পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

صووالاج প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩১ [ २8* डार्श, २घ्रं थ७ হইবার নয় কারণ সকলেই অঙ্গীকারে আবদ্ধ যে, কেহই বলডারের কোনপ্রকার অনিষ্ট করিবে না । এই বৃদ্ধ আর কেহই নয়—ইনি ছদ্মবেশে লোকী (Loki)। লোকী ছিলেন অগ্নির প্রতিরূপ, কাজেই বলডার ধিনি স্বর্ষ্যের প্রতিরূপ, তাহার নিকটে তিনি স্বভাবতঃই নিম্প্রভ । আর বলডার ছিলেন সৰ্ব্বজনপ্রিয়, আর লোকী শুধু সকলের ভয়ের আধারমাত্র কারণ সকলেরই জানা ছিল যে, অনিষ্ট উৎপাদনে ইহার রুচি অসাধারণরূপে সতেজ ! এইসব কারণে বলডারের প্রতি লোকীর ঈর্ষ্যা সৰ্ব্বদাই সজাগ ছিল । বৰ্ত্তমান ক্ষেত্রেও বলডারের অনিষ্টসাধনের কোনপ্রকার উপায় আছে কি না, সেই খোজেই সে ছদ্মবেশে ফ্রিগাদেবীর নিকটে দেখা দিয়াছিল। ফ্রিগার কথার উত্তরে সে জিজ্ঞাসা করিল "আপনি কি বলডারসম্বন্ধে এতই নিশ্চিন্ত—বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের সকলেই কি আপনার নিকট অঙ্গীকারে আবদ্ধ হইয়াছে।” ফ্রিগা বলিলেন— “সকলেই বই কি। আমার অম্লচরেরা ব্ৰহ্মাণ্ডের দিকেদিকে বাহির হইয়া সকলের নিকট হইতেই অঙ্গীকার আদায় করিয়া লইয়া আসিয়াছে, বাদ পড়িয়াছে শুধু এক “মিসলটো”—ভলহল্লার তোরণ-দ্বারে ওকু-বৃক্ষের উপরে ক্ষুদ্র এক পরগাছ । এই মিসলটো এমুনি ক্ষুদ্র এবং নিরীহ প্রাণী যে ইহার নিকট ওরূপ গুরুতর অঙ্গীকার আদায় করিতে যাওয়াং বাড়াবাড়ি আর অঙ্গীকার না করাইয়া থাকিলেও উহার স্তায় ক্ষুদ্র এক পরগাছা হইতে আশঙ্কারও কোন কারণ থাকিতে পারে না । লোকীর নিকট এই খবরটুকুই যথেষ্ট । সে ছিদ্রান্বেষণই করিতেছিল, যখন দেখিল যে ফ্রিগাদেবী এত সতর্কত অবলম্বন করিয়াও যেন লোকীর জন্তই একটু ফাক রাখিয়া গিয়াছেন, তখন সে পুলকিত হইয়া উঠিল। সে তাহার নিজের মনোভাব গোপন করিয়া ফ্রিগাদেবীর নিকট হইতে তাড়াতাড়ি বিদায় গ্রহণ করিল। , একটু দূরে সরিয়াই লোকী তাহার নিজমূৰ্ত্তি ধারণ করিল এবং ভলহল্লাতে গিয়া সেই “মিসলটো” খুজিয়া বাহির করিল। তখন সে মন্ত্র-গুণে সেই ক্ষুদ্র পরগাছাটিকে বৃহৎ আকার এবং কঠিন অবয়ব দান করিল। তার পর সেই মিসল, টোর বুক্ষকাও হইঙে সে নিপুণহন্তে একটি তীর তৈয়ার করিয়া লইয়া তাড়াতাড়ি ঈডাভোলডে গিয়া হাজির হইল। সেখানে তখনও বলডারকে কেন্দ্র করিয়া সেইরূপ ক্রীড়া-কৌতুক চলিতেছে। দেবতারা সকলেই আমোদে ব্যস্ত, শুধু অন্ধ হোডার বিষণ্ণবদনে একধারে দাড়াইয়াছিলেন । লোকী যেন নিলিপ্তভাবে তাহার নিকটে আসিয়া দাড়াইল এবং কথায়-কথায় তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল যে, তিনি কেন ঐসব ক্রীড়া-কৌতুকে যোগদান না করিয়া ওরূপ বিষণ্ণবদনে দাড়াইয়া রহিয়াছেন । হোডার বলিলেন যে, তিনি অন্ধ, কাজেই তিনি আর কি করিয়া ওসবে যাইবেন । লোকী তখন আগ্রহ দেখাইয়া সেই মিসলটোর তীর হোডারের হাতে দিয়া তাহাকে যথাস্থানে লইয়া গিয়া বলডারের প্রতি তীর নিক্ষেপ করিবার জন্য হাতে ধরিয় তাহার লক্ষ্য স্থির করিয়া দিল । হোডার সেই-অনুসারে তীর নিক্ষেপ করিলেন । প্রতিবারই দেবতারা লক্ষ্যভ্রষ্ট অথবা ব্যর্থলক্ষ্য হওয়াতে হাস্যধ্বনিতে ক্রীড়াভূমি মুখরিত হইয়া উঠিতেছিল । হোডারও তীর নিক্ষেপ করিয়া আনন্দধ্বনিরই প্রতীক্ষা করিতেছিলেন, কিন্তু তাহাকে চমূকাইয়া দিয়া হাস্ত-ধ্বনির পরিবর্তে এক আৰ্ত্ত নিনাদ উঠিয়া সমস্ত আসগার্ড ছাইয়া ফেলিল, সেই মিসলটোর তীরে বিদ্ধ হইষা বলডার পড়িয়া গেলেন । দেবতারা উদ্বিগ্ন হইয়া সকলে ছুটিয়া আসিলেন, কিন্তু ততক্ষণে বলভারের প্রাণবায়ু বহির্গত হইয়া গিয়াছে । তখন দেবতাদের সকলের রোষদৃষ্টি পড়িল হোডারের উপর। হোডার নিশ্চয়ই তাহাদের হস্তে হত হইতেন, কিন্তু দেবতাদের মধ্যে এক নিয়ম ছিল যে, আসগার্ডের পবিত্র-ভূমিতে কাহারও প্রতি স্বেচ্ছাকৃত কোনপ্রকার অত্যাচার হইতে পারিবে না । হোডার দেবতাদের হাত হইতে মুক্তি পাইলেন বটে কিন্তু তিনি অস্তরে গ্লানি এবং অনুশোচনায় ক্লিষ্ট হইতেছিলেন। দেবতাদের কাছে তাহার আর মুখ দেখাইবার উপায় ছিল না। তিনি তখন পথ ধরিয়াধরিয়া ফেন্সালিরে (Fensatir) ফিগাদেবীর প্রাসাদে গিয়া হাজির হইলেন। সেখানে ফিগাদেবীকে এই মারাত্মক দুঃসংবাদ শুনাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—বলন ম৷