পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>や8 ক্লাসের একখানি হাওড়ার টিকিট, চেন, ঘড়ি এবং রাস্তা-খরচের জন্য দশটি টাকা তিনি রতনমণির হাতে দিয়া বলিলেন, ছুটি পেলেই আবার এসে বাবা, বুঝলে ? বেয়াই-মশাইকে আমার নমস্কার দিও। চেন-ঘড়িটা রতন তাহার হাতে ফিরাইয়া দিয়া বলিল, এটা আপনি রাখুন, এইবার যখন আসব তখন নিয়ে যাবো! হয়ত এটা তাহার মনে লাগিল না ভাবিয়া নিকুঞ্জবিহারী বলিলেন, কেন বাবা, এ কি তোমার পছন্দ হ’ল না ? কেমন চাই বলে, তেমনি আনিয়ে দেবো । —না, পছন্দ হয়েছে। ধরুন, আমি এবার এসে নিয়ে ধাবো, পাণ্টাতে হবে না —বলিয়া সেটি র্তাহার হাতের উপর ফেলিয়া দিল । ট্রেন আসিয়া দাড়াইয়াছিল। কাজেই কম্পিতইস্তে চেন-ঘড়িটি ধরিয়া নিকুঞ্জবিহারী হা করিয়া সেইখানেই দাড়াইয়া রছিলেন । শ্বশুরের বাসার পাশ দিয়া ট্রেনখানা পার হইতেছিল। রতনমণি দেখিল, গতরাত্রে যে-ঘরে সে শয়ন করিয়াছিল, সেই ধরের খোলা জানালার পাশে, সতৃষ্ণনয়নে প্রভা দাড়াইয়া আছে। প্রভাকে সে দেখিতে . পাইল কিন্তু চলন্ত ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে প্রভা যে মুখখানি দেখিতে চাহিতেছিল, তাহা সে বেশ ঠাহর করিতে পারিল না। . কিন্তু প্রভাকে যখন আর কচি খুকী বলা চলে না, তখন তাহার এই নিতান্ত গৰ্হিত কৰ্ম্মট রতন তাহার স্বামী হইয়া কোনপ্রকারেই সমর্থন করিতে পারিল না । সে যে লোক দেখিবার জন্যই এখানে আসিয়া দাড়াইয়াছে এবং প্রতিদিন হয়ত সে এমনি করিয়াই ট্রেনের ধারে আসিয়া দাড়ায়, ইহা সে অসংশয়ে ধারণা করিয়া লইল । এবং তাহার এই দুৰ্ব্বিণীত অবাধ্য স্ত্রীকে সে যে কেমন করিয়া চিরদিনের মত জব্দ করিয়া দিবে, আজ এই চলপ্ত ট্রেনের গদি-আঁটা ইণ্টার-ক্লাসে বসিয়া রতনমণি সেই কথাটাই বারে-বারে চিস্তা করিতে লাগিল । 舉 豪 舉 豪 পথে এক দুর্ঘটনা ঘটিয়া গেল। অণ্ডাল ষ্টেশনে একথামা মালগাড়ী লাইন হইতে পড়িয়া গিয়াছিল ; প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড কাজেই রতনমণির ট্রেনখানি সমস্ত রাত্রি আসানসোল ষ্টেশনেই দাড়াইয়া রহিল। পরের দিন বেল প্রায় দুইটার সময় আসানসোল হইতে ট্রেন ছাড়িল। হাওড়ায় আসিয়া যখন পৌছিল, রাত্রি তখন প্রায় আটটা । বৃহস্পতিবারটাও পথেই কাটিয়া গেল । সেদিন আর রতনমণির অফিস করা হইল না। রাত্রি প্রায় নয়টার সময় ভবানীপুরের গলির ভিতর তাহাদের সেই ভাঙা মেসে রতনমণি যখন আসিয়া, পৌছিল, ভবতোষ ইত্যাদি খেলোয়াড়গণের পাশাখেলার কলহ-কোলাহল তখন বেশ জোরে-জোরেই চলিতেছে। চারিদিকে ভীষণ অন্ধকার থমৃথম্ করিতেছিল। সিড়িতে দিয়াশালাই জালিয়। ক্লাস্ত-পরিশ্রাস্ত রতনমণি উপরে উঠিয়া আসিল । অফিস কামাই করিয়া রতনমণি যখন একদিন সেখানে দেরি করিয়া আসিয়াছে তখন তাহার পরামর্শমত রসদ যে সে নিশ্চয়ই কিছু সংগ্ৰহ করিয়া আনিয়াছে, ভবতোষ পাশাগুল হাকু মারিয়া ফেলিয়া দিয়া পুত্রের মুখের পানে একবার দৃষ্টিপাত করিয়াই নিঃসংশয়ে তাহা বুঝিয়া লইলেন । —আচ্ছা, তোমরা একহাত বন্ধ রাখো, আমি এলাম বলে’ !—বলিয়া তিনি উঠিয়া দাড়াইলেন এবং তাহার পাশার চেয়েও প্রিয়তম কোনও বস্তুর সন্ধানে রতনমণিকে একটুখানি তফাতে ডাকিয়া লইয়া গিয়া কহিলেন, দেরি হ’ল যে ? কত দিলে ? রতলমণির রাগ তখনও কমে নাই। স্থযোগ বুঝিয়া সে অম্লানবদনে বলিয়া বসিল, একটি পয়সাও না। এমন কি গাড়ীভাড়ার টাকাটা পধ্যস্ত দিলে না, বিনা টিকিটে আসতে হ’ল, তাই আসানসোলে একদিন আটকে রেখেছিল । রাগে প্রথমতঃ ভবতোষের মুখ দিয়া কথা বাহির হইতেছিল না । কোটরপ্রবিষ্ট চোখ দুইটা যথাসম্ভব বিস্তৃত করিয়া বলিলেন, বটে ?—জানি, সে চামারবেটাকে চিরকাল জানি আমি । কাজের সময় কাজী, কাজ ফুরোলেই পাজী!--...আচ্ছা— বলিয়া তিনি কিয়ৎক্ষণ কি যেন ভাবিয়া লইয়া ہایاہ مستح عجمہ -یہ۔-ہ مماحےہیصحیح۔