পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ© e সৎস্বরূপই ইহাদিগের আয়তন এবং সংস্বরূপই ইহাদিগের প্রতিষ্ঠা ।” ৬৮৪ । ইহার কিছু পরেই বলিয়াছেন—যখন মাহুষের মৃত্যু হয়, তখন তাঙ্গার বাকু মনের সহিত মিলিত হয়, মন প্রাণের সহিত, প্রাণ ভেজের সহিত এবং তেজঃ পরম দেবতার সঙ্গিত ( অর্থাৎ সৎস্বরূপের সহিত ) সম্মিলিত হয় । ৬৮৬ । (क) যখন এই জগং সেই–সংস্বরূপে বিলীন হয়, তখন আর ইহার স্কুলাবস্থা বর্তমান থাকে না ; সংস্বরূপে বিলীন হুইয়া স্বক্ষাবস্থাই প্রাপ্ত হয়। খিনি আদি কারণ, তিনি সূক্ষ্ম বস্তু ; ক্ষষ্টির পূৰ্ব্বে জগং এই সূক্ষ্মবস্তুরূপে বর্তমান ছিল এবং বিলীন হুইবার পরও এই সূক্ষ্ম বস্তুরূপে বর্তমান থাকিবে । ই চার কথন আভ্যন্তিক অভাবও ছিল না, কথন আত্যন্তিক বিনাশও হইবে না এবং কখন সংস্বরূপ হইতে পৃথক ও দ্বিতীয় বস্তুরূপে বর্তমান ছিল ও না এবং থাকিবে ও না । ( or ) কিন্তু এই স্থঙ্ক বস্তুটি কি ? ঋষি বলিয়াছেন,— ইহা হইতে জগতের উৎপত্তি, জগং ইহারই পরিণতি এবং প্রলয়-কালে জগং ইঙ্গাতেই বিলীন হয় । কিন্তু ইহাও সংস্বরূপের পরোক্ষ ভাব ; এবর্ণনা দ্বারা তাহাকে প্রেত্যক্ষভাবে জfলা গেল মা । আfর এই জগৎ সৎস্বরূপের বিকার ; বিকার বস্তু দ্বার অবিকারী বস্তুকে কি-প্রকারে জাম যাইবে ? তবে সংস্বরূপকে জানিবার উপায় কি ? ঋষি পূৰ্ব্বেই ইহার আভাস দিয়াছেন । তেজঃ, জল, আন্নাদি এবং বাক্, প্রাণ মনাদি সংস্বরূপের বিকার ; কিন্তু জীবাত্মা অবিকৃত সংস্বরূপ । ইহা হইত্তেই আমরা সিদ্ধান্ত করিয়া লইতে পারিতাম যে, আত্মাই সেই সৎস্বরূপ । কিন্তু ঋষি কিছুই অস্পষ্ট রাখেন নাই। সেই সূক্ষ্মতম সৎবস্তুর বিষয়ে ঋষি এই প্রকার বলিয়াছেন— এই যে স্বল্পতম বস্তু, আত্মা, তিনিই সত্য, তিনিই আত্মা । তুমিই তিনি, “স্তত্বমসি"। ইহাই সমুদয় জগতের হে শ্বেতকেতো ! প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড ● ( 히) সৰ্ব্বপ্রথমে প্রশ্ন ইয়াছিল--"কোন বস্তুকে জানা গেলে অশ্রী হ বিষয় শ্রত হয়, আ মত বিষয় মনন করা যায় এবং অজ্ঞাত বিষয় জ্ঞাত ওয়া যায়” । এতক্ষণে তাহার উত্তরের জানা যায়, তাহা হইলে ইহার হয়—যেমন মৃৎপিণ্ডের জ্ঞান হইতে (১) মূল বস্তুকে ধf বিকারেরও জ্ঞানলাভ &ইতে ধটাদির জ্ঞান ধু—মু বর্ণখণ্ডের জ্ঞান স্ববর্ণ-কুণ্ডলffদর জ্ঞান হয় । (২) সংস্বরূপ মূল বস্তু ; জগং ইহার বিকার । স্বতরাং সংস্বরূপের জ্ঞান হইলেই জগতের বিষয় জানা ধায় । (৩) সৎস্বরূপই জগতের কারণ ; কিন্তু আত্মাই জগতের কারণ । সুতরা আত্মাকে জানিলেই জগংকে জানা শুইল । (2) இ. ইংfর পূরে উদালক আরও বলিলেন :– “হে সৌম্য ! মধুকরসমূহ ধেমন নানা বুক্ষের রস আহরণ করিয়া সেই রসসমূহকে এক-ভাবাপন্ন করে এবং তখন যেমন রসসমূহের এই বিবেক থাকে নী যে, “আমি অমুক বৃক্ষর রস তেমনি হে সেীমা ! সমুদয় প্রাণী ( স্বযুপ্তি সময়ে । সংস্বরূপকে প্রাপ্ত হইয়া জানিতে পারেন। যে ‘আমরা সৎস্বরূপকে প্রাপ্ত হইয়াছি । ব্যাখ্র, সিংহ, বৃক, বরাহ, কীট, পতঙ্গ, দংশ বা মশক— ইহারা ইহলোকে স্বযুপ্তির পূৰ্ব্বে ) ঘে-ধে ভাবে ছিল, (স্বসুপ্তির পর জাগ্রত হইলেও ) সেই সেই ভাব প্রাপ্ত হয় । এই যে সূক্ষ্মতম সংবস্তু, ইহাই এই সমুদয় জগতের আত্ম । তিনিই সত্য, তিনিই আত্ম।। হে শ্বেতকেতে ! তুমিই তিনি’ ” ৬ান। স্বধুপ্তির সময়ে যাহাতে প্রাণী-সমূহ বিলীন হয়, স্বযুপ্তির পরে র্যাহা হইতে প্রত্যাগমন করিয়া জাগ্রত হয়—ভিনিই সংস্বরূপ পঞ্চব্রহ্ম । এই পরব্রহ্ম কে ?—মানবে পিনি আত্মা তিনিই সেই সংস্বরূপ পরম ব্ৰহ্ম । অর্থাৎ আত্মাই ব্ৰহ্ম । ইহা বুঝাইবার জগুই ঋষি শ্বেতকেতুকে বলিয়াছেন—“তুমিই তিনি” ।