পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছাঃ ৬২ ৷ এখানে বলা হইল সৎস্বরূপই তেঙ্গেরূপে জন্মগ্রহণ করিলেন, ইহাষ্ট অন্য ভাষায় বলা হইয়াছে ‘তিনি তেজঃ সৃষ্টি করিলেন । (하) তেজের স্বষ্টি বর্ণনা করিয়া ঋষি বলিয়াছেন, এই তেজ: হইতে জলের কষ্টি এবং জল হইতে অন্নের স্তষ্টি হইয়াছে । এখানেও ঋসি পরিণাম-বাদেরই কথা বলিয়াছেন । যেভাবে সৎস্বরূপ তেজোরূপে উৎপন্ন হুইয়াছেন, তেজ:ও সেইভাবে জলরূপে এবং জলও সেইভাবে অন্নরূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছে । ইঙ্গার পরে ঋষি অপরাপর সৃষ্টির কথা বলিয়াছেন । কিন্তু বৰ্ত্তমান যুগে এই সমুদায় মতের ব্যাপ্য করা শুনfবশ্রাক । ( घ ) ঈষ্ঠার পরে ঋষি মানাভাবে বুঝাইতে চেষ্টা করিয়চেন যে অগ্নি, স্বৰ্য্য, চন্দ্র, বিদ্যুৎ ইত্যাদি সমুদয়ই তেজ:, জল ও অন্নের ভিন্ন-ভিন্ন রূপ । এমন কি বাক, প্রাণ ও মনও এক্ট তিনটি হইতে উৎপন্ন হুইয়াছে । এইসমুদয় আলোচনা করিয়া ঋষি এই মত প্রকাশ করিয়াছেন যে, সমুদয়ই যখন তেজঃ জল ও অন্নের পরিণাম, নপ- এই তিনটি বস্তু অবগত হইলেই সমুদায় বস্তু অবগত ই ভূয়া যায় । জীবাত্মা সৃষ্ট নহে

ভজং, জল, অন্ন, মন, প্রাণ, বাগাদি সমুদয়ই স্থষ্ট বস্তু ; কিন্তু জীবাত্মা হৃষ্ট বস্তু নহে । পূৰ্ব্বোক্ত প্রকরণেই উচ্চালক বলিয়াছেন, “তিমি ( অর্থাৎ সেই সৎ বস্তু ) জীবাত্মা-রূপে এইসমুদয় দেবতার অভ্যন্তরে (অর্থাৎ তেজ:, জল ও অন্ন এই তিন দেবতার আভ্যন্তরে ) অল্পপ্রবিষ্ট হইয়া নাম ও রূপ ব্যক্ত করিলেন” । হাঃ ৬৩৩।

তেজঃ, জলাদি বস্তু সেই সংবস্থর বিকার, কিন্তু জীবাত্মা অবিরুত ব্ৰহ্ম । >8。 স্ববুপ্তি স্বসুপ্তি-তত্ত্ব আলোচনা করিয়া ও উদালক ঐ সিদ্ধান্তেই উপনীত হইয়াছেন । এ-বিষয়ে তিনি শ্বেতকেতুকে এইরূপ বলিয়াছেন— হে সৌম্য ! আমার নিকট সুষুপ্তি-তত্ব অবগত ঠ ৪ । যখন এই পুরুষ নিদ্রিত হয়, তখন সে সংস্বরূপের সঠিত সম্মিলিত হয় । সেই সময়ে সে স্বরূপ প্রাপ্ত হয় । 5t &ibrl>I স্বষুপ্ত অবস্থায় আত্মার স্বেরূপ, তাহাক্ট ইঙ্গার প্রক্লত রূপ ; ইতাই ব্ৰহ্মাবস্থা । এই উপনিষদের অন্যত্রও এই মত সমর্থিত হইয়াছে । অষ্টম প্রপাঠকের একস্থলে (৮৩২ ) লিখিত আছে, সমুদয় প্রাণী স্বযুপির সময়ে ব্ৰহ্মত্ব লাভ করে। স্বযুপ্তির অবস্থাই সে আত্মার স্ব-রূপ এবং এই অবস্থাই যে ব্ৰহ্মাবস্থা তাহ যাজ্ঞবল্কাপ্ত বিস্তুতভাবে বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন ( বুঙ্গঃ উঃ ৪৩|২৩ ৩২ ) । তত্ত্বমসি উদালক-আরুণি শ্বেতকেতুকে ধে-সমুদায় উপদেশ দিয়াছিলেন, সে-সমুদরের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ উক্তি— “ভত্ত্বমসি’ । ‘তত্ত্বমসি'তে তিনটি কথা তৎ, ত্বম, অসি। তৎ - তাঙ্গ, সেই বস্তু ; তুম্‌-তুমি ; তত্ত্বমসি – তুমি হ ৪ সেই বস্থ । ঋষি এই তত্ত্ব ব্যাখ্যা করিয়াছেন । অসি-এ ১৪ । সুতরাং नग्न;ि जूछेiरु • चांब्रा ( 3 ) তেজঃ, জল, অন্ন এবং দেহ, মন, প্রাণ ও বাগাদি সমুদয়ই স্পষ্ট বস্থ । ঋযি বলেন--সৎস্বরূপ হইতে তেঞ্জের উৎপত্তি, তেজ ইত্তে জলের, এবং জল হইতে অল্পের উৎপত্তি । আবার তেজ ইষ্টতে বাকু, জল ষ্টষ্টতে প্রাণ এবং অল্প হইতে মনের কষ্টি হইয়াছে । জগতে যাঙ্গণ কিছু আছে, সে-সমৃদয়ই তেজঃ, জল ৭ অল্প হইতে উৎপন্ন ; কেতুকে বলিতেছেন— এইসমুদয় বর্ণনা করিয়া উদালক শ্বেত “হে সৌম্য ! সংস্বরূপই এই ভূত সমূহের মূল :