পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>や অসহিষ্ণুভাবে মুখটা ঘুরাইয়া লইয়া অৰ্দ্ধস্ফুটম্বরে বালিকা বলিত—”ই সব হারামজাদগি!” ছেলেটা কোন দিন মৃদু হাসিয়া সে বিরক্তিতে ইন্ধন যোগাইত, আর কোন দিন বা সাধগষ্ট তি—“আরে ভাই, গাগরী ধিপল বা, ধোই না ?” বচসাটা কোন-কোন দিন বাড়িয়াও যাইত। মেয়েট। প্রশ্ন করিত, “এতক্ষণ পৰ্য্যন্ত কলসীটা রোদে বসাইয়া রাথিতেই বা কে মাথার দিব্য দিয়াছিল ? এসবই ‘হারামজাদগি’—” ছেলেটা উত্তর দিত— গুরমিটিকে রাজমে নিজের ইচ্ছা-ও স্ববিধl-মত কাম করিবার সকলেরই অধিকার অাছে ; যাহার না বনে, সে ঘরেব ভিতর ঘোমটা টানিয়া বসিয়া থাকিলেই পারে, ইত্যাদি । কিন্তু ছেলেটার এই অবাধ প্রতিপওি অধিক দিন চলিল না। একদিন "ভiজ লইয়া গোলমাল করিতে গেলে বালিকা কলসীটা কলের মুখে চাপিয়া ধরিয়৷ বলিল, “হাম না হটায়ব, দেখি কেীনাকে অখতিয়ার বা।” ছেলেটা হতভম্ভ হইয়া গেল, মুখে বলিল, “আরে ই ঔরং না জমাদার বা ।” কিন্তু কাৰ্য্যত: কিছুই করিতে সাহস করিল না । মেয়েট সেইরূপ জিদের সহিতই কলসীটা ভারয় লইয়া, তাহ মাথায় বিড় দিয়া বসাইয়া লইয়া গৰ্টুগঢ় করিয়া চলিয়া গেল। যাইবার সময় কথা রাখিয়া গেল, "হাম হারামজাদগি তোড়ব, ই।” পরদিবস আসিয়া দেখিল পলটাতে কলসার বালাই নাই । ঠোটে একটু বিজয়ের হাসি ফুটাইয়া বলিল, “হু, বউয়া ড়েরায়ুল বাড়ল” অর্থাৎ বাছাধন ভয় পেয়েছেন ; তাহার পর ধীরে-স্বন্থে বেশ করিয়া মুখটা ধুইয়। রাঙা করিয়া মুছিল, আলগা টিকুলিট। আন্দাজে ভ্রন্থটির মাঝখানে চাপিয়া বগাইয়া দিল এবং কলপট। কলের মুখে বসাইয়া নারিকেল-গাছের পাতলা ছাওয়ায় গিয়া বাসন্ধু রহিল । ছেলেট। তখনও আসিল না । তাহার আগমনের রাস্তায় এক একবার নজর ফেলিয়া মেয়েট বলল, “আরে অইহন কঁহাসে ? হাম কি সে জানান হfত ?”—অর্থাৎ আসিবেন কোথা থেকে ; আমি কি সেই মেয়েমানুষ ? কলসী ভরিয়। জল গড়াইয়া পড়িতে লাগিল ; সে প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ) నిరి) [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড উঠিবার কোন প্রয়াস পাইল না। একটা খোলাম-কু লইয়া মাটিতে তাহার দেশী খেলার অঁাকর কাটিে লাগিল ও মাঝে-মাঝে চোখ তুলিয়া এক-একব এদিকৃ-ওদিক্‌ দেখিয়া লইতে লাগিল । যখন প্র আধা কলসী জল পড়িয়া গিয়াছে, সে উঠিয়া গেল এ “পানি সব ধিপ, গইল বা” বলিয়া সমস্ত জলটা ফেলি . দিয়া আবার টাটুকা ও ঠাণ্ডা জলের জন্য কলসী লাগাইয়৷ পূৰ্ব্ববং যাইয়া বসিয়া রহিল। এমন সময় দেখা গেল দুই হাতে দুইটা কল্য ঝুলাইয়া সেই হারামজাদা’ ছেলেটা আসিতেছে দেখিতেই যা দেরী, মেয়েটা লড়াইয়ে মোরগের ম উগ্রভাবে দাড়াইয়া উঠিল, এবং ত্ৰস্তপদে কলে পহু ছিঃ বিনা বাক্য-ব্যয়ে নিজের কলসীটা চাপিয়া ধরিয়া গ্রীব বাকাইয়া ছেলেটার পানে স্পদ্ধিত-নেত্ৰে চাহিয়া রহিল —ভাবটা, আজ একচোট দেখিয়া লইবে সে ! ছেলেট আস্তে-আস্তে কলসী দুইটা শামের এক পাশে রাখিল এবং শাস্তভাবে একটু হাসিয়া বলিল “আজ তো আর ভাজার কথাই ওঠে না, তবে এই ভয় কেন ? নাও তুমিই ভরে নাও, আমি দাড়ি:ে দেখি ।” বালিকা তাহার মুখের দিকে একটু চাহিয়া রহিঃ ও কলসী ছাড়িয়া বলিল, “না, না, সে কথা নয়, তবে আমার অনেকটা যেতে হয়, আর এই রোদ—” হাসিয়া ছেলেটা বলিল, “হঁ্য, তোমার বাসা আর দূর নয়! যে জানে না তাকে বোঝাওগে ; আমি এই সহরেরষ্ট লোক, মুন্নাকাঙ্কার’ বাড়ী আর চিনিনে ? --না তোমায় এই নতুন দেখা আমার ?” বিস্মিতভাবে মুখটা একটু তুলিয়া মেয়েটা আবার ধীরে ধীরে নোয়াইয়া লইল । রৌদ্রে যতটা ঘামা উচিত ছিল, তাহারও বেশী বেচার ঘামিয়া উঠিতেছিল। কাল তাহার ছিল পূর্ণ জয়, আর আজ আসিয়া অবধি অন্তরে বাহিরে সে যেন পরাজিতই হইয়া চলিয়াছে । সকলের অপেক্ষা তাহাকে সঙ্কুচিত করিতেছিল এই পরিচয়টা, কারণ সেটা তাহার তেমন গৌরবের নয় – তাঙ্গর চাঞ্চল্য, কৌতুক-প্রিয়তা ও নিঃসঙ্কোচ ভাব পাড়ায়