পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] নিশেষে নির্গত হইয়া গিয়াছে—তাই আজ বড় বয়সে সেই পাপেরই প্ৰায়শ্চিত্ত করিতেছেন। বিবাহ করিয়াছিলেন পাচ বার, - দুঃখের বিষয়, পাচজনেই এখন স্বৰ্গীয়া ; কিন্তু র্তাহারা পাঁচটিতে মিলিয়া একজোটে ধৰ্ম্মঘট করিয়া যেন এই বুড়কে জব্ব করিবার জন্যই চতুর্দশটি পুত্রকন্যা উপহার দিয়া গিয়াছেন । তাঙ্কণর মধ্যে মেয়ে wশটি । ভগবানের কুপায় তিনটি মরিয়াছিল; বাকী সাতটিকে পাত্রস্থা করিতেই তাহাকে সৰ্ব্বস্বান্ত হইতে হষ্টয়াছে । চারটি মেয়ে আবার বিবাহের বছর দুঙ্গ পরে ছেলেমেয়ে লইয়া বিধবা হইয়। ফিরিয়া আসিয়াছে । ভাবিয়াছিলেন, ছেলেগুলা মাহুষ হইয়া যাহা হউক একটকিছু করিবে ; কিন্তু তিনটির আশা-ভরসা একেবারেই ছাড়িয়া দিয়াছেন,—এখন সৰ্ব্বকনিষ্ঠ, রতনমণির ঘদি কিছু আশা থাকে, তবেই.. গ্রামের স্কুলের ম্যাটিকুলেশন ক্লাস অবধি পড়িয়া তাহার বদখেয়াল ধরিয়াছিল ; তাই বছর দুই হইল,ছেলেটাকে নিজের অফিসেই শিক্ষানবিশীতে ঢুকাইয়া দিয়া, এইখানেই আনিয়া রাখিয়াছেন। গত বৎসর রতনমণির বিবাহ-কাৰ্য্যটিও সমাধা হইয়া গিয়াছে, কিন্তু তাই দিয়া কন্যাদায়ের যে ঋণ তিনি পরিশোধ কfরবেন ভাবিয়াছিলেন তাঙ্গা ইষ্টয়া উঠে নাই ; এবং এই প্রসঙ্গে দেনাপাওনার হাঙ্গামায় পড়িয়া নৃতম বৈবাহিকের সঙ্গিত একট। ঝগড়ার স্বত্রপাতও হইয়াছে । তাই সে ছোট লোকের কন্যাকে গ্রহণ করিবেন কি ন? এই লইয়া সম্প্রতি তিনি বিস্তর চিত্ত। করিতেছেন । স্বাছাই করুন অন্ধকার সিডিটা দেওয়াল ধরিয়া কোনরকমে পার হইয়া আসিয়া উঠানে পা দিতেই তিনি দেখিলেন, তাহার দিকে পিছন ফিবিয়া রক্ত নমণি আপন-মনে গান করিতে-করিত্রে তাহার জ{{i-কাপ ড়ে সাব1e ঘষিতেছে । গলাট। একটুখানি পরিষ্কার করিয়া লঙ্গয় ভবতোষ ডাকিলেন, রতন ! সহসা রতনের গান বন্ধ হইয়া গেল । বলিল, কি । পিছন ফিরিয়৷ —বলি ইরে ছোড়া, এমন করে চুল কাটুতে তোকে * বললে ? >Q(? —কই, কেমন করে’ ? এমনি ত সবাই কাটে । বলিয় তাহার মাথার পিছনে ক্ষুরবুলানো চামড়াটার উপর রতন একবার হাত বুলাইয়া দেখিল । -- হুঃ ! কাটে ! বলিয়া ভবতোষ রান্নাঘরের দরজায় উঠিয়া কহিলেন, আমার বালিশের ওয়াড় দুটো এনেছিস্ ? —ইn,ঙ্গোই মেলে’ দিয়েছি —বলিয়া উঠানের একটা ঝোপের দিকে রতন ভাহাব অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া দিল । অন্ধকার রান্নাঘরের কোণের দিকে কাঠের পিড়ির উপর ঠাসাঠাসি করিয়ু যে-কয়জন খাইতে বসিয়াছিল, ভবতোষ তাদের দিকে তাকাইয়। বলিলেন, কে হে চন্দরকাস্ত রয়েছ নাকি আমাদের ; চল তা হ’লে আজ ছুটির বাজারে পাশায় একহাত বসা যাগে । চন্দ্রকান্ত ধেীবন পার হইয়া প্রৌঢ়ত্বে গিয়া পৌছিয়াছে। পাংলা ছিপছিপে,—বেশ রসিক লোক । ভাতের গ্রাসটা কোং করিয়া গিলিয়া ফেলিয়৷ একগাল হাসিয়া কহিল, হেঁ হেঁ দাদা, আমরা ত অলওয়েজ, রেডি । ঠাকুর ভাতের থালাট ভবত্তোষের স্বমুখে নামাইয়া দিতেই তিনি সেই আহাৰ্য্যের প্রক্রি একবার তীক্ষু দৃষ্টিপাত করিয়া বলিলেন, আলু এত কম কেন হে ঠাকুর ? কোণের দিকে একটি ছোকৃরা বলিয়া উঠিল, ঝিএর দ্বারা পটেটো ষ্টিলিং’ চলছে বোধ হয় । চন্দ্রকা স্ত্র আর পারিল না । বলিল, কেন, সে বুড়ি-বেটী জানে না,—ট ষ্টাল ইজ-সিন এণ্ড এ ক্রাইম্‌ !—দ্যাথ, ঝি, আবু ধা-ই কর না কেন বাপু, নিজের ‘ক্যাংেকটাবু’ ঠিক রাখবে ! ঝি ভবতোষকে জল দিতে থাকিতে গম্ভীরভাবে 可ff交出 5巫夺忆惑夺 মুখের পানে বিস্মিত ভাবে কাইয়। জিজ্ঞাসা করিল, * কি বলছ বাৰু পুঝতে পুষ্ঠি নি— চঞ্জকা স্ক তেমনি গম্ভীরভাবে বলিল, হেঁ হেঁ স্বাবে, বাবা । বলছি, বৰ্ষাকাল আসছে, জলের কলসী দুটে ঢাকা দিয়ে রেপো, নইলে ব্যাং ট্যা: ল; ফিয়ে পড় কে – বুঝলে এবার ? বেশ বাবু বলিয়া ঝি চলিয়া গেল । সমবেত সকলেই হো হো করিয়! ই সিয়া রতনমণির কাছে বসিয়া তাহার সমবয়সী ‘এক জন