পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Qbー রতনমণি কিয়ৎক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া জিজ্ঞাসা করিল, আচ্ছা, চিঠিখান ধগন সে দেখলে, তখন তার মনের ভাবট হাসি-হাসি না রাগ-রাগ ? বিরক্ত হইয় পগেন বলিয়া উঠিল, অত সব জানিনে বাবু, তুঙ্গ দেখে আরগে যা— পুত্ৰ নমণি তাঙ্গার পিতার উদ্দেশে এইবার দাত পটমট করিয়া বলিতে লাগিলেন, চব্বিশ ঘণ্টা শুধু খেলা আর থেলা । ষ্ট পিড কোথাকার । ননসেন্স--- छूट्टै অবশেষে পাওনার লোভে ভবতোষ রাজি গুইলেন। কিন্তু কেরাণীর শুধু বাপ রাজি হইলেই চলে না, তাহার কিরকম বুঝলি ? উপরে ও আর একজনকে রাজি করিতে হয়,—তিনি আপিসের বড়বাপু । দুপুর রৌদ্রে রতনমণি সেদিন আর তাঙ্গার প্রতিদিনের অভ্যাসমত কঁাটিয়া আপিসে যাইতে পারিল না, ভবানীপুর গুইতে হাইকোর্টের একটা ট্রামে চড়িয়া নগদ দুষ্টআনা পয়সার একটা ফাষ্ট ক্লাসের টিকিট কিমিয়া লসিল । কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, অনেক অনুনয়-বিনয়, অনেক থোসামোদির পরে বড়বাবু বলিলেন, চার দিনের ছুটি ত’ s’তেই পারে না—মেরে -কেটে দুটে। দিন দেওয়া যেতে সুদূর বিহারের

  • ද්‍රිඳු

হা গুড়া ষ্ট্রেশনে গিয়া সেদিন পারে । রতনমণি ভালিয়া আকুল হইল । একটা ছোট ষ্টেশনে ভাগকে ধাইতে হুইবে । ষ্টেশন-মাষ্টার,—সেইখানেই বাস কবেন । সন্ধ্যায় রাত্রের ট্রেণে চড়িলে পরদিন সেগানে পেীড়িবে। সোমবার । রতন আঙল গণিয়া দেপিল, আজ অফিস আবার ফিরিবার সময়ে-৪ ত ষ্টি । কপ্লিয়। রাত্রে ঘদি ট্রেণে চড়া ধায়, মঙ্গলবারের ছুটির tBBS BBBB BBBB BBBB S BBBBS BBB BB করিয়া আবার বুধবার সকালে ট্রেণে ১ড়িয়া বৃহস্পতিবার - মোটে s 4- কলিকাতায় খাসিয়া অফিস করিতে পরিবে । একট; রাত্রি । আচ্ছা, তা-ই তা-ই ! সমস্তদিনের ভূখা ভিখারী দাতার কাছে হাত পাতিয়া যেমন আধল! কি সিকি পয়সার বিচার করিতে পারে না, প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড যাহা পায় তাহাই মাথায় তুলিয়া লয়—রতনমণিও তেমনি আজ একটি রাত্রির ছুটি পাইয়া আপিসে ছুটি হইবার কিছু আগেই ছুটিতে-ছুটিতে প্রায় উৰ্দ্ধশ্বাসে তাহাদের সেই ভাঙা মেসে আসিয়া উপস্থিত হইল। তখনও আপিস হইতে বাবুরা কেহই ফিরে নাই। দরজার তালা খুলিয়া রতলমণি ঘরে ঢুকিণই সন্ধিক্ষণের পাঠার মতই থর্থর করিয়া কঁাপিতে লাগিল। তাহাকে কি যে করিতে হইবে, কেমন করিয়া যে সে এই মহাযাত্রার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করিয়া লইবে, তাহা সে ঠিকমত বুঝিয়া উঠিতে পারিল নী—মাথার ভিতর কেমন যেন সব গোলমাল হইয়া গেল । ভবতোষ আজ সকাল-বেলায় একটা টাইমটেবল দেখিয়া তাহাকে সমস্ত বুঝাইয়া দিয়াছেন । রাত্রি নয়টার সময় ট্রেণ,—সুতরাং সময় অনেক ; এখন হইতে এত-বেশী ব্যস্ত হইবার কোনই প্রয়োজন নাই, এই কথাট। সে মনে-মনে বহুবার আলোচনা করিয়া . কটুখানি প্রকৃতিস্থ হইল । ভবে একটা কাজ বাবুরা আসিবার পূর্বেই ভাঙ্গকে সমাধা করিয়া রাখিতে হুইবে । সেট। এমন বিশেষ কিছুই নয় । মুরারি-বাবুর চৌকির তলায় জুতার কালী আছে, তাহাই একটুখানি চুরি করিয়া লইয়া জুতা জোড়াটা ঠিক করিয়া লওয়া। রতনমণি তৎক্ষণাৎ তাহার জুতা দুইটি খুলিয়া ফেলিল এবং মিনিট কয়েকের মধ্যেই কাৰ্য্যটা সমাধ। কবিয়া দিয়া তাহার তালি-দেওয়া ছেড়া জুতাটার সৌন্দৰ্য্য না ফিরাক্টতে পাfরলেও অন্ততঃ তাহার বর্ণট। ফিরাইয়া লইল কাপড় জামা সে গতকল্য পরিষ্কার করিয়াছে,—এইবার পিতার নিকট হইতে টেণভাড়ার টাকা গুলি আদায় করিতে পারিলেই নিশ্চিভূমনে ষ্টেশনে চলিয়া ধাইতে পারে । ততক্ষণ পগেনের আবুশী চিরুণী লইয়। সে তাহার মাথার অবাধ্য চুলগুলাকে প্রাণপণ শক্তিতে বাধ্য করিবার চেষ্টা করিতে লাগিল । আপিস হইতে দু’একজন বাবু আসিতে আরম্ভ করিল । কিন্তু তাঙ্গার বাব তখনও আসিতেছে না দেখিয় রতলমণি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিল । বুড়া যদি আজ পয়সা বঁাচাইবার জন্য ট্রামে ন; চড়িয়া লাঠি ধরিয়া তাহার গ্রামভারী চালে’ হঁাটিতে স্বরু করিয়া থাকে,