পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᏩ R রহিয়াছেন । তিনিই এক জগতের কারণ। ঋষি বলিতেছেন-মানবাত্মাই এই সংস্বরূপ পরব্রহ্ম । ( , ) ইহার পরে লবণখণ্ডের দৃষ্টান্ত ! উদ্ধালক পুত্রকে বলিলেন—”এই লবণ-খণ্ড জলে রাখিয়া যাও ; কল্য প্রাতে আমার নিকট আসিবে ।” শ্বেতকেতু তাহাই করিল। প্রাতঃকালে উদ্ধালক তাহাকে বলিলেন, “রাত্রিতে জলে যে লবণ রাখিয়াছিলে, তাই আন ।” শ্বেতকেতু অনুসন্ধান করিয় তাহা পাইল না, যেহেতু তাহা বিলীন হইয়াছিল । উদালক বলিলেন,—“ইহার উপরিভাগ হইতে পান কর /** শ্বেতকেতু জল পান করিল। তখন উদালক জিজ্ঞাসা করিলেন-- "কিরূপ ?” শ্বেতকেতু বলিল—"লবণাক্ত ।” জল উ। "ইহার মধ্যভাগ হইতে পান কর । কিরূপ ?” শ্বে । "লবণাক্ত ।” উ। "নিম্নভাগ ইহঁতে পান কর । কিরূপ ?” শ্বে । “লবণাক্ত ।” তখন উদালক বলিলেন -“লবণ ইহার মধ্যে নিত্যকালই আছে। হে সৌম্য এইরূপ এই দেহে সৎস্বরূপ নিত্যই (বিদ্যমান -রহিয়াছেন ; কিন্তু তাহাকে দেখিতে পাইতেছ না । এই ধে স্বক্ষবস্তু ইগষ্ট সমুদয় জগতের আত্মা । তিনিই সত্য, তিনিই আত্মা । হে শ্বেতকেতো ! তুমিই স্থিf. " লবণের দুষ্টান্ত দ্বারা ঋষি বুঝাইতেছেন যে, সৎস্বরূপ অতি স্বল্পভাবে নিত্যই দেহে বৰ্ত্তমান রহিয়াছেন । র্তাহাকে এই চক্ষুদ্বারা দেখা যায় না। তিনিই জগতের কারণ এবং এই মানবত্মাই সেই সৎস্বরূপ । ( ) ইহার পরে ঋষি বলিতেছেন – “হে সৌম্য কোন পুরুষের চক্ষু বন্ধ করিয়া তাহাকে যদি কোন বিজন স্থানে আনিয়া ছাড়িয়া দেওয়া হয়, সে যেমন পূৰ্ব্বাভিমুখ বা উত্তরাভিমুখ বা প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড দক্ষিণাভিমুখ বা পশ্চিমাভিমুখ হইয়া চীৎকার করিয়া বলিতে থাকে, চক্ষুবন্ধন করিয়া আমাকে এখানে আনিয়াছে, চক্ষুবন্ধন করিয়৷ আমাকে এখানে ফেলিয়৷ দিয়াছে’ ; তখন যেমন কেহ তাহার চক্ষুবন্ধন মোচন করিয়া ধলে--"এই গন্ধার, এই দিকে গমন কর’, সে যেমন তখন গ্রাম হইতে গ্রামাস্তরে জিজ্ঞাসা করিয়া এবং ( অভিজ্ঞ লোকের উপদেশে ) পথ-বিষয়ে পণ্ডিত শু মেধাবী হইয়া গন্ধার প্রদেশেই উপস্থিত হয় । তেমুণি আচাৰ্য্যবান পুরুষই জানেন যে, যে-পৰ্য্যস্ত আমি দেহ হইতে মুক্ত ন হইব ( বিমোক্ষ্যে )* সেই পৰ্য্যস্ত আমার ( তস্ত = তস্য মম ) বিলম্ব । তাহার পর আমি সৎস্বরূপকে প্রাপ্ত হইব ( সম্পৎস্তে )+ “এই ধে স্বক্ষবস্তু ইহাই সমুদয় জগতের আত্মা । তিনিই সভ্য, তিনিই আত্মা ! হে শ্বেতকেতো ! তুমিই তিনি।” ঋষি বলিতেছেন, মানবাত্মাই ব্ৰহ্ম, কিন্তু অজ্ঞানভাবশতঃই মানুষ বুঝিতে পারে না যে “আমিই ব্ৰহ্ম’ । যখন অজ্ঞানত বিদূরিত হয় এবং জ্ঞানচক্ষু খুলিয়া যায়, তখন মানুষ বুঝিতে পারে যে, আমিহ ব্ৰহ্ম । এই তত্ত্ব বুঝাইবার জন্ত ঋষি ‘চোখবাধা’ মাহুষের দৃষ্টাস্ত দিয়াছেন । ( v ) ইহার পরে উদালক বলিতেছেন :– “হে সৌম্য ! জ্ঞাতিগণ রোগ-সন্তপ্ত পুরুষকে বেষ্টন * বিমোক্ষো=আমি মুক্ত হইব । + সম্পৎস্যে=আনি সৎস্বরূপকে প্রাপ্ত হুইব । শঙ্করপ্রমুখ প্রাচ্য পণ্ডিতগণ এবং মোক্ষমূলার-প্রমুখ প্রতীচ্য পণ্ডিতগণ বলেন উভয়স্থলেই প্রথম পুরুষস্থলে উত্তমপুরুষ ব্যবহৃত হইয়াছে, এই পুরুষ-ব্যত্যয় বৈদিক প্রয়োগ । ইহাদিগের মতে উক্ত বাক্যের অর্থ এই –যতদিন সে দেহ হইতে মুক্ত না হইবে, ততদিন তাহার বিলম্ব : তাহার পর সে সৎস্বরূপকে প্রাপ্ত হইবে । কিন্তু এপ্রকার অর্থ করা অনর্থক । আমাদিগের অর্থের বিরুদ্ধে একমাত্র আপত্তি এই যে, আমরা তস্ত” অর্থ করিয়াছি আমার" । এলিযয়ে আমাদিগের বক্তব্য এই ৪-তম্ভ=তস্ত মম। মম" শৰা উহ। সংস্থতে বহুস্থলে যঃ অহম, এবং অহমূ. বঃ ত্বমূ ইত্যাদির প্রয়োগ আছে। উপনিষদেও আছে তন্ত মে (বৃহঃ ৬১৷১৩১৪), তস্মিন জ্বয়ি (তৈঃ উঃ ১৪ls ). তম মা (ছাঃ উঃ ৭১৩) ইত্যাদি। আবার উত্তমপুরুষ এবং মধ্যম পুরুষ উহও থাকে। যেমন 'তে ঘূত্র BBB SBBSBB BBBSBB BB BB BB SBB BBBSBSBBB BBBS ४खः ऎ: sisis ). *४५: खश्म्’ इष्ण 'eष:’ ( शis २॥२8।e ), ‘श्ः. জহৰ স্থলে সঃ (স্ত্র ৩/৩১), ‘তে বয়ম্ব স্থলে তে (বৃ: ৩/৩১) ইত্যাদি । এইরূপ ছালোগ্যের এই অংশেও তন্ত মম স্থলে তস্ক ব্যবহৃত হইয়াছে। ইহার অথ”এই-প্রকার অবস্থাপন্ন যে আমি, সেই আমার” ।