পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)\\ు প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড পক্ষে বলুড়ার ছিলেন সৌন্দর্ঘ্যের মূওঁবিগ্রহ, Balder the Beautiful বলিয়া পরিচিত। এরূপ স্বত্র বলডারের এরূপ কুৎসিত আকৃতির ভাই আপাতদৃষ্টিতে খুবই অসামঞ্জত বলিয়া বোধ হয় ; কিন্তু মনে রাখিতে হইবে যে আলো এবং অন্ধকার, পাপ ও পুণ্য অঙ্গাঙ্গীভাবে সম্পর্কিত, একই ব্যাপারের দুই দিক্‌ মাত্র। তরুণ দেবতা বলডার দেখিতে-দেখিতেই বাড়িয় উঠিলেন এবং অপেক্ষাকৃত অল্পবয়সেই দেবাদিদেব ওডিনের মন্ত্রণাসভায় স্থানলাভ করিলেন। বলডারের অনেক জ্ঞানবিজ্ঞানে দখল ছিল, বিশেষ তিনি আলোকের দেবতা বলিয়া তাহার নিকট সকলষ্ট যেন স্বতঃপ্রকাশিত। কিন্তু প্রদীপের নীচেই যেমন অন্ধকারের স্থান তেমনই আলোকের দেবতার নিকট তাইার নিজ ভবিষ্যৎই অজ্ঞাত ছিল । বলডারের এমন হাস্ত-সমুজ্জল মুৰ্ত্তিতে একদিন পরিবর্তনের ছায়াপাত হইল। র্তাহার চোখের জ্যোতিঃ মান হইয়া পড়িল, বদনমণ্ডলে স্পষ্টই চিন্তার রেখাপাত হইল, এমন কি তাহার পদবিক্ষেপেও গাম্ভীর্য্যের ভাব আসিয়া পড়িল। দেবতারা সকলেই—বিশেষতঃ ওডিন এবং ফ্রিগা অত্যস্ত উদ্বিগ্ন হইয়া পড়িলেন। কেহই ইহার কোন মীমাংসা খুজিয়া পান না, অবশেষে পিতামাতার নিৰ্ব্বদ্ধতিশব্যে বলডার প্রকাশ করিলেন যে অধুনা তাহার স্বনিদ্রা হইতেছে না। ঘুমাইবামাত্রই নানারূপ দুঃস্বপ্ন আসিয়া তাহাকে পীড়া দেয় ; নিদ্রাভঙ্গে স্বপ্নের কিছুই মনে থাকে না, কিন্তু একটা অনিশ্চিত আশঙ্কার ভাব যেন লাগিয়াই থাকে। ওডীন এবং ফিগা ইহা শুনিবামাত্রই বুঝিতে পারিলেন যেন কিসের একটা অজ্ঞাত অমঙ্গল-আশঙ্কায় তাহাদের উভয়ের চিত্তও পীড়িত। তাহদের বিশ্বাস হুইল যে, নিশ্চয়ই ইহা বলডারেরই কোন অমঙ্গলের পূর্বস্বচন, হয়ত বা তাহার জীবনই বিপন্ন। তখন র্তাহার এই বিপদকে দূর করিবার উপায় অবলম্বন করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । ফ্রিগ দিকে দিকে অম্লচর পাঠাইলেন, তাহীদের প্রতি আদেশ রহিল যে, তাহারা ফ্রিগাদেবীর নাম লইয়া সকলকে আহরোধ করিবে—চেতন-অচেতন উদ্ভিদ মায় প্রস্তরাদি খনিজ পদার্থ পৰ্য্যন্ত সকলেই যেন অঙ্গীকার করে যে, তাহারা কেহই বল্ডারের কোনপ্রকার অনিষ্ট করিবে না। বলভার ছিলেন বিশ্বের সকলেরই প্রিয় কাজেই এরূপ অঙ্গীকারে সকলেই স্বীকৃত হইল। তখন ফ্রিগাদেবীর অনুচরেরা আসিয়া খবর দিল যে, বিশ্বের সকলকে অঙ্গীকার করান হইয়াছে শুধু ভলহল্লার (Walhalla ; Walhalla) দ্বারে যে ওকু-বৃক্ষ আছে তাহার উপরের মিসলটো নামে একটি ক্ষুদ্র পরগাছা বাদ পড়িয়াছে। কিন্তু সেই মিসলটো এমনই ক্ষুদ্র নিরীহ পদার্থ যে, তাছা হইতে কোনপ্রকার অপকারের আশঙ্কাই হইতে পারে না। তখন ফিগাদেবী একরূপ আশ্বস্ত হইলেন যে, তাহার প্রিয়তম পুত্রের আর কোন অমঙ্গলের আশঙ্কা নাই , এদিকে ওডিন মনস্থ করিলেন যে, তিনি মৃত্যুরাজ্যে অবস্থিত একজন ভলা ( wala ) বা অদৃষ্টদেবীর নিকট জিজ্ঞাসা করিয়া বলডারের ভবিষ্যৎ জানিয়া লইবেন। তিনি তাহার অষ্টপদ আশ্ব স্নাইপনীরে ( Sleipnir ) আরোহণ করিয়া ব্রিকৃষ্ট ( Brifrost) সেতুর উপর দিয়া নিফলহাইমে (Nif-heim ) মৃত্যুদেবীর অন্ধকার রাজ্যে গিয়া প্রবেশ করিলেন । সেখানে গিয়া ওডিন দেখিয়া আশ্চৰ্য্য হইলেন যে, মৃত্যুরাজ্যের অন্ধকার-প্রদেশে একটা ভোজের আয়োজন হইতেছে এবং পালঙ্কসমূহ স্বর্ণালঙ্কারে ও নানাপ্রকার পরিচ্ছদে ভূষিত হইতেছে, যেন সকলে কোন মহা সম্রাস্ত অতিথির আগমনের প্রতীক্ষা করিতেছে। ওডিনের এসব দেখিবার অবসর ছিল না । তিনি ক্রমাগত চলিয়া আসিয়া যেখানে সেই ভলাদেবী কোন যুগ হইতে নিরবচ্ছিন্ন বিশ্রামলাভ করিতেছিলেন সেখানে আসিদ্ধা উপস্থিত হইলেন। তখন তিনি এমন সব মন্ত্রপাঠ করিতে লাগিলেন ধাঠাদের মৃত্যু হইতে প্রাণীকে জাগরিত করিবার শক্তি আছে । হঠ । সমাধিক্ষেত্র উন্মুক্ত হইল এবং ভলদেবী উখিত হষ্টয়া জ্ঞা মতে চাহিলেন যে কে এমন দুঃসাহসী যে, তাহার এতকালের বিশ্রামে ব্যাঘাত জন্মাইয়াছে। ওডিন జఙతామణితఙజఙ