযম ইত্যাদি ভারতীয়দের নাই ! কোন কথাট। সভা ? ভারতবর্যে যে বিস্তর আফিংথোর ও গুলিখোঁর আছে এবং বিস্তর শিশুকে তাহদের মাতা মিলের মজুরানীরা আফিং খাওয়াইয়া জড়প্রায় করিয়া ঘরে রাখিয়া কাজ করিতে যায় ও তাহাতে তাহদের ভীষণ ক্ষতি হয়, ইহা গবর্ণমেণ্ট অনবগত নহেন। কিন্তু টাকার লোভে র্তাহার সভা কথা স্বীকার করিতে চান না । টাকার লোভে ইংরেজ গবর্ণমেণ্ট আফিং চালাইবার জন্য দুই-দুই বার চীন দেশের সহিত যুদ্ধ করিয়াছেন।

  • ン *** #ff"#: $o = BBB BDYSBBB BBBBB BBB BBB DDB BB BBB BBD DD BBBS B BBBB BB BB BBB BBB BBB B BBBB BBB BB BBB BS BBB BB BBBB BB BB BB BBD

میجہ۔ -- করিবেন, এবং পূর্বে পত্র লিপিলেও অফিস পোলাব পর উত্তর পাছবেন ।