পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৫

X8b ধদি আমরা একটি মুৎপিণ্ডের জ্ঞান লাভ করিতে পারি, ভাঙ্গ হইলেই জগতের সমুদয় কুম্ভের জ্ঞান লাভ করা হইবে। যদি আমরা একখণ্ড সুবর্ণকে জানিতে পারি, তাহা হইলে সুবর্ণময় সমুদায় বস্তুরষ্ট জ্ঞান লাভ হইবে । যদি একপও লৌহের ভৱ জানিতে পারি, তাছা হইলে জগতের সমুদায় লৌহময় বস্তুর তত্ত্ব জানা ধাইবে । মৃত্তিক মূল বস্তু, কিন্তু মুন্ময় বস্তু বহু ; স্নবর্ণ একটি বস্তু, কিন্তু স্নবর্ণময় বস্তু বহু ; লৌঙ্গ একটি বস্তু, কিন্তু লৌহময় বস্তু বহু | যদি আমরা মূল বস্তুটিকে জানিতে পারি, তাহা হইলে সমুদয় অজ্ঞাত বিকার বস্তুকে জানা যায় । এক্ট-প্রকার দৃষ্টান্ত দ্বারা ঋষি প্রথমে শ্বেতকেতুর মনকে প্রস্তুত করাষ্টয়া লক্টলেন । তাহার পরে তাঙ্গকে পৃঝাইয়া দিলেন যে, এমন এক-কথায় মুল বস্তু এক, কিন্তু বিকার বহু । একটি বস্তু আছে, যাঙ্গর বিষয়ে জ্ঞান লাভ করিলে সমুদয় অজ্ঞাত বস্তুর জ্ঞান লাভ হইয়া থাকে । অনন্তর উদালক শ্বেতকেতুকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কি গুরু-গৃহে এই-প্রকার উপদেশের বিষয় জিজ্ঞাসা করিয়াছিলে ?” শ্বেতকেতু বলিলেন—“উপাধ্যায়গণ নিশ্চয়ই তষ্ঠা জানিতেন না , ধনি জানিতে মই, তবে বলিত্তেম না কেন ? স্বতরাং ভগবানই আমাকে তাঙ্গ বলুন।" পরিণাম-বাদ ইহার উত্তরে વૃમિ ণে মত ব্যাথা করিয়াছেন, সেই মভের নাম বিকার-বাদ বা পরিণাম-ব{w । তিনি আম|দিগের নিকট সুই-শ্রেণীর বক্সর পিষয় উল্লেখ করিয়া9ে--- ১ ) মূল বস্ব, ( 2 ) বিকার বস্তু , মৃত্তিক মূল বস্থ ; বি*1র । স্তবণ মূল বস্ব, সুবর্ণ-কুণ্ডল ইহার বিকার । লৌহ মূল বস্তু, ছুরি, কঁাসি ইষ্ঠার বিকার : জগতের ক্ষুদ ক্ষুদ্র বস্থর বিষয়ে দেখা ধ:ঙ্গতে ছে কোনটি মূল বস্ব এবং কানটি ইং - বিকার । ব্ৰহ্মাণ্ড বিষয়ে ৪ ইহাই সত্তা ! একটা মূল বস্তু আছে ; ইহার অর্থ এই যে, সংস্বরূপ পরব্রহ্মই মূল বস্তু এবং এই জগং ইহারই পরিণাম বা বিকার বা প্রকাশ । সুবৰ্ণকে জানিলে যেমন সমুদয় সুবর্ণময় বস্তুকে জানা যায়, সমুদয় 乌弯7研5 এবং তুষ্ট জগৎ ঠতার পরিণাম । একখণ্ড প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ গি, ২য় খণ্ড তেমনি সেই সংস্বরূপকে জানিলে জগতের সমুদয় বস্তুকে অবগত হওয়া যায় । এই তত্ত্বই ঋষি পুত্রের নিকট নানাভাবে ব্যাখ্যা করিয়াছেন । সৃষ্টি ( ক ) ঋষি প্রথমেই ব্যাখ্যা করিলেন স্থষ্টি ভব । তাঙ্গর মতে স্রষ্টাই তুষ্টবস্তু-রূপে পরিণত কুইয়াছেল । অনেকে মনে করেন, এমন এক সময় ছিল, যখন কিছুষ্ট ছিল না – ইঙ্গাই অন্য ভাষায় সংবস্তুব উৎপত্তি ত;হfর পরে এই জগৎ উৎপন্ন গুইল । মাইস্ত্ৰে পারে অসং গুষ্টতে হইয়াছে । এ-বিষয়ে উদালক এই-প্রকার বলিয়াছেন – “হে সৌম্য । আগে এই জগৎ সংরূপে বৰ্ত্তমান ছিল । এ-বিষয়ে কেষ্ট-কে বলেন, আগে এই জগৎ এক অদ্বিতীয় অসং রূপে বর্তমান ছিল এবং সেই অসৎ হইতে সৎ কি-প্রকারে ইঙ্গ হইয়াছে । কিন্তু হে সৌম্য । হষ্টতে পারে ? কেমন করিয়া অসৎ গুইসে সৎ উৎপন্ন ইহঁতে পারে ? এ-জগং অগ্ৰে অদ্বিতীয় সংরূপেই বর্তমান ছিল ।” ছাং ৬।২।১.২। ঋষির বক্তবা এঠ—এখন দেখিতেছি এষ্ট জগৎ রঙ্গিয়াছে । কিন্তু এমন-এস্ট সমসু ছিল, স্পন এ-জগৎ বর্তমান ছিল না । এস্থলে পণ্ডিতগণ এই-প্রকার প্রশ্ন, করিয়! থাকেন "সুখন এ-গুগং ছিল না, তখন কি ইঙ্গার কিছুই ছিল না ?” এপ্রশ্ন অদ্ভুত বলিয়া মনে ইষ্টতে পারে, কিন্তু ইহা অদ্ভূত নহে, ইং। অত্যন্ত সারগর্ত । উদালক নিজেই এপ্রশ্নের উত্তর দিয়াছেন । তাঙ্গার BBS SJSggE MBBB BBB BSBB D ATSBBB S BBS তবে এভাবে নহে, ছিল অন্যভাবে । লখন জগৎ বর্তমান ছিল অদ্বিতীয় সং-বস্তুরূপে । আমরা ধাতাকে ব্ৰহ্ম বলি, স্মৃষ্টির পূৰ্ব্বে এই জগং সেই ব্রহ্মরূপে বর্তমান ছিল । এখন ইহা জগৎরূপে বর্তমান, কষ্টির পূৰ্ব্বে ছিল ব্ৰহ্মরূপে বর্তমান । , ( ) ইহার পরে ঋষি বলিতেছেন, সেই সংস্বরূপ আলোচনা করিলেন ( বা সঙ্কল্প করিলেন ) “আমি বহু হই, আমি