পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] ইহার পরে উদালক বলিতেছেন-- সৌম্য ! পূৰ্ব্ব দেশস্থ নদীসমূহ পুৰ্ব্বদিকে প্রবাহিক : , পশ্চিম দেশস্থ নদীসমূহ পশ্চিমদিকে প্রবাহিত চয় ; তাক “ সমূদ্র হইতে উৎপন্ন হইয়া সমুদ্রেই গমন কবে এবং সমুদ্রই হইয়। ধায়। তখন তাহারা জানিলে পাবে না ধে, ‘আমি এই নদী, ‘আমি এই নদী’ । তেমনি হে সেীমা ! এইসমুদায় প্রজা সংস্বরূপ হইতে আসিয়া জানিতে পারে না যে, আমরা সংস্বরূপ হইতে আসিয়াছি। ব্যাঘ্রাণি জীব ইহলোকে স্বযুপ্তির পূৰ্ব্বে যে-খে ভাবে বৰ্ত্তমান থাকে, স্বযুপ্তির পর জাগ্রত হইলেও সেই-সেই ভাব প্রাপ্ত হয় । এই যে সূক্ষ্মতম সংবস্তু, ইহাই এইসমৃদয় জগতেৰ আত্মা ; তিনিই সত্য, তিনিই আত্মা । ষ্ঠে শ্বে হকেতো ! তু মই তিনি।” ছাঃ ৬১%। এই তৃতীয় দৃষ্টান্ত ও স্থলীয় দৃষ্টাস্তুের অহরূপ। এখানেও "tइ ঋষি বলিতে ছেন, আত্মই ব্ৰহ্ম ।T ( 8 ) ইঙ্গর পরে ঋষি বলিতেছেন, “ষ্টে সৌম্য : এই মহান্‌ বৃক্ষের মূলদেশে যদি কে আঘাত করে, তবে সে বৃক্ষ জীবিত থাকিয়াই রস ক্ষরণ করে ; যদি কেহ মধ্যভাগে আঘাত করে, তবে সে-বৃক্ষ জীবিত থাকিয়াই রস ক্ষরণ করে, যদি কেহু অগ্র-ভাগে অধিৗত করে, তবে সে বুক্ষ জীবিত থাকিয়াই রস ক্ষ<ণ করে । এই বৃক্ষ জীবাত্মকত্ত্বক অনুব্যাপ্ত হইয়া ক্রমাগত রসপানপূর্বক হর্ষযুক্ত হইয়া অবস্থান করে । “ধদি জীব এই বুক্ষের এক শাখা পরিত্যাগ করে, তবে সেই শথি। শুষ্ক হইয়া যায় ; যদি দ্বিতীয় শাখা পরিত্যাগ করে তবে দ্বিতীয় শাখাও শুষ্ক হয় ; যদি তুতীয় শাখাও পরিত্যাগ করে, তবে তৃতীয় শাখাও শুষ্ক হয় এবং যদি সমূদয় বৃক্ষ পরিত্যাগ করে তবে সমুদায় বৃক্ষই শুষ্ক হয় । হে সৌম্য ! এই প্রকার ইহাও জানিবে—জীবকর্তৃক পরিত্যক্ত হইলে এই দেহ মৃত হয়, কিন্তু জীব মৃত হয় না । “এই যে স্বল্পতম সংবস্তু ইহাই সমুদয় জগতের আত্মা ; তিনিই সভ্য, তিনিই আত্মা । হে শ্বেতকেতে । তুমিই তিনি।” ছঃ ৬ ॥১১ বৃক্ষের দুষ্টাস্ত দ্বারা ঋষি বুঝাইতেছেন যে, বৃক্ষেও উদালকের ব্রহ্মবাদ Ꮌ© Ᏹ জীবাত্মা আছে ; এবং এই আত্মা অমর, ইহার বিনাশ নাই । যখন বৃক্ষের কোন শাখা শুষ্ক হইয়া যায়, তখন বুঝিতে হুইবে জীবাত্মা সেই শাখা পরিত্যাগ করিয়াছে, এইরূপ ধখন সমুদয় বৃক্ষ বিশুষ্ক হয়, তখন বুঝিতে হইবে জীবাত্মা বৃক্ষকে পরিত্যাগ করিয়াছে । মানব-দেহবিষয়েও এই-প্রকার । যখন দেহ বিনাশপ্রাপ্ত হয়, তখন বুঝিতে গুইবে আত্মা দেহ পরিত্যাগ করিয়াছে । দেহেরই বিনাশ হয়, আত্মার কথন বিনাশ হয় না । সৰ্ব্বশেষে ঋষি বলিলেন, এই আত্মা অতি সূক্ষ্মতম বস্তু এবং এই আত্মাই সেই সৎস্বরূপ পরব্রহ্ম । ( & ) ইহার পর ন্যগ্রোধ বৃক্ষের দৃষ্টান্ত । উদ্ধালক শ্বেতকেতুকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন—“এই ন্যগ্রোধ বৃক্ষ হইতে একটি ফল আহরণ কর।” শ্বেতকেতু বলিল—“ভগবন! "ইহা ভাঙ্গিয় ফেল ।” “ভগবন! ভাঙ্গা হইয়াছে।” “এখানে কি-কি দেখিতেছ ?” “অণুর ন্যায় বীজসমূহ ।” “ইহুদিগের একটি ভাঙ্গিয়া ফেলি।” “ভগবন! ভাঙ্গিয়া ফেলিয়াছি।” "এখানে কি দেখিতেছ ?” “ভগবন! কিছুই না।” তখন উদ্ধালক বলিলেন :-—“ইচার মধ্যে যে স্বল্পতম অংশ আছে, তাহা তুমি দেখিতেছ না । এই সূক্ষ্মতম অংশেই এই মহা নাগ্রোধ বৃক্ষ রহিয়াছে । ( এই বাক্যে ) শ্রদ্ধাযুক্ত হও । “এই যে স্বক্ষবস্তু, ইহাই সমুদয় জগতের আত্মা । তিনিই সত্য, তিনিই আত্মা । হে শ্বেতকেতো ! তুমিই তিনি।” ছঃি ৬১২ ন্যগ্রোধ ফলের মধ্যে বীজ আছে। এই বীজের মধ্যে অতি সূক্ষ্মতম অংশ আছে ; তাহা চক্ষুদ্বারা দেখা যায় না। এই স্বল্পতম অংশই গুগ্রোধ বৃক্ষের কারণ। এইরূপ সংস্বরূপ স্বল্পতমভাবে জগতে অহপ্রবিষ্ট হইয়া এই আনিয়াছি।”